আরামবাগের ‘বঙ্গবন্ধু জয়

মুক্তিযোদ্ধাকে ২-১ গোলে হারিয়ে ৭ ম্যাচ পর জয় পেল আরামবাগ। এই জয়ে তাদের অবনমন শঙ্কা দূর হয়েছে অনেকটা। অন্যদিকে আগের ম্যাচেই অবনমন এড়ানো প্রায় নিশ্চিত করে ফেলা মুক্তিযোদ্ধা আবার বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েছে। এদিন মাঠে থাকলেও দল সাজানো নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার কোচের কোনো ভূমিকা ছিল না!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গতকালের আগ পর্যন্ত এবারের লিগে কোনো জয় পায়নি আরামবাগ। এক অর্থে কাল তারা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম জয় করল। ১১তম ম্যাচে শুকতারাকে হারানোর ৭ ম্যাচ পর এল এই জয়, যেটা ফিরতি পর্বে তাদের প্রথম।
দুটি গোলই তৈরি করে দিয়েছেন মিডফিল্ডার মলয়। ৪৯ মিনিটে তাঁর থ্রু পাসে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সুবেয়ার মোহাম্মদ প্রথম গোল করেন (১-০)। ৫৩ মিনিটে আলফাজের সৌজন্যে স্কোরলাইন হয় ২-০। পোড় খাওয়া এই স্ট্রাইকারও দারুণ গোল করেছেন মলয়ের থ্রু পাসে (লিগে এটি আলফাজের দশম গোল)। ৬৭ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে একটি গোল শোধ করেন রাফায়েল।
১৯ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ১৩ দলের লিগে এখন নবম স্থানে আরামবাগ। সমান ম্যাচে ২০ পয়েন্ট পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে সপ্তম স্থানে।
প্রতীক্ষিত জয় পেয়ে আরামবাগ শিবিরে ছিল বাড়তি উল্লাস। মাঠেই কেঁদে ফেললেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম (খোকন)। কোচ ওয়াজেদ গাজীর চোখেও চিকচিক করছিল আনন্দাশ্রু। জোরালো গলায় বললেন, ‘ত্রিশ বছরের কোচিং জীবনে কখনো কোনো দল আমার হাতে রেলিগেটেড হয়নি। এবারও হবে না ইনশাআল্লাহ।’
ওদিকে মুক্তিযোদ্ধায় চলছে বিশৃঙ্খলা, যা বোঝা গেল কোচ আতিকুর রহমানের কথায়, ‘কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় আমার সমালোচনা করছে নিজেদের সীমা লঙ্ঘন করে। ব্যাপারটা এমন, যেন তাদের মনমতো যেন চলতে হবে আমাকে। এই অবস্থায় আমি মাঠে থাকলেও দল এদিন সাজাইনি। পরাজয়ের দায় আমি নেব না।’

No comments

Powered by Blogger.