বিফলে সাঙ্গাকারার শেষ চেষ্টাও

ওপেনার থারাঙ্গা পারানাভিতানাকে নিয়ে যখন মাঠ ছেড়ে আসছেন কুমার সাঙ্গাকারা, ধন্দে পড়ে গেলেন ধারাভাষ্যকারেরাও। প্রথমে মনে হয়েছিল আলোকস্বল্পতায় বুঝি বন্ধ হলো খেলা। একটু পর পরিষ্কার হলো সবকিছু, প্রথম ইনিংসে পাওয়া ১৪৪ রানের লিডের সঙ্গে আর ৫৭ যোগ করেই দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। উদ্দেশ্য, মরা ম্যাচে যদি কিছুটা প্রাণ ফেরানো যায়!
সফল হয়নি শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের চেষ্টা। জয়ের জন্য ২২ ওভারে ২০২ রান প্রয়োজন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ভীষণ কঠিন, কিন্তু গেইল-বারাথা-ব্রাভো ভাইদের মতো স্ট্রোক প্লেয়ারসমৃদ্ধ দলের জন্য অসম্ভবও ছিল না। কিন্তু টি-টোয়েন্টির রোমাঞ্চ টানেনি ক্যারিবিয়ানদের, টানলেও খুব একটা লাভ হতো কিনা সন্দেহ। ওই ২২ ওভারের অর্ধেক হতেই আবারও আলোকস্বল্পতায় শেষ হয়েছে খেলা। প্রথমটির মতো দ্বিতীয় টেস্টও নিষ্প্রাণ ড্র। পাল্লেকেলের নতুন স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী শেষ টেস্ট শুরু ১ ডিসেম্বর।
বৃষ্টির কারণে চতুর্থ দিন মাঠে গড়ায়নি একটি বলও। কাল বৃষ্টি না হলেও আগের দিনের বৃষ্টিতেই মাঠ অনুপযুক্ত থাকায় খেলা শুরু হলো লাঞ্চের পর। ৫ উইকেটে ১৬৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা ক্যারিবিয়ানদের শুরুটা মন্দ হয়নি। রঙ্গনা হেরাথের বলে ডোয়াইন ব্রাভোর স্টাম্পিংয়ে শুরু হয় মড়ক। পরের দুই ওভারে ‘বড়’ ব্রাভোকে অনুসরণ করেন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি ও সুলিমান বেন। প্রথম টেস্ট ফিফটির ৬ বছর পর উইকেটকিপার কার্লটন বাফের দ্বিতীয় ফিফটি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে যায় ২৪৩ পর্যন্ত।

No comments

Powered by Blogger.