বিশ্বকাপ দেখছেন ইউসুফ পাঠান

এক ইনিংসেই যেন অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলেন ইউসুফ পাঠান। দেখিয়ে দিলেন শুধু ২৫-৩০ রানের ঝোড়ো ইনিংসই নয়, একই ভঙ্গিতে খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্যও তাঁর আছে। শর্ট বলের বিপক্ষে তাঁর সামর্থ্য নিয়ে ওঠা প্রশ্নগুলোকেও যেন আপাতত ঝেঁটিয়ে বিদায় করলেন একেকটি পুল শটে। ৩ উইকেট নেওয়ার পর ৯৬ বলে অপরাজিত ১২৩—গত পরশু বেঙ্গালুরুতে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচের পারফরম্যান্সে হয়তো বিশ্বকাপটাও নিশ্চিত করে ফেললেন ‘বড়’ পাঠান।
বল হাতে থাবা বসিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের লোয়ার-মিডল-অর্ডারে। ফ্রাঙ্কলিন-ঝড়ে (৬৯ বলে ৯৮*) কিউইরা তবু তোলে ৩১৫। আগের দিনই অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই ম্যাচে ব্যাটিং-অর্ডারে প্রমোশন পাবেন ইউসুফ। ২০তম ওভারেই তাই উইকেটে ইউসুফ, ১০৮ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর। রোহিত শর্মার সঙ্গে ৮০ আর সৌরভ তিওয়ারির সঙ্গে মাত্র ৯৩ বলে ১৩৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে সাত বল আগেই ভারতকে জিতিয়ে ফিরলেন তিনি।
সেঞ্চুরি ও ম্যাচ জয়ের আনন্দের সঙ্গে ইউসুফের সঙ্গী ছিল নিজেকে প্রমাণ করতে পারার স্বস্তি, ‘সেঞ্চুরি পাওয়ায় তো খুশিই, এর চেয়ে বেশি খুশি দলকে ম্যাচ জেতাতে পারায়। আজ (পরশু) অনেক ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছি, বুঝতে পারছিলাম এবারই আমার সুযোগ। সেটা কাজে লাগাতে পারায় ভালো লাগছে।’
গত মাসেই রঞ্জি ট্রফিতে ১৩৮ বলে ১৯৫ করেছেন, বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনালে সেঞ্চুরি করেছেন ৪০ বলে। দুলিপ ট্রফির ফাইনালে প্রথম ইনিংসে ৭৬ বলে ১০৮ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ১৯০ বলে অপরাজিত ২১০ রানে দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে ৫৪০ রান তাড়া করে জিতেছিল পশ্চিমাঞ্চল। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেললেন এই প্রথম। বিশ্বকাপে সাত নম্বর কে—এই প্রশ্নের উত্তরও বোধ হয় পেয়ে গেল ভারত!

No comments

Powered by Blogger.