দুবাইয়ে স্পিন লড়াই

একজন বলছেন, ‘আমাদের দৃষ্টি শুধুই ক্রিকেটে, আমরা মাঠের ক্রিকেটেই মন দিতে চাই।’ আরেকজনের কথা, ‘সামনের পাঁচটি টেস্টের জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। বছর তিনেক ধরেই এই সংস্করণে আমরা দারুণ সফল, এই সাফল্য ধরে রাখতে চাই।’
বক্তা দুজন দুই দলের অধিনায়ক। আজ শুরু টেস্ট সিরিজের আগে দুই দলের বর্তমান অবস্থাটাই যেন ফুটে উঠছে দুই অধিনায়কের কথায়। আরও একটি বিতর্কে টালমাটাল পাকিস্তান ক্রিকেটের যে অবস্থা, তাতে মাঠের ক্রিকেটে মনোযোগ দেওয়াই কঠিন। মিসবাহ-উল হকের কণ্ঠে সেই কথাই। টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের ২ নম্বর দল দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করা। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি টেস্ট, আর দেশের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে তিন টেস্ট ম্যাচের সিরিজ জিতে সেদিকেই এগিয়ে যেতে চান গ্রায়েম স্মিথ।
মিসবাহ যা বলেছেন, কিছুদিন ধরে প্রতিটি পাকিস্তান অধিনায়ককে প্রায় প্রতি ম্যাচের আগে তা-ই বলতে হচ্ছে। মাঠের বাইরের বিতর্ক যে পাকিস্তান ক্রিকেটের পিছু ছাড়ছেই না! ‘প্রতিটি অধিনায়ক’ বলার কারণ, বিতর্কের মতো নিত্যনতুন অধিনায়ককেও দেখছে পাকিস্তান ক্রিকেট। মিসবাহই যেমন এ বছর পাকিস্তানের চতুর্থ টেস্ট অধিনায়ক!
লক্ষ্যে ভিন্নতা থাকলেও দুই দলের কৌশল কিন্তু এক। স্পিনে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চায় দুই দলই। পাকিস্তানের স্কোয়াডে স্পেশালিস্ট স্পিনার আছেন দুজন। দুজনকেই খেলানোর কথা জানিয়ে দিয়েছেন মিসবাহ, ‘আমাদের মূল শক্তি হলো স্পিন, আমরা এটাকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। উইকেট দেখে মনে হলো স্পিনারদের এখানে বড় ভূমিকা থাকবে।’ সাঈদ আজমল ও আবদুর রেহমান তো আছেনই, মিসবাহ কাজে লাগাতে পারবেন ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজের অফ স্পিনও। বাঁহাতি স্পিনার রেহমান টেস্ট খেলবেন তিন বছর পর, ২০০৭ সালে দুটি টেস্ট খেলেছিলেন এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই।
স্পিন না হয় পাকিস্তানের মূল শক্তি। কিন্তু যাদের মূল শক্তি পেস বোলিং, তাদেরও দুই স্পিনার নিয়ে নামতে বাধ্য করছে উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার একাদশে থাকছেন একজন অফ স্পিনার ও একজন বাঁহাতি স্পিনার—ইয়োহান বোথা ও পল হ্যারিস। স্পিন লড়াইয়ে জয়ী দলটাই হয়তো হাসবে শেষ হাসি। পাকিস্তান দলে অভিষেক হচ্ছে ‘মেজো আকমল’ আদনানের। ১০১তম টেস্ট ভেন্যু হিসেবে অভিষেক হচ্ছে দুবাইয়ের।

No comments

Powered by Blogger.