বেল পড়ল কীভাবে

রাজশাহীর ফিল্ডারদের দাবি ইলিয়াস সানি বোল্ড। আম্পায়ার বলছেন, অফ স্পিনার ফরহাদ হোসেনের বল টার্ন করে এতটাই বেরিয়ে যাচ্ছিল যে বল স্টাম্পে লাগারই কথা নয়। এত দ্রুত সব ঘটে গেছে যে বল স্টাম্পে লেগেছে কি না সেটা বুঝতেই পারেননি লেগ আম্পায়ার। তবে উইকেটকিপার স্টাম্পিং করেননি, সেটা তিনি নিশ্চিত। তাহলে প্রশ্ন, বেল ফেলল কে?
কৌতূহলোদ্দীপক এই ঘটনা ঘটেছে কাল জাতীয় লিগের রাজশাহী-চট্টগ্রাম ফাইনালের দ্বিতীয় দিনে। দিনের শেষ ওভারটি করছিলেন রাজশাহীর অফ স্পিনার ফরহাদ হোসেন, ব্যাট করছিলেন চট্টগ্রামের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ইলিয়াস সানি। ওভারের তৃতীয় বলে রাজশাহীর জোরালো আবেদন। আবেদন কট বিহাইন্ড বা স্টাম্পিংয়ের নয়, বোল্ডের! কিন্তু আম্পায়ার এনামুল হক বলছেন, ‘ব্যাটসম্যান অনেক সামনে ছিল বলে বল স্টাম্পে লেগেছে কি না দেখতে পাইনি। তবে বলটা যে রকম টার্ন করেছে, স্টাম্পে লাগার কথা না।’ দ্বিধা দূর করতে তিনি সাহায্য চাইলেন লেগ আম্পায়ার নাদির শাহর। কিন্তু ঘটনা অতি দ্রুত ঘটে যাওয়ায় বলটা স্টাম্পে লেগেছে কি না সেটা নাকি বুঝতে পারেননি তিনিও।
অগত্যা উপায় একটাই, ম্যাচ রেফারির সাহায্য চাওয়া। থার্ড আম্পায়ারের ব্যবস্থা না থাকলেও ম্যাচটা টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে বলে রকিবুল হাসান নিশ্চয়ই ঘটনাটা টেলিভিশনে দেখেছেন। তিনিও অসহায়, ওই সময় নাকি টিভিতে খেলাই দেখা যাচ্ছিল না! উইকেট আর বেলের ময়নাতদন্তও নিশ্চিত কিছু বলছিল না। ব্যাটসম্যান ইলিয়াস সানি তাই পেয়ে গেলেন বেনিফিট অব ডাউট। ‘বেল কীভাবে পড়ল, সেটা নিশ্চিত না হয়ে তো আমরা আউটের সিদ্ধান্ত দিতে পারি না’—বলেছেন আম্পায়ার এনামুল। বেল পড়ল কীভাবে, সেটা তাই রহস্য হয়েই থাকল।

No comments

Powered by Blogger.