ড্রয়ের চিন্তা নিয়েও এগোচ্ছে রাজশাহী

মিরপুর জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগের ফাইনাল কাল দ্বিতীয় দিনে কিছু দর্শক দেখেছিল। কিন্তু গোটা পঞ্চাশেক দর্শকের বেশির ভাগই আবার লাঞ্চের পরপর চলে গেল। যাওয়ার সময় অনেককেই বলতে শোনা গেল—দূর, দূর! এটা কোনো ব্যাটিং? এ খেলা দেখার চেয়ে না দেখাই ভালো।
আগের দিনের ৫ উইকেটে ২০৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা রাজশাহী অলআউট হয়েছে ৩৭২ রানে। পরশু ৯০ ওভার খেলেছিল, কাল অলআউট হওয়ার আগে খেলেছে আরও ৭৯ ওভার। এতে ২.০৭ গড়ে উঠেছে ১৬৪ রান। এই শ্লথ ব্যাটিং কি পরিকল্পিত? রাজশাহীর অধিনায়ক খালেদ মাসুদের উত্তর, ‘ম্যাচ ড্র করলেই আমরা চ্যাম্পিয়ন হব। এমনিতে ম্যাচের ফল হলে আগের পাওয়া পয়েন্ট হিসেব হবে না। আর যদি ড্র হয় তাহলে আগের পয়েন্ট যোগ হবে। আর আমরা ওদের চেয়ে ৫ পয়েন্ট বেশি (রাজশাহী ৮৯, চট্টগ্রাম ৮৪) নিয়ে ফাইনালে এসেছি।’
দর্শকদের তৃপ্তি দেওয়ার চেয়ে শিরোপাটাই আসল বলে হয়তো উইকেট কামড়ে পড়ে থাকতে চেয়েছে রাজশাহী। আগের দিন অপরাজিত থাকা দুই ব্যাটসম্যান মাসুদ (৫৫) ও আনিসুর (৫২) হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। আট নম্বরে নেমে ধীমান ঘোষও (৬৬*) অনুসরণ করেছেন জ্যেষ্ঠ সতীর্থদের। তবে আনিসুর ছাড়া বাকি দুজনের ব্যাটিং ছিল কচ্ছপ গতির। মাসুদ ৬টি চারের মাধ্যমে ৫৫ রান করেছেন ২২০ বলে। ধীমানের অপরাজিত ৬৬ রান এসেছে ১৮৯ বলে। আনিসুর ৫২ করেছেন ৯৫ বলে।
ধীর ব্যাটিং করেও ওভাবে আগের পয়েন্টের কল্যাণে কি শিরোপা জেতা হবে রাজশাহীর? ম্যাচটি যে পাঁচ দিনের। কাল গেল কেবল দ্বিতীয় দিন। আর দ্বিতীয় দিনের শেষে কোনো উইকেট না হারিয়েই চট্টগ্রাম ৯ ওভারে করেছে ২১ রান। গাজী সালাউদ্দিন ১১ ও মাহবুবুল করিম ৬ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।
রাজশাহী অবশ্য শেষ দিকে দ্রুত উইকেট না হারালে শ্লথ ব্যাটিংয়ের পরও এর চেয়ে বড় স্কোর করতে পারত। মাসুদ-আনিসুরের ৭৭ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটির পর সপ্তম উইকেটে ধীমানকে নিয়েও ওই একই রানের জুটি গড়ে দলকে ৩৩৩ রানে নিয়ে যান মাসুদ। তিনি আউট হয়ে গেলে ধীমানকে আর কেউ ভালো সঙ্গ দিতে পারেননি। ৩৯ রানে পড়েছে শেষ ৩ উইকেট।

No comments

Powered by Blogger.