খবর, প্রথম আলোর- গ্যাসের ওপর বিপজ্জনক বসবাস

দেশের সবচেয়ে বড় ও সমৃদ্ধ গ্যাসক্ষেত্র তিতাস ভয়ানক বিপদাপন্ন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থিত সরকারি মালিকানাধীন এই ক্ষেত্রটির প্রায় চার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে সাত বছর ধরে যে গ্যাস উদিগরণ হচ্ছে, তা একটুও কমেনি। ফলে সেখানে বিস্ফোরণের (ব্লো আউট) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে ভূতত্ত্ববিদেরা আশঙ্কা করছেন।
১৪ ডিসেম্বর গ্যাস উদিগরণ এলাকার বাখাইল, আনন্দপুর ও শ্যামপুর গ্রাম এবং লইস্কা বিল সরেজমিনে ঘুরে দেখার সময় এলাকাবাসী বলেছেন, গ্যাসের উদিগরণ কমেছে বলে তাঁদের মনে হচ্ছে না। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে প্রথমবার ২০০৮ সালের ২৬ এপ্রিল ও দ্বিতীয়বার ওই বছরেরই ২৪ জুলাই এ এলাকা ঘুরে গ্যাস উদিগরণের যে পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল, এবারের চিত্রও সে রকমই।
মাঠের মধ্যে কোথাও কোথাও আগুন জ্বলতে দেখা গেছে এবারও। তিতাস নদী ও লইস্কা বিলের পানিতে গ্যাস উদিগরণজনিত বুদ্বুদ দেখা গেছে আগের মতোই। গ্রামগুলোর প্রতিটি বাড়িঘরের মাটি ফুঁড়ে গ্যাস ওঠার আলামত আগের মতোই সুস্পষ্ট। এলাকাবাসী সব বাড়িতেই প্লাস্টিকের সরু পাইপের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা করে নিয়েছে। নলকূপগুলো থেকেও আগের মতোই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সশব্দে পানি ও গ্যাস বের হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষের পর্যবেক্ষণ: তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের উদিগরণ-পরিস্থিতি সম্পর্কে ক্ষেত্রটির পরিচালন কোম্পানি বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) মহাব্যবস্থাপক আবদুল আখের আউয়াল প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি আগের মতোই আছে, বাড়েনি। তবে কমেছে বলা যায় না। ওই এলাকা নিয়মিত পরিদর্শন ও তত্ত্বাবধান করেন কোম্পানির উপমহাব্যবস্থাপক (তিতাস) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। তিনিও একই কথা বলেন।
তিতাস নদীর পশ্চিম পারে গ্যাসক্ষেত্রের বাখাইল ও পূর্ব পারের আনন্দপুর ও শ্যামপুর এলাকা পরিদর্শনের সময় সেখানকার বাসিন্দা মুসা মিয়া, জৈতন বেগম, সুরুজ মিয়া, সৈয়দ হোসেন, আবু তালেব, আনোয়ার হোসেন, আমেনা বেগম ও মরিয়ম খাতুন জানান, গ্যাস ওঠা একটুও কমেনি। গ্যাসের বুদ্বুদে সৃষ্ট পানির চাপে তাঁদের এলাকার কবরস্থানটি ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। চাষ করতে পারছেন না। কয়েকজন গ্রামবাসী একযোগে বলেন, তাঁরা এখনো রাতে ঘুমাতে পারেন না। ভয় পান, কখন আবার অবস্থা খারাপ হয়।
ওই এলাকার জন্য বিজিএফসিএলের নিয়োগ করা ওয়াচম্যান বেলাল মিয়া জানান, গ্যাস বের হওয়া কমেনি। এক বছরে সেখানে সিগারেটের আগুনে তিনটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তাতে কয়েকটি ঘর পুড়ে গেছে এবং একজন নারী, একটি শিশু ও একজন পুরুষ দগ্ধ হয়েছেন।
বিশেষজ্ঞ অভিমত: এভাবে অগ্নিকাণ্ডের মাধ্যমে কিংবা দৈনন্দিন প্রয়োজনে গ্রামবাসী যেভাবে গ্যাস জ্বালাচ্ছে, তা থেকেও সমগ্র এলাকায় ভয়ানক বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এ ধরনের বিস্ফোরণ শুধু গ্যাসক্ষেত্রটিকে ধ্বংস করবে না, তা বিরাট জাতীয় ক্ষতির কারণ হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরূল ইমাম প্রথম আলোকে বলেন, তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের উদিগরণ-সমস্যাকে দীর্ঘদিন অবহেলা করা হয়েছে। ফলে ক্ষেত্রটি এখন ভয়ানক বিপদাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের বিধ্বংসী বিস্ফোরণ (ব্লো আউট) ঘটতে পারে। তা ছাড়া গত কয়েক বছর ধরে যে হারে গ্যাস বের হয়ে যাচ্ছে, আরও কিছুদিন সেভাবে বের হতে থাকলে দেশের গ্যাস খাতের মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে। কাজেই সমস্যাটির দ্রুত নিরসন করা জরুরি।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক হোসেন মনসুর বলেন, ‘পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করেই আমরা নিজস্ব টাকা দিয়েই সমস্যা নিরসনের কাজ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।’
কত গ্যাস যাচ্ছে: তিতাসের বুক থেকে প্রতিদিন কী পরিমাণ গ্যাস বের হয়ে যাচ্ছে, জানতে চাইলে বিজিএফসিএলের কর্মকর্তারা এবং পেট্রোবাংলার কয়েকজন ভূতত্ত্ববিদ বলেন, এটা পরিমাপ করা সম্ভব নয়।
তবে এই ভাবনাটি অকুস্থলে বসবাসরত নানা শ্রেণীর মানুষকেও আলোড়িত করে। সে জন্য তাঁরা বিষয়টি নিয়ে ভেবে একটি হিসাবও বের করেছেন। তবে তা গ্যাসের পরিমাণের নয়, অর্থের। প্রথম আলোকে তাঁরা যে হিসাবের কথা বলেন তা হলো, তিতাসের প্রায় চার বর্গকিলোমিটার এলাকা থেকে যে পরিমাণ গ্যাস প্রতিনিয়ত বের হয়ে যাচ্ছে, তা অন্তত ১০ হাজার ডাবল বার্নার চুলায় ব্যবহূত গ্যাসের সমান। বর্তমান বাজারদরে প্রতিটি চুলা থেকে প্রতি মাসে সরকারের আয় ৪৫০ টাকা। সেই হিসাবে ১০ হাজার চুলার গ্যাসের দাম প্রতি মাসে ৪৫ লাখ টাকা। এক বছরে এর দাম হয় পাঁচ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বর্তমান হারে গ্যাস উদিগরণের সময়সীমা পাঁচ বছর ধরলেও এই সময়ে বের হয়ে যাওয়া গ্যাসের সর্বমোট দাম হবে ২৭ কোটি টাকা।
ঘটনার শুরু: তিতাস নদীর পানি এবং পার্শ্ববর্তী মাঠ, প্রান্তর ও বাড়িঘরের মাটি ফুঁড়ে গ্যাস উদিগরণ শুরু হয় প্রায় সাত বছর আগে, ২০০৩ সালের শেষ দিকে। প্রথম দিকে গ্যাস ওঠার পরিমাণ ও চাপ কম থাকায় বিশেষ কারও নজরে আসেনি। এরপর তা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। প্রায় পাঁচ বছর আগে উদিগরণের মাত্রা বর্তমান আকার ধারণ করে এবং প্রায় চার বর্গকিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তখন বিজিএফসিএল বিষয়টি আমলে নেয় এবং এর কারণ নির্ণয়ের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে।
গ্যাসক্ষেত্রটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কমিটি বলেছিল, ১০ নম্বর কূপ থেকে ছিদ্রপথে মাটির নিচে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ছে। ১০ নম্বর কূপটি যখন খনন করা হয়, তখন কূপটির টিউবের চারপাশের জায়গাগুলো সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার কাজটি ঠিকমতো করা হয়নি।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, আসলে সিমেন্ট ঠিকমতো বসে যাওয়ার আগেই ১০ নম্বর কূপটি থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়। এ কারণে ভবিষ্যতে যে সিমেন্ট করা কোনো কোনো স্থানে ছিদ্রপথ তৈরি হয়ে কূপের বাইরে মাটির নিচে গ্যাস ছড়িয়ে পড়তে পারে, সে কথা কূপ খননকারী প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক বলেছিলেন। কিন্তু কূপটি দ্রুত চালু করার জন্য রাজনৈতিক চাপ থাকায় সে কথা আমলে নেওয়া যায়নি।
গ্যাস উদিগরণের কারণ হিসেবে ১০ নম্বর কূপ চিহ্নিত করা হলে পেট্রোবাংলা তা মেরামতের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু কিছুদিন পর পেট্রোবাংলার ব্যবস্থাপনা বোর্ডে অনুমোদিত এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয় কয়েকজন ভূতত্ত্ববিদ ও প্রকৌশলীর কথায়। তাঁরা গ্যাস উদিগরণের কারণ হিসেবে বলেছিলেন ৩ নম্বর কূপ থেকে ছিদ্রপথে মাটির নিচে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার কথা। এ অবস্থায় পেট্রোবাংলা ১০ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভারের কার্যক্রম বন্ধ করে ৩ নম্বর কূপের জন্য এই কার্যক্রম গ্রহণ করে। এ কাজের জন্য আমেরিকার বিশেষজ্ঞ কোম্পানি ‘কুটস অ্যান্ড বুটস’কে নির্বাচন করা হয়। তারা ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে ৩ নম্বর কূপটি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়।
বিশেষজ্ঞ কোম্পানির প্রতিবেদন: কাজ শেষ করার পর কুটস অ্যান্ড বুটসের দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভবিষ্যতে যাতে ৩ নম্বর কূপের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সে জন্য তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের সবগুলো কূপই (মোট ১৬টি কূপ, তিনটিতে উৎপাদন বন্ধ) সার্বক্ষণিকভাবে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখতে হবে। কোনো কূপে গ্যাসের চাপ বাড়লে কিংবা কমলে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো কূপে গ্যাসের চাপ বাড়লে বুঝতে হবে ওই কূপের ভেতরে কোনো সমস্যা আছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে ওই কূপটি থেকে প্রচুর গ্যাস ছিদ্রপথে মাটির নিচে ছড়িয়ে পড়েছে। এই গ্যাস সম্পূর্ণ বের হয়ে যেতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। তবে যেখান থেকে ছিদ্রপথে মাটির নিচে গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছে, সেই কূপটি বন্ধ হওয়ায় নতুন করে আর কোনো গ্যাস ছড়াবে না। তাই পানি ও মাটি ফুঁড়ে গ্যাস ওঠাও আর বাড়বে না। বরং ক্রমান্বয়ে কমবে। কিন্তু বাস্তবে ৩ নম্বর কূপটি বন্ধ করে দেওয়ার তিন বছর পরও তা কমেনি।
গৃহীত প্রকল্প: তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের সামগ্রিক উন্নয়নে এডিবির অর্থায়নে সম্প্রতি প্রায় এক হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের পরিচালক মো. আলী মোকতাজের প্রথম আলোকে বলেন, খুব দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য ইতিমধ্যে এডিবির সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পরামর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
এই প্রকল্পের অধীনে গ্যাস উদিগরণের কারণ অনুসন্ধানে (সিপেজ স্টাডি) ব্যয় ধরা হয়েছে মাত্র সাত কোটি টাকা। এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় ক্ষেত্রটির সবগুলো কূপ মেরামত ও সংস্কার করা হবে। নতুন চারটি কূপ খনন ও গ্যাস প্রক্রিয়াকরণের জন্য নতুন দুটি প্রসেস প্লান্ট বসানো হবে। প্রকল্পের জন্য চার ধরনের পরামর্শক নিয়োগ করা হচ্ছে। এরা হচ্ছে কূপ নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ, পেট্রোলিয়াম ভূতত্ত্ববিদ, পেট্রোলিয়াম প্রকৌশলী ও রিজার্ভার প্রকৌশলী।
তবে অন্যান্য সূত্র জানায়, তিতাসের মজুদ পুনর্নির্ধারণের জন্য যে ত্রিমাত্রিক জরিপ করার কর্মসূচি ছিল গ্যাস উদিগরণের কারণে তা এখন করা যাবে না। অথচ এই কাজটিও জরুরি ছিল।
চক্রান্ত ছিল! সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভূতত্ত্ববিদ ও প্রকৌশলী প্রথম আলোকে বলেন, তিতাস ক্ষেত্রের গ্যাস উদিগরণ নিয়ন্ত্রণে বিলম্বের পেছনে চক্রান্ত ছিল। তবে অধ্যাপক বদরূল ইমাম প্রকাশ্যেই বলেন, ‘তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের এই সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই অহেতুক দেরি করেছে। এটা আমার কাছে রহস্যজনক মনে হয়। মাঝে মাঝে আমার মনে এই সন্দেহ জাগে যে এটা কি এমন কোনো মহলের চক্রান্ত, যারা দেশের গ্যাস খাতের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়ে নিজেদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়?’
বিজিএফসিএলের কর্মকর্তারা বলেন, ৩ নম্বর কূপে সমস্যা ছিল। কূপটির প্রেসার কমে যাচ্ছিল। কিন্তু ১০ নম্বর কূপে কোনো সমস্যাই ছিল না। সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় নিজস্ব অর্থ ব্যয়ে কাজের পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি।
তিতাসের ইতিহাস: ঢাকা থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর দুই তীরজুড়ে প্রায় ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় এই গ্যাসক্ষেত্রের অবস্থান। ১৯৬২ সালে তৎকালীন পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি এই ক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে। তখন এই ক্ষেত্রের মজুদ নির্ধারণ করা হয়েছিল দুই ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। এরপর ’৯২ সালে কানাডীয় প্রতিষ্ঠান আইকেএম কোম্পানি প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এই ক্ষেত্রের মজুদ পুনর্নির্ধারণ করে প্রায় চার টিসিএফ। বর্তমানে এই ক্ষেত্রে গ্যাসের চাপ, দৈনিক উৎপাদন প্রভৃতি বিবেচনা করে বিজিএফসিএলের অনুমান, এখানে মোট মজুদ সাত টিসিএফ পর্যন্ত হতে পারে। এখন পর্যন্ত এই ক্ষেত্র থেকে গ্যাস তোলা হয়েছে তিন টিসিএফের কিছু বেশি।
বিজিএফসিএলের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে প্রতিদিন এই ক্ষেত্রটি থেকে গ্যাস তোলা হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ কোটি ঘনফুট, যা বর্তমানে জাতীয়ভাবে প্রতিদিন ব্যবহূত গ্যাসের প্রায় ২০ শতাংশ। তবে ক্ষেত্রটিতে এখন গ্যাসের চাপ কমে আসছে। শুরুতে এই ক্ষেত্রে গ্যাসের চাপ (রিজার্ভার প্রেসার) ছিল প্রায় তিন হাজার ৬০০ পিএসআই। এখন তা আড়াই হাজারে নেমে গেছে। কূপগুলোতে শুরুতে গ্যাসের চাপ (ফ্লোইং ওয়েলহেড প্রেসার) ছিল আড়াই হাজার পিএসআইয়ের মতো। এখন তা এক হাজার ৭০০-তে নেমে গেছে। এই চাপ এক হাজার পিএসআইতে নামলে গ্যাসক্ষেত্রে কমপ্রেসর বসাতে হবে।
=============================
উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তুলতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ  সময়ের দাবি জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি  জনসংখ্যা বনাম জনশক্তি  ব্যাংকের টাকা নয়ছয় হওয়া উচিত নয়  একটি পুরনো সম্পর্কের স্মৃতিচিত্র  পাটশিল্প ঘুরিয়ে দিতে পারে অর্থনীতির চাকা  ড. ইউনূসকে বিতর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে হবে  সুশিক্ষার পথে এখনও বাধা অনেক  ব্যক্তির স্বাধীনতা হরণ ও মর্যাদাহানির পরিণাম কখনই শুভ হয় না ঘুষ ও লুটপাট উভয়ের বিরুদ্ধে একই সাথে লড়তে হবে  সুনীতি ও সুশাসন  আমি কেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের পক্ষে  শ্রমিক অসন্তোষ বর্তমান প্রেক্ষিত  জীবন ব্যাকরণঃ দর্জির মুক্তিযুদ্ধ  তথ্যের অধিকার ও জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ  শালীন ও সংযত কথাবার্তা কি শুধু একতরফা হতে হবে?  একটি অসমাপ্ত গল্প  মুসলিম বিশ্বে সেক্যুলারিজমের বর্তমান ও ভবিষ্যত  চীন দেশের কথা  হিকমতে হুজ্জতেদের কথা  মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে বিশ্বসভায়  ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো  বধ্যভূমিতে গেয়ে গেল যাঁরা জীবনের জয়গান  ভিক্ষাবৃত্তির মুখোশ  লন্ডন ভ্রমণ এবং সুখ-দুঃখের দু'টি কথা  শিক্ষার মানোন্নয়নে চাই যথার্থ মনিটরিং  পান্থজনঃ কী পাই নি তারি হিসাব মিলাতে মন মোর নহে রাজী  বাঙালির বৌদ্ধিক ঐতিহ্য  ৭২-এর সংবিধানের আলোকে কি রূপকল্প বদল করা উচিত নয়?  জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ :নতুন যুগের বার্তাবাহক  প্রশাসনে জনগণের আস্থা অর্জন জরুরি  পরিবেশ সুরক্ষায় তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা  রাত যায় দিন আসে  শিক্ষা ছাড়া অর্থনৈতিক মুক্তি অসম্ভব  ভালবাসা নিভিয়ে দেয় হিংসার আগুন  মহান মুক্তিযুদ্ধঃ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি  রহস্যের পর্দা সরিয়ে দ্যুতিময় এমিলি ডিকিনসন  বেগম রোকেয়াঃ নারী জাগরণের বিস্ময়কর প্রতিভা  শিক্ষারমান ও সমকালীন প্রেক্ষাপট  বিজয় দিবসঃ অর্জন ও সম্ভাবনা  একটি ট্রেন জার্নির ছবি ও মাইকেলের জীবন দর্শন


দৈনিক প্রথম আলো এর সৌজন্যে

এই খবর'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.