রাইডারের ব্যাটে কিউইদের সান্ত্বনা

দুই বছরেরও বেশি সময় পর একটা ট্রফি জয়, পাকিস্তানিদের উল্লাসটা তবু যেন ঠিক স্বতঃস্ফূর্ত হলো না। সিরিজ জিতলেও শেষটা যে ভালো হলো না! সিরিজ হারলেও বিশ্বকাপের আগে শেষ ম্যাচটা ৫৭ রানে জিতে কিছুটা আত্মবিশ্বাস কুড়িয়ে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
মিডল-অর্ডার ‘পরীক্ষা’র পর আবার ওপেনিংয়ে ফেরা ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে দ্রুত ফিরিয়ে শুরুটা খারাপ হয়নি পাকিস্তানের। কিন্তু সব এলোমেলো করে দেন জেসি রাইডার। আগের ম্যাচে কোনো বল না খেলেই রানআউট হওয়ার খেদ মিটিয়েছেন কাল পাকিস্তানিদের তুলোধোনা করে। শুরুতে কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন, হাত খোলেন সোহেল তানভিরের এক ওভারে তিন ছয় মেরে। ফিফটি পেয়ে যান ৩৪ বলে, শোয়েব আখতারকে ফাইন লেগ বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে ৮২ বলে ছুঁয়েছেন তিন অঙ্ক। রাইডারের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও রাজ্জাক-হাফিজের বোলিংয়ে ১৯০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড। তিন শ পেরোয় তারা স্টাইরিস-ম্যাককালামের ঝড়ে। ৪৪ বলে ৫৮ করেন স্টাইরিস, ৫০ বলে ৬৫ নাথান ম্যাককালাম। শেষ ৫ ওভারে নিউজিল্যান্ড তোলে ৭২ রান!
৫৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়েও পাকিস্তান ম্যাচে ছিল কামরান আকমল (৮৪ বলে ৮৯) ও আফ্রিদির ব্যাটিংয়ে। কিন্তু এক ওভারে কামরান-রাজ্জাককে তুলে নিয়ে ম্যাচ নিজেদের দিকে টেনে নেন জেমস ফ্রাঙ্কলিন। ৩৫ বলে ৪৪ রান করা আফ্রিদিকে আউট করে পাকিস্তানের শেষ আশাটুকুও শেষ করে দেন হামিশ বেনেট। তথ্যসূত্র: নিও ক্রিকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩১১/৭ (গাপটিল ৪৪, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ১২, রাইডার ১০৭, টেলর ৫, ফ্রাঙ্কলিন ৮, স্টাইরিস ৫৮*, নাথান ম্যাককালাম ৬৪, মিলস ০*; রাজ্জাক ২/২৩, হাফিজ ২/৫৭, শোয়েব ১/৩৮, তানভির ১/৭৮)। পাকিস্তান: ৪৪.১ ওভারে ২৫৪ (হাফিজ ২১, শেহজাদ ৬, কামরান ৮৯, ইউনুস ১৬, শফিক ২৬, উমর ৮, আফ্রিদি ৪৪, রাজ্জাক ৮, তানভির ৩০, গুল ১, শোয়েব ২*; বেনেট ৪/৪৬, ফ্রাঙ্কলিন ৩/৫০, মিলস ১/৩০)। সিরিজ: পাকিস্তান ৩-২-এ জয়ী।

No comments

Powered by Blogger.