সাক্ষাৎকার- সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে দুর্নীতির বীজ লুক্কায়িত _____কালের কণ্ঠের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সপ্তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মেঙ্েিকার মেরিডায় ২০০৩ সালের ৯ থেকে ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ১২৯টি দেশ অংশ নেয়। সম্মেলনের প্রথম দিন ৯ ডিসেম্বর ৮৭টি দেশ দুর্নীতিবিরোধী সনদে স্বাক্ষর করে। স্বাক্ষরদানের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে এবং দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস হিসেবে গণ্য করা হয়। ২০০৪ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ দিবসটি পালন করে আসছে।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সফলতা, ব্যর্থতা, সমস্যা, পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে কালের কণ্ঠের সঙ্গে কথা বলেছেন দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন ফিরোজ এহ্তেশাম
কালের কণ্ঠ : আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদ্যাপনের মূল লক্ষ্য কী ছিল? এ লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ কতটা সফল?
গোলাম রহমান : আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদ্যাপনের মূল লক্ষ্য ছিল সাধারণ জনগণ ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী সচেতনতা তৈরি করা। বিশেষ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মকে সোচ্চার করে তোলা। আর এ লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সফলতা বিষয়ে বলতে হয়, দেশে দুর্নীতি বেশি কী কম সেটা ভিন্ন কথা; কিন্তু দুর্নীতি বিষয়ে মানুষ যে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এটাই অর্জন।
কালের কণ্ঠ : এ দিবস সামনে রেখে দুদকের নতুন কোনো কার্যক্রম রয়েছে কি?
গোলাম রহমান : এ দিবস সামনে রেখে আমার বক্তব্য হলো, কেউ দুর্নীতি করবেন না, দুর্নীতি মানবেন না এবং যেখানেই দুর্নীতি দেখা যাবে সেখানেই তা প্রতিরোধ করুন। এ দিবস উপলক্ষে সারা দেশে জেলা-উপজেলায় আমাদের যে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটিগুলো আছে, তারা হয়তো বিভিন্ন অনুষ্ঠান করবে; কিন্তু আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে দুর্নীতি দমন কমিশন হিসেবে কোনো অনুষ্ঠান করব না।
কালের কণ্ঠ : এ বছর করাপশন পারসেপশন ইনডেঙ্ (সিপিআই) অনুযায়ী সূচকের ০-১০-এর স্কেলে বাংলাদেশের স্কোর ২.৪, যা গত বছরের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে। এবারও বাংলাদেশ তালিকার নিম্নক্রম অনুযায়ী দ্বাদশ স্থানে রয়েছে। উন্নতি হলো না কেন?
গোলাম রহমান : এ সূচকের মাধ্যমে যেভাবে বাংলাদেশের দুর্নীতির চিত্রটি উঠে এসেছে সেটা আদতে ঠিক নয়। আমাদের দৃষ্টিতে আমি বলব যে উন্নতি হয়েছে। কারণ এ সূচক অনুযায়ী গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩৯, আর এ বছর অবস্থান ১৩৪, তাহলে তো উন্নতি হয়েছে। আমি বলব, আমাদের পর্যবেক্ষণে আমরা দেখছি, উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে কম। কিন্তু গ্রাউন্ড লেভেল, যাকে বলে স্ট্রিট লেভেলের দুর্নীতি, নিম্নপর্যায়ের দুর্নীতি, সেটার ব্যাপকতা নানা সামাজিক কারণে একই রকম রয়ে গেছে।
কালের কণ্ঠ : আপনার দায়িত্ব পালনের সময়কালে আপনি দুর্নীতি প্রতিরোধে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?
গোলাম রহমান : পদক্ষেপগুলো আমাদের আইনেই আছে। একটা হলো যারা দুর্নীতি করে তাদের ধরে আইনের কাছে সোপর্দ করা। আমরা অনুসন্ধান করি, তদন্ত করি, মামলা দিই, চার্জশিট দিই, বিচারের সম্মুখীন করি। ২০০৮ সালে ৩৯৭টি মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল, যা ছিল সর্বোচ্চ। কিন্তু গত বছর জুলাই থেকে এ বছর জুন পর্যন্ত রেকর্ড পরিমাণ ৪৭৮টি মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। আরেকটা পদক্ষেপ হলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা। এ জন্য আমরা সারা দেশে জেলা-উপজেলায় দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি করেছি।
সম্প্রতি ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি জরিপের ফলাফল দেখে আমি আশাবাদী হয়ে উঠেছি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সের তরুণ-তরুণীর ৯৮ শতাংশই জীবন ও দেশ সম্পর্কে আশাবাদী। তারা সমাজের জন্য স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ করতে চায়। কিন্তু এদের ৯৪ শতাংশই কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নাম বলতে পারেনি। এ তারুণ্যের যে শক্তি, তাদের যে ইচ্ছা, এটাকে যদি আপনি কল্যাণের কাজে লাগাতে চান, তাহলে ওদের সংগঠিত করতে হবে। আমরা সততা সংঘের মাধ্যমে তাদের যদি সংগঠিত করতে পারি, তাদের যদি নিজেদের আ@ি@@@ক বিবর্তনের পাশাপাশি সমাজের বিবর্তনে কাজে লাগাতে পারি, সেবাধর্মী কোনো কাজে নিয়োজিত করতে পারি, তবে তা পুরো সমাজকে ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যাবে।
এ ছাড়া আমরা বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষ করে সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির অনুসন্ধান করে দুর্নীতি-সহায়ক নিয়মকানুনের পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি। অর্থাৎ প্রসিডিউর বা কার্যপ্রণালীর পরিবর্তন এনে দুর্নীতির সুযোগ কমিয়ে দেওয়া। যেমন_সেবাদানকারী ও সেবাগ্রহীতা একখানে হলেই লেনদেনের একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সিস্টেমটা যদি এমন করা যায় যে সেবা পেতে হলে সেবাদানকারী ও গ্রহীতাকে এক জায়গায় আসতে হবে না, তাহলে দুর্নীতিও হবে না। এটা আমরা ক্ষুদ্র পরিসরে শুরু করলেও আমাদের ব্যাপকভাবে করার ইচ্ছা আছে। সেবাদানকারী ও গ্রহীতাকে পরস্পরের কাছ থেকে দূরে রাখতে অর্থাৎ দুর্নীতি দূর করতে প্রযুক্তি অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
কালের কণ্ঠ : দুর্নীতি দমন বা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে দায়িত্ব গ্রহণের পর কোন বিষয়গুলোকে চ্যালেঞ্জ বা বাধা হিসেবে দেখছেন?
গোলাম রহমান : সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশের জটিলতাই সবচেয়ে বড় বাধা, যা দুর্নীতিকে লালন-পালন করে। এটাই দুর্নীতির মূল কারণ বা উৎস। এ জায়গাগুলো শুধরানো গেলে আর দুর্নীতি দেখা যাবে না।
কালের কণ্ঠ : আপনার দৃষ্টিতে দুদক কোন জায়গায় সবচেয়ে সফল? কোন জায়গায় ব্যর্থ বা অসফল বা অকার্যকর?
গোলাম রহমান : যদি দুদক না থাকত, তাহলে কী হতো? আমাদের চারপাশে বাতাস, সূর্যের আলো আছে_তাই এসবের উপকারিতা আমরা উপলব্ধি করতে পারি না। তেমনি দুদক। দুদক যদি না থাকে, তাহলে দুর্নীতি এত লাগামছাড়া হয়ে যাবে যে তা আর সংবরণ বা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। তাই দুর্নীতির ক্ষেত্রে যে লাগামটা আছে সেটাই দুদকের সফলতা।
আরেকটা জিনিস আমরা করছি সেটা হলো এই, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় অনেক মামলা হয়েছে, সেটা ছিল অস্বাভাবিক অবস্থা, জরুরি অবস্থা তো স্বাভাবিক অবস্থা নয়। সে সময় অনেককেই জেলে পুরে রাখা হয়েছিল, তাদের বেল দেওয়া হয়নি। আবার যখন জরুরি অবস্থা ওঠে গেছে হাইকোর্ট সবাইকে বেল দিয়ে দিয়েছেন, মামলাগুলো স্থগিত করেছেন। এসব মামলা যাতে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় ফয়সালা হয়, তা আমরা নিশ্চিত করেছি।
কালের কণ্ঠ : দুর্নীতি দমনে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব ও বিচারের দীর্ঘসূত্রতাকে কি বাধা বলে মনে করছেন?
গোলাম রহমান : হ্যাঁ, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও বিচারের দীর্ঘসূত্রতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা বলতে শুধু সরকারের সদিচ্ছা নয়, পুরো রাজনীতির কথাই বলতে হবে। সেটা তো নেই। দুর্নীতি দমনে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে। তেমনি বিচারের দীর্ঘসূত্রতাও আছে।
কালের কণ্ঠ : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুদক যেমন প্রভাব ফেলেছিল, যতটা কার্যকর ছিল, সে অবস্থা এখন না থাকার কারণ কী?
গোলাম রহমান : জরুরি অবস্থার কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এমন অনেক কিছুই হয়েছে, যেটা ঠিক আইনানুগ হয়নি। ৮ মার্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যোগাযোগ উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) এম এ মতিনকে চেয়ারম্যান করে গঠন করা হয় গুরুতর অপরাধ দমন অভিযানসংক্রান্ত জাতীয় সমন্বয় কমিটি (এনসিসি)। দুদককে তখন সহায়তা করেছে এ কমিটি। সেই কমিটি অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করে দুদকে পাঠিয়েছে। টাস্কফোর্স ছিল; কিন্তু তাদের সব কর্মকাণ্ড যে সঠিক ছিল, আমি এ কথা বলছি না। আমি বলছি, একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা তারা নিয়েছে, যা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে গ্রহণ করা সম্ভব নয়। এটা অনেকটা বৈদ্যুতিক শক দিয়ে উজ্জীবিত করে দেওয়ার মতো, যা তার পরই আবার ঝিমিয়ে পড়বে। কিন্তু আমরা চাচ্ছি দুর্নীতি দমনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রভাবমুক্ত একটি অব্যাহত ব্যবস্থা তৈরি করতে।
কালের কণ্ঠ : গত মাসে টিআইবির জনমত জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, স্বাধীন ও কার্যকর দুর্নীতি দমন কমিশন প্রয়োজন বলে মনে করে ৯৭ শতাংশ জনগণ; ৫৭ শতাংশ সরকারের প্রস্তাবিত চারটি সংশোধন চায় না। দুদক আইন ২০০৪-এর সংশোধনী প্রসঙ্গে সরকার গঠিত কমিটি যেসব সুপারিশ দিয়েছে, তাতে দুদকের স্বাধীনতা ও কার্যকারিতা কতটা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে?
গোলাম রহমান : হ্যাঁ, কয়েকটি সংশোধনী এসেছে, তবে তা এখনো পর্যালোচনার পর্যায়ে আছে। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর সংশোধনীতে প্রধান চারটি প্রস্তাবনা হলো_ক) সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নিতে গেলে দুদককে সরকারের অনুমতি নিতে হবে; খ) দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব নিয়োগ দেবে সরকার; গ) দুর্নীতি দমন কমিশন রাষ্ট্রপতির কাছে জবাবদিহি করবে এবং ঘ) উদ্দেশ্যমূলকভাবে দুর্নীতির মামলা করা হলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড।
এ সংশোধনীগুলো দুদুকের স্বাধীনভাবে কাজ পরিচালনাকে বাধাগ্রস্ত করবে।
কালের কণ্ঠ : বিরোধী দলের অভিযোগ, দুদক সরকারের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করছে। এ মন্তব্য প্রসঙ্গে আপনার কী অভিমত?
গোলাম রহমান : আমার মনে হয় এটা একটা ভুল ধারণা। তাহলে তো আমরা মহীউদ্দীন খান আলমগীরের মামলার জন্য সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যেতাম না। অথবা ডা. ইকবাল বা শেখ হেলালকে নিম্ন আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হতো না।
কালের কণ্ঠ : কোথায় দুর্নীতি হচ্ছে ও কারা করছে, এ ব্যাপারে দুদক স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কী ব্যবস্থা নেবে, নাকি শুধু অভিযোগ এলেই সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে?
গোলাম রহমান : আমাদের দুদকের আইনের যে বিধান, সেখানে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার খুব একটা সুযোগ নেই।
কালের কণ্ঠ : দুদকের কর্মকাণ্ডের আশানুরূপ ফলাফল পাননি বলে মনে হয়েছে কি? এটা কেন ঘটেছে? বিচারব্যবস্থার মন্থরগতির কারণে?
গোলাম রহমান : হ্যাঁ, আশানুরূপ ফলাফল পাইনি। এ কারণে আমি দুদককে নখদন্তহীন বাঘ বলেছিলাম। এই যে এত মামলা হচ্ছে, সমাজে এর যে প্রভাবটা পড়ার দরকার ছিল, বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণে তেমন কোনো প্রভাব সমাজে পড়ছে না।
কালের কণ্ঠ : দুদক আইনের পরিধি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার কারণে দুদকের কি কোনো সমস্যা হয়েছে?
গোলাম রহমান : আমরা অনেক অভিযোগ পাচ্ছি, কিন্তু ৯৮ শতাংশ অভিযোগই দুদকের তফসিলভুক্ত নয়। এটা ঘটছে দুদক আইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার কারণে।
কালের কণ্ঠ : এনজিও বা বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে আপনারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন?
গোলাম রহমান : না, আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না। শুধু বিশ্বাসভঙ্গজনিত অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে এনজিও বা বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি।
কালের কণ্ঠ : দুদকের ভেতরে দুর্নীতি রোধে আপনারা কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?
গোলাম রহমান : এ ব্যাপারে আমরা খুবই সচেষ্ট। আমার অধীনে ও সরাসরি তত্ত্বাবধানে এ বিষয়ে একজন পরিচালক কাজ করেন। আমরা ইদানীং বেশ কিছু লোকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি।
কালের কণ্ঠ : দুদককে কার্যকর একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে কী কী করা প্রয়োজন? আপনারা কী কী পরিকল্পনা করছেন?
গোলাম রহমান : দুদককে একটি কার্যকর প্রতিষ্ঠান দুদক করতে পারবে না। এটা করতে হলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে। এরপর প্রশাসন, সরকার, জনগণ, গণমাধ্যমের আন্তরিক সমর্থন থাকতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই দুদক একটি কার্যকর সংস্থায় পরিণত হতে পারে।
=========================
বরুণ রায়—কিংবদন্তিতুল্য এক ব্যক্তিত্ব  মুক্তির গান  এক-এগারোর জুজুটাকে হিমাগারে পাঠান  জব্দকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে জাগরণ সৃষ্টি করুন  সংসদীয় গণতন্ত্রের গল্পসল্প  রাষ্ট্রীয় সমাজে চিন্তা করার স্বাধীনতার প্রয়োজন  বাঙালের জলবায়ু দর্শন: ইঁদুরই কি শ্রেষ্ঠ জীব  প্রকৃতি- পাহাড়টির সঙ্গে ধ্বংস হবে ঐতিহ্যও  স্মরণ- আজও প্রাসঙ্গিক বেগম রোকেয়া  আলোচনা- উইকিলিকসঃ জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ত্রিমুখী সংগ্রাম  মুক্তিযুদ্ধ- মুজিব বললেনঃ তোমাদের এখনই ঢাকা ত্যাগ করা উচিত  আলোচনা- ডিজিটাল-প্র্রযুক্তিই মানুষকে আরও বেশি মানবিক করে!  খবর- সংরক্ষিত বনে শুঁটকিপল্লি  ট্রেনের ওপর ট্রেন  সংকেত অমান্য, দুই ট্রেনের সংঘর্ষ  আলোচনা- রবীন্দ্রনাথের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন ভাবনা  আলোচনা- 'ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ঠাঁয় নেই দরিদ্রর উচ্চ শিক্ষা  বিশেষ আলোচনা- ফিরে দেখা গঙ্গা চুক্তি  আলোচনা- 'সংসদ বর্জনের অপসংস্কৃতি বন্ধ হোক'  আলোচনা- 'উইকিলিকসে বাংলাদেশ, তারপর?  আলোচনা- 'ওয়াংগালাঃ গারোদের জাতীয় উৎসব'  স্মরণ- 'বাঘা যতীনঃ অগ্নিযুগের মহানায়ক'  খবর, কালের কণ্ঠের- আগেই ধ্বংস মহাস্থানগঃ হাইকোর্টের নির্দেশে কাজ বন্ধ  কেয়ার্নের সঙ্গে স্বার্থবিরোধী চুক্তির পেছনেও জ্বালানি উপদেষ্টা  উইকিলিকস জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আত্মসমর্পণ  সবুজ মাঠ পেরিয়ে  আলোচনা- 'আরো অনুদানের টাকা সরিয়েছিলেন ইউনূস'  আলোচনা- 'একটি 'উজ্জ্বল ভাবমূর্তির' এভারেস্ট থেকে পতন  গল্পালোচনা- 'আসি আসি করে আশিতে আসবে!'  রাষ্ট্র ও রাজনীতিঃ সবুজ মাঠ পেরিয়ে  স্মরণ- 'রবীন্দ্রনাথ—সার্ধশত জন্মবার্ষিকীতে'  স্মরণ- 'জননেতা দেওয়ান ফরিদ গাজী'  আলোচনা- 'প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন পর্যায়'  আলোচনা- 'কর্মপরিবেশঃ স্বর্গে তৈরি'


দৈনিক কালের কণ্ঠ এর সৌজন্যে
সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন ফিরোজ এহ্তেশাম


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.