বিসিসিআইয়ের এক নম্বর শত্রু মোদি

লোলিত মোদির বিরুদ্ধে সর্বশেষ অভিযোগ—ক্রিকেট বিশ্বকে তিনি দ্বিধাবিভক্ত করে ফেলতে চেয়েছিলেন। তিনি নাকি ইংল্যান্ডে আইসিএল ধরনের একটা টুর্নামেন্ট চালুর জন্য গোপন বৈঠকও করেছেন। এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা চেয়ে বিসিসিআই নোটিশ দেওয়ার পরদিনই বিতর্ক-জর্জরিত ক্রিকেট সংগঠক মোদি স্রেফ উড়িয়ে দিলেন এসব অভিযোগ।
আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করতে দিল্লিতে আসা মোদি দাবি করছেন, তাঁর বিরুদ্ধে নতুন এই অভিযোগও বিসিসিআইয়ের ‘শত্রুতা’র একটি অংশ। এখন নাকি তিনি বিসিসিআইয়ের এক নম্বর শত্রু! মোদির দাবি, তাঁর হয়ে পৃথিবীর মানুষই বিসিসিআইকে জবাব দেবে, ‘এটা এখন আমার জীবনের অংশ হয়ে গেছে। আমি বেশ কিছুদিন ধরেই বিসিসিআইয়ের এক নম্বর শত্রুতে পরিণত হয়েছি। আমি এতে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি না। যা প্রতিক্রিয়া জানানোর এই বিশ্ব জানাবে। আর নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য তো আমার হাতে ১৫ দিন সময় আছে।’
এই নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য ১৫ দিন সময় পেলেও দ্রুত সময় ফুরিয়ে আসছে প্রথম নোটিশের জবাব দেওয়ার। ওই নোটিশেই মোদির বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগমালা দায়ের করেছিল বিসিসিআই। মোদি জানালেন, আগামীকাল সশরীরে গিয়ে তিনি সেই নোটিশের জবাব দিয়ে আসবেন, ‘ওই কারণ দর্শাও নোটিশের জবাব তৈরি করে ফেলেছি। সোমবার আমি নিজে গিয়েই সেটা জমা দিয়ে আসব। আমার লুকানোর কিছু নেই।’
বিসিসিআই মোদির জবাব পাওয়ার পর কী হবে, কে জানে। তবে মোদি এখনো আশাবাদী ফেরার ব্যাপারে। আর যদি না-ই ফিরতে পারেন, আইপিএলের কী হবে? মোদি মনে করেন, আইপিএল এখন যে রকম ‘ব্র্যান্ডে’ পরিণত হয়েছে, তাতে টুর্নামেন্টটা আর বিপদে পড়বে না, ‘আমরা একটা শক্ত কাঠামো তৈরি করেছি। আমার মনে হয় না (তাঁর অনুপস্থিতিতে) আইপিএল বিপদে পড়বে। আমার ধারণা, প্রতিষ্ঠানটি চালানোর মতো যথেষ্ট যোগ্য লোক আছে।’
ওদিকে মোদি-ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের দাবি, বিসিসিআইয়ের চেয়ে পাঠানো বিভিন্ন দলিলপত্রের মূল কপি মোদি বুঝিয়ে দিয়েছেন। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিপত্রসহ কিছু দরপত্রের মূল কপি মোদির বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গিয়েছিল। সেগুলো মোদি নাকি বিসিসিআইয়ের—এই বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রত্নাকর শেঠিকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.