আন্তর্জাতিক- দুই কোরিয়ার একত্রিকরণ কি সম্ভব by ড. তারেক শামসুর রেহমান

দুই কোরিয়ার একত্রিকরণ কী আদৌ সম্ভব? সম্প্রতি বহুল আলোচিত উইকিলিকস এর ফাঁস হওয়া একটি নথিতে দেখা যায় চীন তার আগের অবস্থান পরিবর্তন করে দুই কোরিয়ার একত্রিকরণের পক্ষে। সম্প্রতি কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে দুই কোরিয়ার একত্রিকরণের প্রশ্নটি সামনে চলে এসেছে। যদিও চীন সরাসরিভাবে দুই কোরিয়ার একত্রিকরণের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি।
তবে এটা সত্য, চীন যদি তার অবস্থান পরিবর্তন করে, তাহলে আগামীতে আমরা দুই কোরিয়াকে এক দেখতে পাব। এক্ষেত্রে একত্রিকরণের পথে নানা সমস্যা রয়েছে। দুই জার্মানি একত্রিত হয়েছিল আজ থেকে ২০ বছর আগে। ১৯৯০ সালের পর থেকেই বিশ্ববাসীর দৃষ্টি ছিল দুই কোরিয়ার একত্রিকরণের দিকে। এখানে সমস্যা হচ্ছে একত্রিকরণের পর কোরিয়ার সমাজ ব্যবস্থা কী হবে? পুঁজিবাদী সমাজ না কী সমাজতান্ত্রিক সমাজ? জার্মানিতে এখন আর সমাজতান্ত্রিক সমাজ নেই। পূর্ব জার্মানি পশ্চিম জার্মানির সাথে মিশে গিয়ে পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা প্রবক্তা করেছে। চীনেও আজ ধ্রুপদী মার্কসবাদ নেই। চীনের সাথে হংকং একীভূত হয়েছে হংকং এর পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা বজায় রেখেই, যে ব্যবস্থাকে চীন বলছে 'এক দেশ দুই অর্থনীতি'। তেং মিয়াও পিং ছিলেন এই ধারণার প্রবক্তা। চীন তাইওয়ানের ক্ষেত্রেও একই নীতি অবলম্বন করছে। তাইওয়ান হংকং অনুসরণ করে চীনের সাথে একীভূত হতে পারে। কোরিয়ার ক্ষেত্রে এই হংকং মডেল একটি সমাধান হতে পারে। ভবিষ্যৎই বলে দেবে দুই কোরিয়া এক হবে কিনা।
এই মুহূর্তে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বজায় রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন ইয়ংপিয়ং দ্বীপে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণ (২৩ নভেম্বর) ও তাতে দুই সৈনিকের মৃতু্য, দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা বাহিনীর প্রধানের পদত্যাগের পর এখনও উত্তেজনা সেখানে বজায় রয়েছে। একটি যুদ্ধের মত পরিস্থিতি সেখানে বিরাজ করছে। উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে ছয় জাতি আলোচনাও কার্যত ব্যর্থ। উত্তর কোরিয়াকে কোনভাবেই আলোচনার টেবিলে আনা যাচ্ছে না। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র এখন তিন জাতি (যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া) আলোচনায় উৎসাহী। কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এডমিরাল মাইক মুলেন ছুটে গিয়েছিলেন জাপানে। তিনি সেখানে তিন জাতি ভিত্তিক একটি 'প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা' গড়ে তোলার কথাও বলেছেন। চীনের এক সিনিয়র কূটনীতিকও পিয়াং ইয়ং সফর করেছেন। এতে করে উত্তেজনা কতটুকু হ্রাস হবে বলা মুশকিল। তবে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে যে এ ধরনের উত্তেজনা বড় বাধা, তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। এখানে উলেস্নখ করা প্রয়োজন যে ২০০৬ সালের অক্টোবরে উত্তর কোরিয়া কতর্ৃক পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের পর থেকেই উত্তর কোরিয়া আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে আছে। পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের মধ্যে দিয়েই উত্তর কোরিয়া বিশ্বে ৮ম পারমাণবিক শক্তি হিসেবে আবিভর্ূত হয়। এরপর থেকেই উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে এ অঞ্চলের বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের আতংক বাড়তে থাকে। এরপর থেকেই আলোচনা শুরু হয় কীভাবে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু মুক্ত করা সম্ভব। এক পর্যায়ে চীনের উদ্যোগে ২০০৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি উত্তর কোরিয়া একটি চুক্তি স্বাক্ষরে রাজী হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী উত্তর কোরিয়া অবিলম্বে তার ইয়াংবাহী তানস্থ (ণঙঘএইণঙঘ) পারমাণবিক চুলিস্নটি বন্ধ করে দেয়, যেখানে পশ্চিমা বিশ্বের ধারণা উত্তর কোরিয়া ৬টি থেকে ১০টি পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে পারতো। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী উত্তর কোরিয়া ৬০ দিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের তার পারমাণবিক চুলিস্নগুলো পরিদর্শনেরও সুযোগ করে দেয়। বিনিময়ে উত্তর কোরিয়াকে ৫০ হাজার টন জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়। এরপর ২০০৭ সালের অক্টোবরে দুই কোরিয়ার মধ্যে একটি শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট রোহ মু হিউম ২ অক্টোবর উত্তর কোরিয়া যান ও সেখানে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং ইলের সাথে শীর্ষ বৈঠক করেন। এটা ছিল দুই কোরিয়ার রাষ্ট্র প্রধানদের মধ্যে দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠক। এর আগে ২০০০ সালের ১২ জুন দুই কোরিয়ার রাষ্ট্র প্রধানরা প্রথমবারের মত একটি শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। কোরিয়া বিভক্তকারী অসামরিক গ্রাম পানসুনজমে সাবেক প্রেসিডেন্ট কিম দাই জং মিলিত হয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং ইল এর সাথে। এ অঞ্চলের গত ৫৩ বছরের রাজনীতিতে ওই ঘটনা ছিল একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এর আগে আর দুই কোরিয়ার নেতারা কোন শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হননি। স্নায়ুযুদ্ধ পরবতর্ী বিশ্বব্যবস্থা ও দুই জার্মানির একত্রিকরণের (১৯৯০) পর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টি এখন কোরীয় উপদ্বীপের দিকে। সেই থেকে দুই কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণের সম্ভাবনাও দেখছেন অনেকে। অনেকেরই মনে থাকার কথা ২০০০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট কিম দাই জংকে 'দুই কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণের অব্যাহত প্রচেষ্টার' জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়েছিল।
কোরিয়া একটি বিভক্ত সমাজ। দুই কোরিয়ায় দুই ধরনের সমাজ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। উত্তর কোরিয়ায় সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। আর দক্ষিণ কোরিয়ায় রয়েছে পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা। ১ লাখ ২০ হাজার ৫৩৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট উত্তর কোরিয়ার লোক সংখ্যা মাত্র ২ কোটি ২৫ লাখ। আর ৯৯ হাজার ২শ ২২ বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট দক্ষিণ কোরিয়ার লোকসংখ্যা ৪ কোটি ২৮ লাখ। এক সময় যুক্ত কোরিয়া চীন ও জাপানের উপনিবেশ ছিল। ১৯০৪-০৫ সালে রাশিয়া ও জাপানের মধ্যকার যুদ্ধের পর কোরিয়া প্রকৃতপক্ষে জাপানের আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হয়। ১৯১০ সালের ২৯ আগস্ট জাপান আনুষ্ঠানিকভাবে কোরিয়াকে সাম্রাজ্যভুক্ত করে। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের পর মার্কিন ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাবাহিনী কোরিয়ায় ঢুকে পড়ে ও জাপানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করার জন্য কৌশলগত কারণে কোরিয়াকে দু'ভাগ করে। এক অংশে মার্কিন বাহিনী ও অপর অংশে সোভিয়েত ইউনিয়নের বাহিনী অবস্থান নেয়। সোভিয়েত বাহিনীর উপস্থিতিতেই কোরিয়ার উত্তরাঞ্চলে (আজকের যা উত্তর কোরিয়া) একটি কমিউনিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৬ সালে নিউ ন্যাশনাল পার্টির সঙ্গে নবগঠিত কোরিয়ান কমিউনিস্ট পার্টি একীভূত হয়ে কোরিয়ান ওয়ার্কার্স পার্টি গঠন করে। জাতিসংঘের আহ্বানে সেখানে নির্বাচনের আয়োজন করা হলেও, দেখা গেল নির্বাচন শুধু দক্ষিণ কোরিয়াতেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৪৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়া একটি আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে তার অস্তিত্বের কথা ঘোষণা করে। ১৯৫০ সালের ২৫ জুন উত্তর কোরিয়ার বাহিনী ৩৮তম সমান্তরাল রেখা অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করলে যুদ্ধ বেঁধে যায়। জাতিসংঘ এই যুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়াকে সমর্থন করার জন্য সকল রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানায়। জাতিসংঘ বাহিনী মাঞ্চুরিয়া সীমান্তে উপস্থিত হলে ১৯৫০ সালের ২৬ নভেম্বর চীন উত্তর কোরিয়ার পক্ষে যুদ্ধে জড়িয়ে যায় এবং চীনা সৈন্যরা দক্ষিণ কোরিয়ার আভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। ১৯৫১ সালের এপ্রিলে জাতিসংঘ বাহিনী ৩৮তম সমান্তরাল রেখা পুনরুদ্ধার করে। ১৯৫১ সালের ২৩ জুন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দেয়। কিন্তু যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব কার্যকর হয় দু'বছর পর ১৯৫৩ সালের ২৭ জুলাই। এরপর থেকে কার্যত উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া দু'টি রাষ্ট্র হিসেবে তাদের অস্তিত্ব বজায় রেখে আসছে। ১৯৫৩ সালে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি বলে দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকলেও, উত্তর কোরিয়ায় কোন চীনা সৈন্য নেই। উত্তর কোরিয়া চীনের সঙ্গে ১৯৬১ সালে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। গত ৬২ বছরে দক্ষিণ কোরিয়ায় একাধিক সরকার গঠিত হলেও, উত্তর কোরিয়ায় ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয়েছে একবার, ১৯৯৪ সালে কিম উল সুং এর মৃতু্যর পর তার পুত্র কিম জং ইল ক্ষমতা গ্রহণ করেন। বর্তমানে কিম জং ইল অসুস্থ। শোনা যাচ্ছে তার ছোট সন্তানকে সেখানে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। তিনি যদি দায়িত্ব নেন এবং দুই কোরিয়ার একত্রীকরণের উদ্যোগ নেন, সেটা হবে একুশ শতকের শুরুতে একটি বড় ধরনের ঘটনা। তবে এই মুহূর্তে উত্তেজনা সেখানে বজায় রয়েছে। উত্তর কোরিয়া তাদের প্রধান পরমাণু স্থাপনা ছাড়াও গোপনে আরও কয়েকটি স্থাপনায় ইউরোনিয়াম সমৃদ্ধ করছে বলে দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করেছে। একই সাথে সারা বিশ্ববাসীর প্রতি একটি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে উত্তর কোরিয়া পরমাণু পরীক্ষা চালানোর একটি পরিকল্পনাও করছে। এজন্য তারা সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে। এ হারে সুড়ঙ্গ খোঁড়া হলে আগামী মার্চ বা মে মাস নাগাদ প্রয়োজনীয় এক হাজার মিটার সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শেষ হবে। এর অর্থ হচ্ছে উত্তর কোরিয়া আরেকটি পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে পারে এতে করে কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না। যুদ্ধ হবে কিনা বল মুশকিল। কেননা উত্তর কোরিয়া যেখানে বড় ধরনের খাদ্য সংকটের মুখো সেখানে তারা এত বড় ঝুঁকি নেবে না। উত্তেজনা জিইয়ে রেখে তারা সুবিচার আদায় করে নিতে চায়।
এই মুহূর্তে উত্তর কোরিয়ার বড় বন্ধু চীন। চীন যদি তার সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়, তাহলে উত্তর কোরিয়া 'একা' হয়ে পড়বে। তখন আলোচনায় যাওয়া ছাড়া তার কোন বিকল্প থাকবে না। উত্তর কোরিয়া বারবার বলে আসছে তার পারমাণবিক কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে বিদু্যৎ উৎপাদন। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব এবং দক্ষিণ কোরিয়া এই কথায় বিশ্বাস রাখতে পারছে না। অতীতে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার জ্বালানি সংকটে সমাধানের সাময়িক উদ্যোগ নিলেও এই সংকটের স্থায়ী সমাধান হয়নি। উত্তর কোরিয়া তার জ্বালানি সংকটের স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস পেলে দেশটি তার পারমাণবিক কর্মসূচি পরিত্যাগ করতে পারে। তবে একটা মূল প্রশ্নে সমাধান হওয়া বাঞ্ছনীয়। আর তা হচ্ছে দুই কোরিয়ার একত্রীকরণ। আগামীতে সমস্ত আলোচনাই কেন্দ্রীভূত হবে একত্রীকরণের লক্ষ্যে। ওবামা প্রশাসনকে এ লক্ষ্যেই কাজ করে যেতে হবে। কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বাড়ছে। দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথ সামরিক মহড়া সম্পন্ন করেছে। এর ফলশ্রুতিতেই উত্তর কোরিয়া পুনরায় পারমাণবিক পরীক্ষার দিকেই যাচ্ছে। এটা কোন সমাধান নয়। এতে করে উত্তেজনা বাড়বেই। আলোচনা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। অতি দ্রুত ছয় জাতি আলোচনাই কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা হ্রাস করতে পারে।
===================================
গ্যাসের ওপর বিপজ্জনক বসবাস  উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তুলতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ  সময়ের দাবি জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি  জনসংখ্যা বনাম জনশক্তি  ব্যাংকের টাকা নয়ছয় হওয়া উচিত নয়  একটি পুরনো সম্পর্কের স্মৃতিচিত্র  পাটশিল্প ঘুরিয়ে দিতে পারে অর্থনীতির চাকা  ড. ইউনূসকে বিতর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে হবে  সুশিক্ষার পথে এখনও বাধা অনেক  ব্যক্তির স্বাধীনতা হরণ ও মর্যাদাহানির পরিণাম কখনই শুভ হয় না ঘুষ ও লুটপাট উভয়ের বিরুদ্ধে একই সাথে লড়তে হবে  সুনীতি ও সুশাসন  আমি কেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের পক্ষে  শ্রমিক অসন্তোষ বর্তমান প্রেক্ষিত  জীবন ব্যাকরণঃ দর্জির মুক্তিযুদ্ধ  তথ্যের অধিকার ও জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ  শালীন ও সংযত কথাবার্তা কি শুধু একতরফা হতে হবে?  একটি অসমাপ্ত গল্প  মুসলিম বিশ্বে সেক্যুলারিজমের বর্তমান ও ভবিষ্যত  চীন দেশের কথা  হিকমতে হুজ্জতেদের কথা  মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে বিশ্বসভায়  ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো  বধ্যভূমিতে গেয়ে গেল যাঁরা জীবনের জয়গান  ভিক্ষাবৃত্তির মুখোশ  লন্ডন ভ্রমণ এবং সুখ-দুঃখের দু'টি কথা  শিক্ষার মানোন্নয়নে চাই যথার্থ মনিটরিং  পান্থজনঃ কী পাই নি তারি হিসাব মিলাতে মন মোর নহে রাজী  বাঙালির বৌদ্ধিক ঐতিহ্য  ৭২-এর সংবিধানের আলোকে কি রূপকল্প বদল করা উচিত নয়?  জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ :নতুন যুগের বার্তাবাহক  প্রশাসনে জনগণের আস্থা অর্জন জরুরি  পরিবেশ সুরক্ষায় তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা  রাত যায় দিন আসে  শিক্ষা ছাড়া অর্থনৈতিক মুক্তি অসম্ভব  ভালবাসা নিভিয়ে দেয় হিংসার আগুন  মহান মুক্তিযুদ্ধঃ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি  রহস্যের পর্দা সরিয়ে দ্যুতিময় এমিলি ডিকিনসন  বেগম রোকেয়াঃ নারী জাগরণের বিস্ময়কর প্রতিভা  শিক্ষারমান ও সমকালীন প্রেক্ষাপট  বিজয় দিবসঃ অর্জন ও সম্ভাবনা


দৈনিক ইত্তেফাক এর সৌজন্যে
লেখকঃ ড. তারেক শামসুর রেহমান
অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.