যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- তাঁরা সমালোচিত, আমরা বিব্রত by আসিফ নজরুল

ব্বইয়ের দশকে জমজমাট আড্ডা হতো শাহবাগের মোড়ে। সেখানে গেলে দেখা যেত এক ধরনের ‘ত্রিকালদর্শী’ আড্ডাবাজেরও ভিড়। তাঁরা কেউ সাহিত্যচর্চা করেন, কেউ লিটল ম্যাগাজিনের কর্মী, কেউ বাম রাজনীতি করেন। জগৎ-সংসারের প্রতি তাঁদের কারও কারও ছিল সীমাহীন তুচ্ছতাচ্ছিল্য। মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে পাবলো পিকাসো—অনেকেই তাঁদের সমালোচনার বিষয়। সবচেয়ে বড় অবজ্ঞা তাঁদের দেশের কীর্তিমান মানুষদের নিয়ে।
শামসুর রাহমান কোনো কবি নাকি, বঙ্গবন্ধু আদৌ স্বাধীনতা চেয়েছিলেন নাকি, হুমায়ূন আহমেদের কোনো লেখা উপন্যাস পদবাচ্য কি না—এটা নিয়ে নানা তীব্রকণ্ঠের আলোচনা হতো তাঁদের মধ্যে। সিগারেটের ধোঁয়ার মতো সবকিছু অবলীলায় ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিতেন তাঁরা! ভয়ে সেখানে যাওয়া ছেড়ে দিই আমি একপর্যায়ে। কল্লোল-যুগের ওপর লেখা একটি বই পড়া ছিল আমার বহু আগে। সেখানে জেনেছিলাম, বুদ্ধদেব বসু, বিষ্ণু দে, অমিয় চক্রবর্ত্তী প্রমুখ কল্লোল-যুগের লেখকেরা কী প্রবল ও নিষ্ঠুরভাবে রবীন্দ্রনাথের সমালোচনা করতেন। তাঁদের অনেকে নিজের ভুল পরিণত বয়সে বুঝতে পেরেছিলেন। শাহবাগের সেই তরুণেরা এত দিনে পরিণত হয়েছেন। মনে সন্দেহ নিয়ে ভাবি, এত দিনে তাঁদের সমালোচনার ভাষা বদলেছেন কি?
পরিণত বয়সে মানুষের আবেগ নিয়ন্ত্রিত হয়, যুক্তিপ্রবণ হয়ে ওঠে মন, ভাষা হয় শালীন। কিন্তু আমাদের দেশে তা হয় না সব ক্ষেত্রে। অনেক জায়গায় তাই দেখি বহু আগের শাহবাগের মোড়। একটা সময় ছিল, সুফিয়া কামাল, আহমদ শরীফ কিংবা হুমায়ুন আজাদকে নিয়ে তীব্র কুৎসা, যুক্তিহীন সমালোচনা হতো। এখন শুরু হয়েছে আরও কিছু বরেণ্য মানুষের নির্মম চরিত্র হনন আর যথেচ্ছ সমালোচনা। সাম্প্রতিক সময়ে বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান আর বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ এ ধরনের সমালোচনার শিকার হয়েছেন। নতুন প্রজন্মের কাছে আদর্শস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে যে গুটিকয়েক লোকের নাম আমরা বলতে পারি, তাঁরা দুজন অবশ্যই তাঁদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়। কিন্তু যে ভাষায় এবং যে ভঙ্গিতে তাঁরা সমালোচিত হয়েছেন, তা হকচকিত হওয়ার মতো। তাঁরা নিজেরা এসব সমালোচনা কীভাবে নিয়েছেন জানি না। তবে তাঁরা হয়তো মনকে কিছুটা প্রবোধ দিতে পারবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি বর্তমান সরকার এবং তার সমর্থকদের আরও তীব্র আক্রমণের ভাষা দেখে। বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র নোবেলজয়ী এবং সারা বিশ্বে প্রবল শ্রদ্ধেয় এই ব্যক্তিকে আমাদের কেউ কেউ কোনো রকম প্রমাণ ছাড়াই দুর্নীতিবাজ বলে দিয়েছেন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী গরিবের রক্ত চুষে খাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তাঁর বিরুদ্ধে!
২.
বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সমালোচিত হয়েছিলেন ‘দেশ বর্তমানে বাজিকরদের হাতে’ বলার কারণে। তিনি যখন এ কথা বলেন, সে সময় দেশে প্রতিটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হচ্ছিল টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ আর অস্ত্রবাজদের দৌরাত্ম্যের খবর। কাজেই তিনি নতুন কিছু বলেননি। তার পরও তাঁকে তুলোধুনো করে বিভিন্ন দৈনিকে একের পর এক লেখা ছাপা হতে থাকে। তিনি একদম মিথ্যা বলেছেন, সমালোচকেরা কেউ এটি বলতে চাননি। তাঁরা বলতে চেয়েছেন, বাজিকরদের দৌরাত্ম্যের কথা বলে বিচারপতি হাবিবুর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারকে বিপদে ফেলেছেন এবং বিরোধীরা এখন তাঁর কথা ব্যবহার করে সরকারের সমালোচনা করতে পারবে। এই সাদামাটা কথা বলতে গিয়ে সমালোচকদের কেউ কেউ তাঁর নিরপেক্ষতা, এমনকি বুদ্ধিমত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। বিচারপতি হাবিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনের অগ্রণী সৈনিক, বহু প্রগতিশীল আন্দোলন ও চিন্তাচেতনায় বিভিন্ন বয়সে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান থাকাকালীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছে। তাঁকে সরাসরি জামায়াত বা বিএনপির লোক বলা কোনো অবিবেচকের পক্ষেও অসম্ভব। কিন্তু আরেঠারে তা-ই বলা হলো। বলা হলো, তিনি কি বিএনপি-জামায়াতকে সুবিধা দেওয়ার জন্য কথাগুলো বলেছেন?
যাঁরা এসব লিখেছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই প্রগতিশীল বা সুশীল হিসেবে পরিচিত। আমি এই ঘরানার বহু ব্যক্তিকে দেখেছি, যাঁরা বিশ্বাস করেন যে আওয়ামী লীগ সরকার যা-ই করুক তার সমালোচনা বা এমন কিছু করা যাবে না, যাতে আওয়ামী লীগ বেকায়দায় পড়ে। তাঁদের কেউ কেউ বিশ্বাস করেন, সমালোচনা করলেও তা করতে হবে মৃদুভাবে এবং বিএনপিকে কষে সমালোচনা করার পর। এ কারণে এই সরকারের আমলে সুশাসনের রূপকল্প বাস্তবায়নের কথা অনেকে বেমালুম ভুলে গেছেন, স্বাধীন কমিশনগুলোর (দুর্নীতি দমন, তথ্য ও মানবাধিকার-সংক্রান্ত) অথর্ব ভূমিকার সমালোচনা থেমে গেছে প্রায়, ক্রসফায়ারের নিন্দা অনেকাংশে ম্রিয়মাণ হয়ে পড়েছে, বিএনপির নারী কর্মীদের ওপর পুলিশের চরম অশালীন আক্রমণের ছবি বহু পত্রিকায় ঠাঁই পেতেই ব্যর্থ হয়েছে। অবিকল একই কাণ্ড বিএনপিপন্থী মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবীরা বিএনপির শাসনামলে করেছেন। এটাই যেন রীতি—এটা সবাইকে মেনে নিতে হবে। প্রগতিশীল মানুষ হয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান আওয়ামী লীগ শাসনামলের কঠোর সমালোচনা করে এই রীতি লঙ্ঘন করেছেন। কাজেই তাঁরও রক্ষা হলো না—একদল ‘প্রগতিশীল’ ঝাঁপিয়ে পড়লেন তাঁর ওপর।
৩.
বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে ১৯৯৬ সালে নিজেরাই অনুরোধ করে রাষ্ট্রপতি বানিয়ে শেষ পর্যন্ত সমালোচনায় বিদ্ধ করেছিল আওয়ামী লীগ। এবার নির্মমভাবে তাঁর সমালোচনা করেছেন বর্তমান সরকারের মিত্র সাবেক স্বৈরশাসক এরশাদ। গণতান্ত্রিক সরকারগুলোর নানা ব্যর্থতার ক্যানভাসে এরশাদের অতীত পাপ এখন ম্লান ছবির মতো অস্পষ্ট হয়ে গেছে। এই স্বৈরশাসক এখন নির্ধারণ করেন কোন দলের গণতন্ত্র জারি থাকবে দেশে! নবলদ্ধ ক্ষমতাবলে তিনি সাহাবুদ্দীন আহমদের যোগ্যতা ও সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দিবসেই তাঁর বিচার দাবি করেছেন।
বিচারপতি সাহাবুদ্দীনকে ১৯৯১ সালে নির্বাচনের সময় সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালনে রাজি করিয়েছিল আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বাম দলসহ এরশাদবিরোধী আন্দোলনের প্রায় সব শরিক দল। তিনি নিরপেক্ষতা ও সততার সঙ্গে তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্য অনেক বিচারপতির মতো অবসরে গিয়ে কখনো কোনো সরকার, এমনকি কোনো মহলের পক্ষাবলম্বন করে কিছু বলেননি। নিজের মর্যাদা ও ব্যক্তিত্ব রক্ষা করে জনচক্ষুর অন্তরালে নিভৃত জীবন যাপন করছেন এখন তিনি। সে কারণেই হয়তো তাঁকে এমন রুচিহীন আক্রমণের দুঃসাহস দেখিয়েছেন এরশাদ।
আমার দুঃখ, এরশাদের এই বক্তব্যের কোনো সমুচিত জবাব দিতে পারল না এরশাদ পতনের আন্দোলনের কোনো দল, কোনো মহল।
৪.
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষেত্রে সমালোচনা করা হয় আরও ব্যাপক ও কদর্যভাবে। নরওয়েজিয়ান টেলিভিশনের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তাঁকে নিয়ে বাংলাদেশে কিছু পত্রিকায় যা প্রচারিত হয়েছে, তা বিস্ময়করও বটে! নরওয়েজিয়ান টিভির প্রতিবেদনে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে গ্রামীণ কল্যাণে দাতাদের বিনা অনুমতিতে টাকা স্থানান্তরের অভিযোগ করা হয় গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে নয়। প্রতিবেদনের অভিযোগে অনিয়মের কথা বলা হয়, দুর্নীতির কথা নয়। আমাদের সংবাদপত্রগুলো তাহলে কেমন করে এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অনিয়ম, এমনকি দুর্নীতির অভিযোগ বিশাল শিরোনামে ছাপিয়ে বসল! নরওয়েজিয়ান টিভির খবর অবিকৃত রেখে এই সংবাদ প্রচার করার, কিংবা গ্রামীণ ব্যাংকের প্রত্যুত্তরের জন্য অপেক্ষা করে নিজস্ব প্রতিবেদন ছাপানোর অধিকার অবশ্যই মিডিয়ার রয়েছে। অধিকাংশ সংবাদপত্র এটি না করে যেভাবে বিকৃত করে নিজ দেশের নোবেলজয়ী এক বিশ্বব্যক্তিত্ব সম্পর্কে সংবাদ ও সংবাদভাষ্য ছেপেছে, তা যেকোনো আত্মমর্যাদাশীল জাতির জন্য গ্লানিকর।
এসব সংবাদ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে কিছু বলতে উসকে দিতেও একজন সাংবাদিক ভূমিকা রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে এই উসকানি গ্রহণ করে ড. ইউনূসকে গরিবের রক্তচোষা বলে ফেললেন। প্রধানমন্ত্রী নিজে এর আগে মাইক্রোক্রেডিট সম্মেলনে অংশ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন, তাঁর সরকারের আমলেও সরকারি উদ্যোগে ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হচ্ছে। তিনি তাহলে কীভাবে এর প্রবক্তাকে গরিবের রক্তচোষা বলেন? গ্রামীণ ব্যাংকের লাভের টাকা কি ড. ইউনূস ব্যক্তিগতভাবে ভোগ করছেন? তা ছাড়া বিতর্ক যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক তহবিল স্থানান্তরের, নরওয়েজিয়ান প্রতিবেদনের প্রতিবেদক নিজেই যেখানে বলেন, তহবিল তছরুপের অভিযোগ তিনি আনেননি ব্যক্তি ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে, তখন কিসের ভিত্তিতে এটি বলা হলো? কিসের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের অন্য একজন নেতা তাঁকে দুর্নীতিবাজই বলে ফেললেন?
ড. ইউনূস কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি নন, তাঁর খ্যাতির পরিধি বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ নয়। কাজেই জীবিত ও মৃত রাজনৈতিক নেতাদের সম্পর্কে কুৎসা রটনার যে সংস্কৃতি বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে চলছে, তার জোরে ড. ইউনূসের মতো একজনকেও বিনা প্রমাণে দোষারোপ করলে তা আত্মঘাতী হয়ে উঠতে পারে। স্বয়ং দাতা প্রতিষ্ঠানটির তদন্তের ভিত্তিতে ৭ ডিসেম্বর নরওয়ের পরিবেশ ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকের তহবিল স্থানান্তরে কোনো দুর্নীতি হয়নি, কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে বা তহবিল আত্মসাতের জন্যও এটি করা হয়নি। বলেছেন, ১৯৯৮ সালে মে মাসে মূল তহবিলে অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ঘটনাটি তখনই মিটে গেছে। এখন তাঁকে এ ঘটনার জন্য সমালোচনাকারীরা কী বলবেন?
পুরো ঘটনায় কী লাভ হলো তাঁদের, কী লাভ হলো বাংলাদেশের?
৫.
কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাই বলে জবাবদিহির ঊর্ধ্বে নয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বা গ্রামীণ ব্যাংকও নয়। তাঁর উদ্ভাবিত গ্রামীণ ব্যাংকের উচ্চসুদের হার নিয়ে সমাজে কিছু প্রশ্ন রয়েছে। প্রশ্ন রয়েছে ঋণ আদায়ে গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো কোনো আঞ্চলিক কার্যালয়ের কঠোর পদক্ষেপ সম্পর্কে। গ্রামীণ ব্যাংক কতটা স্বচ্ছ, এ নিয়েও গণমাধ্যমে কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে। তাই বলে এসব অভিযোগ সামগ্রিকভাবে দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং এর মাধ্যমে বিকৃত ধর্মীয় অনুশাসন প্রতিরোধে গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্যকে কোনোভাবে নাকচ করতে পারে না। এসব অভিযোগ থাকলে তার তদন্ত সরকার করতে পারে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে উদ্ঘাটিত কোনো তথ্য জনগণকে জানানো এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকারও সরকারের রয়েছে। কিন্তু বিনা তদন্তে, বিনা প্রমাণে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে একপেশে সমালোচনার অধিকার সরকারের নেই, কোনো মহলের নেই।
৬.
অশ্রদ্ধা আর অতিভক্তির এক অদ্ভুত সমাজে বাস করি আমরা। বড় মানুষদের একপক্ষ ছিঁড়ে-খুঁড়ে মাটিতে নামিয়ে আনতে চায়, অন্যপক্ষ ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে আকাশে তুলে দিতে চায়। স্বাধীন চিন্তাচেতনার মানুষজন আক্রমণের শিকার হন উভয় পক্ষ থেকে। এসব বিভ্রান্তি আমাদের নতুন প্রজন্মকে কীভাবে প্রভাবিত করছে, আমার কি ভেবে দেখছি তা?
=============================
মুজিবকে নিয়ে সিরাজের একমাত্র লেখা  ঢাকা সিটি করপোরেশন বিভক্তির উদ্যোগ  মহাস্থানগড়ের ধ্বংস-পরিস্থিতিঃ পর্যবেক্ষণ  ওয়ান-ইলেভেনের চেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ আসছে!  ডিসেম্বরঃ গৌরব ও গর্বের মাস  উইকিলিকস বনাম যুক্তরাষ্ট্র  দুর্নীতি বেড়েছে দুনিয়াজুড়ে  উইকিলিকসঃ বাঘের ঘরে ঘোগ  আইন অপূর্ণাঙ্গঃ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার কঠিন  ১০০ কোটি ডলারে ঋণঃ ভারতের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত  ট্রেন দুর্ঘটনাঃ চালকের ভুল নাশকতারও গন্ধ!  ‘যুদ্ধ’ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা উইকিলিকস সমর্থকদের  কানকুনঃ মুমূর্ষু পৃথিবীর নিষ্ঠুর মানুষ  নারীর হার-নারীর জিত, বেগম রোকেয়া প্রাসঙ্গিক  সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে দুর্নীতির বীজ লুক্কায়িত  বরুণ রায়—কিংবদন্তিতুল্য এক ব্যক্তিত্ব  মুক্তির গান  এক-এগারোর জুজুটাকে হিমাগারে পাঠান  জব্দকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে জাগরণ সৃষ্টি করুন  সংসদীয় গণতন্ত্রের গল্পসল্প  রাষ্ট্রীয় সমাজে চিন্তা করার স্বাধীনতার প্রয়োজন  বাঙালের জলবায়ু দর্শন: ইঁদুরই কি শ্রেষ্ঠ জীব  প্রকৃতি- পাহাড়টির সঙ্গে ধ্বংস হবে ঐতিহ্যও  স্মরণ- আজও প্রাসঙ্গিক বেগম রোকেয়া  আলোচনা- উইকিলিকসঃ জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ত্রিমুখী সংগ্রাম  মুক্তিযুদ্ধ- মুজিব বললেনঃ তোমাদের এখনই ঢাকা ত্যাগ করা উচিত  আলোচনা- ডিজিটাল-প্র্রযুক্তিই মানুষকে আরও বেশি মানবিক করে!  খবর- সংরক্ষিত বনে শুঁটকিপল্লি  ট্রেনের ওপর ট্রেন  সংকেত অমান্য, দুই ট্রেনের সংঘর্ষ  আলোচনা- রবীন্দ্রনাথের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন ভাবনা  আলোচনা- 'ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ঠাঁয় নেই দরিদ্রর উচ্চ শিক্ষা  বিশেষ আলোচনা- ফিরে দেখা গঙ্গা চুক্তি  আলোচনা- 'সংসদ বর্জনের অপসংস্কৃতি বন্ধ হোক'  আলোচনা- 'উইকিলিকসে বাংলাদেশ, তারপর?


দৈনিক প্রথম আলো এর সৌজন্যে
লেখকঃ আসিফ নজরুল
অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.