অদ্ভুত ফিচার- 'সাপের সঙ্গে বসবাস'

খেলনার টাট্টুঘোড়ার মতো জ্যান্ত অজগরের পিঠে বসে আছে একটি শিশু। আর অজগরটি ঘুরে বেড়াচ্ছে রাস্তায়। এমনটা হয়তো অনেকে কল্পনাতেও আনেন না।
কিন্তু ফিলিস্তিনের রামাল্লার জামাল আমওয়াসির দুই বছরের মেয়েটি ঠিক সেই কাজটিই করছে।
সে হরহামেশা অজগরের পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়ায়। কোনো ভয়ডর নেই তার। ‘সন্তানকে সাপের মুখে ফেলে মা-বাবাই বা কীভাবে নিশ্চিন্ত আছেন’—এমনটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই। কেননা জামাল আমওয়াসি একজন মস্ত বড় ওঝা। সাপের সঙ্গেই তাঁর ২৪ ঘণ্টা বসবাস। তাঁর দাবি, যত বিষধর সাপই দংশন করুক না কেন, বিষ নামাতে পারেন তিনি।
৩৫ বছরের আমওয়াসির এক ডজনেরও বেশি সাপ রয়েছে। এর মধ্যে বিশালাকায় অজগরও আছে। পশ্চিম তীরের রামাল্লার এই বাসিন্দার বসতঘরের পাশেই একটি চালাঘরে সাপগুলোর বসবাস। পরিবারের অন্য সদস্যদের মতোই ভয়ানক এ প্রাণীগুলোর প্রতি আমওয়াসির সমান ভালোবাসা। ‘সাপগুলো আমার পরিবারের অংশ হয়ে গেছে। নিয়মিত এগুলোর দেখাশোনা করি। সকালে-রাতে দুবেলা খাবার দিই।’ বলছিলেন আমওয়াসি।
শৈশবে আর দশটি বালকের মতোই দুরন্ত ছিলেন আমওয়াসি। বাড়ির পাশে পাহাড়ি এলাকা চষে পাখি ও হরিণ শিকার ছিল তাঁর কাজ। পশুপাখির প্রতি শৈশবের এ আসক্তিই একটা সময় তাঁকে সাপের প্রতি দুর্বল করে তোলে। ধীরে ধীরে তিনি গড়ে তোলেন বিভিন্ন প্রজাতির সাপের এক সংগ্রহশালা। স্থানীয় সাপ ধরার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বার্মা প্রজাতির অজগরও সংগ্রহ করেছেন তিনি। এ ছাড়া ২০টির মতো বিষধর সাপও ছিল। কিন্তু সন্তান অথবা প্রতিবেশীদের দংশন করতে পারে সেই ভয়ে সাপগুলো ছেড়ে দিয়েছেন। শহর থেকে অনেক দূরে প্রত্যন্ত এলাকায় এগুলো তিনি অবমুক্ত করেন।
বাবার মতো আমওয়াসির সন্তানেরাও সাপের প্রেমে পড়েছে। বাবা বাড়িতে না থাকলে সাপকে খাওয়ানোর কাজ তাঁর ১৩ বছরের ছেলে ইব্রাহিমই করে থাকে। তার ভাষ্য, ‘সাপটাপে ভয় নেই আমার।’ তবে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কাণ্ডটি করছে তার ছোট্ট বোন নাতালি। দুই বছরের এই পুঁচকে মেয়েটি ভয়ানক এ প্রাণীটিকে সে নিয়মিত চুমু খায়। খেলতে ইচ্ছে করলে অজগরের পিঠে চড়ে বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়। অজগরও তাকে নিয়ে হেলেদুলে চলতে থাকে।
সাধারণত মুরগি, হাঁস ও খরগোশই খাবার হিসেবে সাপকে দেওয়া হয়। সপ্তাহ দুয়েক আগে একটি অজগরের জন্য একটি মেষশাবক আনা হয়। সেটি ছিল নাতালির চেয়েও বড়। কিন্তু তারপরও মেয়েকে নিয়ে বিন্দুমাত্র শঙ্কা নেই আমওয়াসির। তিনি বলেন, ‘কিছু খাওয়ার আগে সাপগুলো তা শুঁকে পরীক্ষা করে নেয়। তাছাড়া এ সাপ মানুষ খায় না।’
তবে আমওয়াসির এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন আরেক ঝানু সাপুড়ে জোনাটন ভ্রস্কি। ইসরায়েলের একটি চিড়িয়াখানার সঙ্গে যুক্ত এ সাপুড়ে বলেছেন, ‘বার্মার অজগর ধ্বংসাত্মক। এটা এমন একটা সাপ, যা একার পক্ষে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।’
কাঁড়ি কাঁড়ি সাপ নিয়ে বসবাস কিন্তু একটু-আধটু উটকো ঝামেলা হবে না, তা কি হয়? বিশ্বস্ত অজগরের দংশন সইতে হয়েছে আমওয়াসিকেও। তাঁর বাঁ হাতে এখনো সে দাগ আছে। কিন্তু আমওয়াসির দাবি, ‘মুরগি ভেবে সাপ তাঁকে দংশন করেছিল।’ এএফপি।
=========================
কিশোর আলোচনা- 'দুর্ভাগা হিরোশিমা-নাগাসাকি' by মীর আমজাদ আলী কল্পিত বিজ্ঞান কাহিনী- 'আবিষ্কার কাজী' by মাসুম বিল্লাহ  কল্পিত বিজ্ঞান কাহিনী- 'ছায়াহীন আগন্তুক' by আমিনুল ইসলাম আকন্দ  কল্পিত বিজ্ঞান কাহিনী- 'জায়ান্ট হান্টার' by মহিউদ্দিন আকবর  গল্প- 'হাসে বাঁকা চাঁদ' by আহসান হাবিব বুলবুল  গল্প- 'বড়বাড়ির জঙ্গলে' by শরীফ আবদুল গোফরান গল্প- 'পরিবর্তন' by বিশ্বাস আবুল কালাম গল্প- 'মিতুর জ্যোৎস্না রাত' by আবদুল্লাহ আল হোসাইন  গল্প- 'জিয়ানার আনন্দ-অভিমান' by বেগম রাজিয়া হোসাইন  গল্প- 'এক মুঠো স্বপ্ন' by কাজী রিচি ইসলাম  গল্প- 'মাটির গন্ধ' by জুবায়ের হুসাইন  গল্প- 'বোকাইকে কেউ বুঝি ডাকলো' by ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ  গল্প- 'নাকিবের একা একা ঝিল দেখা' by হারুন ইবনে শাহাদাত  গল্প- 'উসামার বায়না ও আইলার জন্য ভালোবাসা' by চেমনআরা  গল্প- 'উরুমকিতে আর্তনাদ' by আহমদ মতিউর রহমান  গল্প- 'টবের গোলাপ' by দিলারা মেসবাহ  রম্য গল্প- 'তুচ্ছ ঘটনা' by মোহাম্মদ লিয়াকত আলী  গল্প- 'নদী কত দূর' by অজিত হরি সাহু, অনুবাদ- হোসেন মাহমুদ


ফিচারটি প্রথম আলো এর সৌজন্যে

এই ফিচার'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.