খবর, প্রথম আলোর- সংকেত অমান্য, দুই ট্রেনের সংঘর্ষঃ চালকসহ নিহত ১৩

রসিংদীতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় দুই চালকসহ অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত কমপক্ষে ১৫০ জন। গতকাল বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামগামী আন্তনগর মহানগর গোধূলী ও ঢাকাগামী মেইল চট্টলার মুখোমুখি সংঘর্ষে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। এতে দুটি ট্রেনের ইঞ্জিন দুমড়েমুচড়ে যায়। চট্টলার একটি বগি গোধূলীর ইঞ্জিনের ওপর উঠে যায়। নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে, সংকেত (সিগন্যাল) না মেনে চট্টলা ট্রেনটি স্টেশনের হোম সিগন্যালে ঢুকে পড়ায় মহানগর ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, দুর্ঘটনায় আটজন ঘটনাস্থলে, চারজন নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও একজন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে মারা যান। আহত ব্যক্তিদের নরসিংদী ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ রেলওয়ের বিভিন্ন বিভাগের নিরাপত্তাকর্মীরা উদ্ধারকাজে অংশ নেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে কলোনির বাসিন্দা ট্রেনচালক জহির মিয়া, আখাউড়ার রেলওয়ে স্টেশনের নিরাপত্তাকর্মী মফিজুল ইসলাম, নরসিংদী সদরের বাদুয়ারচর গ্রামের হাফিজ উদ্দিন, আখাউড়ার লোকোমোটিভ শাখার অফিস সহকারী মোহাম্মদ উল্লাহ ও গোধূলীর নিরাপত্তাকর্মী শফি আলম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নরসিংদী রেলওয়ের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা চট্টলার নরসিংদী স্টেশনে যাত্রাবিরতি ছিল না। কিন্তু ঢাকা থেকে আসা চট্টগ্রামগামী গোধূলীর এখানে যাত্রাবিরতি ছিল। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গোধূলীকে এক নম্বর লাইনে যাত্রাবিরতির জন্য সংকেত দেওয়া হয়। ওই সময়ের মধ্যে ট্রেনটি নরসিংদী স্টেশনের দিকে এগিয়ে আসার আগেই চট্টলা কাছাকাছি চলে আসে। স্টেশন কর্তৃপক্ষ আউটার সিগন্যালে থামার জন্য রেড সিগন্যাল দেয়। কিন্তু চট্টলা সিগন্যাল না মেনে স্টেশনের হোম সিগন্যাল অতিক্রম করা মাত্র ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রেনের সামনের কয়েকটি বগির অসংখ্য যাত্রী ছিটকে পড়েন। উদ্ধারকাজে প্রথমে স্থানীয় লোকজন, পরে নরসিংদী, ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ, র্যাব-৯ ও ১১ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন। রাত সোয়া আটটার দিকে আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী একটি রিলিফ ট্রেন আসে। দুর্ঘটনার পর নরসিংদী স্টেশনের কর্মীরা গা ঢাকা দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী শহরের পুরান জজকোর্টের ইব্রাহিম কবির বলেন, ‘আমি পাশের বটতলায় একটি দোকানে বসে চা খেয়ে প্ল্যাটফর্মের দিকে যাচ্ছিলাম। এমন সময় দেখি, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী চট্টলা এক নম্বর লাইনে দ্রুতগতিতে প্রবেশ করছে। অপরদিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী গোধূলীও ধীরগতিতে একই লাইনে প্রবেশ করে। এতে দুই ট্রেনের গার্ডরা লাল পতাকা উড়িয়ে একে অপরকে থামানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু এরই মধ্যে বিকট শব্দে ট্রেন দুটির মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে।’
অপর প্রত্যক্ষদর্শী স্টেশন এলাকার মুঠোফোন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘আমি কাজে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে হতভম্ব হয়ে যাই। সবাই দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। আমিও দোকান বন্ধ করে দৌড়ে স্টেশন এলাকা ছেড়ে যাই। কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারি, ট্রেন দুর্ঘটনা। এসে দেখি, অসংখ্য যাত্রী ছিটকে লাইনের পাশে পড়ে আছেন। কারও পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, আবার কারও হাত। দুর্ঘটনাস্থল রক্তে লাল হয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে লোকজন এসে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে শুরু করে।’ স্টেশনের ফল ব্যবসায়ী আবু তাহের বলেন, দুর্ঘটনার পর যাত্রীদের আহাজারিতে স্টেশন এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
মহানগর গোধূলীর যাত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আলহাজ দারু মিয়া বলেন, ‘কমলাপুর স্টেশন থেকে গোধূলী বেলা তিনটা ২৫ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। আমি ও আমার ছেলে আলাউদ্দিন ঘ বগিতে ছিলাম। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে নরসিংদী স্টেশনে যাত্রাবিরতির জন্য ট্রেনটির গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। স্টেশনের কাছাকাছি আসায় নরসিংদী স্টেশনের যাত্রীরা নামার জন্য প্রস্তুতি নেন এবং বগির দরজায় ভিড় করেন। এমন সময় বিকট শব্দে ট্রেনটি প্রচণ্ড ঝাঁকুনি খায়। এতে গেটে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক যাত্রী বাইরে ছিটকে পড়েন।’
নরসিংদীর জেলা প্রশাসক অমৃত বাড়ৈ বলেন, ‘আমাদের হিসাবমতে ট্রেনের চালক, সহকারী চালকসহ সাতজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনায় নরসিংদী জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী আহসানকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
রাত আটটার দিকে যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ, সাংসদ নজরুল ইসলাম ও জহিরুল হক এবং ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে জোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। যোগাযোগমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, এটি নাশকতা না দুর্ঘটনা, তা গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।
র্যাব-৯ ভৈরব ক্যাম্পের কমান্ডার শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, যাত্রী ও ট্রেনের নিরাপত্তার প্রশ্নে দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পর স্টেশন এলাকায় প্রশাসনিক নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করা হয়।
সহকারী স্টেশনমাস্টার বলেন, ‘মূলত এক নম্বর লাইনে যাত্রাবিরতির জন্য মহানগরের গোধূলীর সবুজ সিগন্যাল ছিল। কিন্তু এটি আসার আগেই চট্টলা হোম সিগন্যালে ঢুকে যায়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। চট্টলা সিগন্যাল না মানার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে আমাদের ধারণা।’
ঘটনাস্থলে দেখা যায়, চট্টলার ইঞ্জিন ছিটকে লাইন থেকে পড়ে আছে। গোধূলীর ইঞ্জিন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও দুমড়েমুচড়ে গেছে। চট্টলার একটি বগি গোধূলীর ইঞ্জিনের ওপর উঠে গেছে। ওই বগিতে চারটি মৃতদেহ আটকে থাকতে দেখা যায়। রাত আটটার দিকে উদ্ধারকারী দল মৃতদেহগুলো বের করে আনে।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগে আহত ব্যক্তিদের জায়গা না হওয়ায় বারান্দায় চলছে চিকিৎসাসেবা। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আহত মানুষের সংখ্যা।
চিকিৎসক আজিজুল ইসলাম খান জানান, আহত ৩০ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়।
প্রধানমন্ত্রীর শোক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়ার জন্য সামরিক-বেসামরিক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেন।
তদন্ত কমিটি: ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সরকার দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী ইউসুফ আলী মৃধার নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া রেলওয়ের বিভাগীয় পর্যায়ে চার সদস্যের অন্য কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন বিভাগীয় ট্রাফিক কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম। এই কমিটিকে দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। গতকাল রাতে সরকারি তথ্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, কমিটি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি যাঁরা: নরসিংদীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৯ জনকে রাতে ঢাকায় আনা হয়। তাঁদের মধ্যে নয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, অন্যদের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) নেওয়া হয়। রাত ১০টার দিকে শফি আলম (৫৫) নামের এক ব্যক্তি পঙ্গু হাসপাতালে মারা যান। তিনি গোধূলীর নিরাপত্তাকর্মী বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।
দুর্ঘটনার পর রাত সোয়া আটটা থেকে আহত ব্যক্তিদের মাইক্রোবাসে ও অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনা শুরু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাঁরা চিকিৎসাধীন: চট্টলা ট্রেনের চালক রফিকউদ্দিন (৩২), চট্টলার চালকের সহকারী মইনউদ্দিন (৩২), গোধূলীর চালক আরিফুর রহমান (৩৮), ট্রেন মেরামতকারী সুলতানউদ্দিন (৬৫), আবু তাহের (৫০), নিরাপত্তাকর্মী জসিমউদ্দিন (২৫), যাত্রী হুমায়ুন কবির (২৪), মাহবুবুর রহমান (২৬) ও আবদুর রউফ মাস্টার (৪৫)।
পঙ্গু হাসপাতালে যাঁরা চিকিৎসাধীন: গোধূলীর প্রধান চালক জি কে ঘোষ (৫৫), যাত্রী নাজমুল হক (২২), শরীফউদ্দিন (২৩), জামালউদ্দিন (৫০), গোলাম মোস্তফা (৫০), জাকারিয়া (৫৫), শাফায়েতউল্লাহ (১৭), জয়নাল আবেদীন (৪০) ও রাশেদুল আহসান (২৮)।
রাত সাড়ে নয়টায় প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী আহত ব্যক্তিদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। তাঁদের চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর আগে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদুল হক মল্লিক এসে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন। রাত ১১টার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক আহত ব্যক্তিদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে যান। তিনি বলেন, আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসা চলছে।
======================
আলোচনা- রবীন্দ্রনাথের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন ভাবনা  আলোচনা- 'ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ঠাঁয় নেই দরিদ্রর উচ্চ শিক্ষা  বিশেষ আলোচনা- ফিরে দেখা গঙ্গা চুক্তি  আলোচনা- 'সংসদ বর্জনের অপসংস্কৃতি বন্ধ হোক'  আলোচনা- 'উইকিলিকসে বাংলাদেশ, তারপর?  আলোচনা- 'ওয়াংগালাঃ গারোদের জাতীয় উৎসব'  স্মরণ- 'বাঘা যতীনঃ অগ্নিযুগের মহানায়ক'  খবর, কালের কণ্ঠের- আগেই ধ্বংস মহাস্থানগঃ হাইকোর্টের নির্দেশে কাজ বন্ধ  কেয়ার্নের সঙ্গে স্বার্থবিরোধী চুক্তির পেছনেও জ্বালানি উপদেষ্টা  উইকিলিকস জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আত্মসমর্পণ  সবুজ মাঠ পেরিয়ে  আলোচনা- 'আরো অনুদানের টাকা সরিয়েছিলেন ইউনূস'  আলোচনা- 'একটি 'উজ্জ্বল ভাবমূর্তির' এভারেস্ট থেকে পতন  গল্পালোচনা- 'আসি আসি করে আশিতে আসবে!'  রাষ্ট্র ও রাজনীতিঃ সবুজ মাঠ পেরিয়ে  স্মরণ- 'রবীন্দ্রনাথ—সার্ধশত জন্মবার্ষিকীতে'  স্মরণ- 'জননেতা দেওয়ান ফরিদ গাজী'  আলোচনা- 'প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন পর্যায়'  আলোচনা- 'কর্মপরিবেশঃ স্বর্গে তৈরি'  গল্পালোচনা- ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া...’  আন্তর্জাতিক- উইকিলিকসঃ হাটে হাঁড়ি ভাঙা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ  গল্পসল্প- ওরা ধান কুড়ানির দল  শিক্ষা- আদিবাসী পাহাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চাই  জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের অর্থের মূল উৎস সৌদি আরব  রাজনৈতিক আলোচনা- এমন বন্ধু থাকলে...  শিল্প-অর্থনীতি শেয়ারবাজারের সুন্দরী প্রতিযোগিতা-তত্ত্ব  সাক্ষাৎকার- খাদ্যনিরাপত্তার জন্য বিকল্প উপায় খুঁজতা হবে  খবর, প্রথম আলোর-  দলীয় স্বার্থ বড় করে দেখবেন না  মার্কিন কূটনীতিকদের গোপন তারবার্তাঃ পাকিস্তানে জঙ্গি নির্মূলে ১০-১৫ বছর লাগবে  অধ্যাপক ইউনূসের অর্থ স্থানান্তর : গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাখ্যা  শিল্প-অর্থনীতি 'সময় এসেছে মাথা তুলে দাঁড়াবার'  প্রকৃতি- 'কিয়োটো প্রটোকল ভেস্তে যাচ্ছে, কানকুনে কী হবে?  আলোচনা- 'মেয়েদের লাঞ্ছনা বন্ধ করতে কঠোর হতে হবে'  যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'আগ্নেয়গিরির ওপরে পিকনিক'


দৈনিক প্রথম আলো এর সৌজন্যে

এই খবর'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.