হামাস কমান্ডার হত্যায় মোসাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ নেই: ইসরায়েল

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান বলেছেন, দুবাইয়ে হামাস নেতার সন্দেহভাজন হত্যাকারীদের তালিকায় বিদেশি বংশোদ্ভূত ইসরায়েলিদের পরিচয় ব্যবহার করার অর্থ এই নয় যে, তা এ হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণ করে। তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো প্রমাণ নেই।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, ওই খুনের ধরন বিশ্লেষণ করে এবং দুবাই পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মনে হয়, এতে মোসাদ জড়িত ছিল।
কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ওই খুনের ঘটনার সঙ্গে হামাসের নেতা খালেদ মিসাল হত্যায় মোসাদের ব্যর্থ চেষ্টার ঘটনা মিলিয়ে দেখছেন। মাসালকে ১৯৯৭ সালে মোসাদের সদস্যরা বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মোসাদের সদস্যরা তখন কানাডীয় নাগরিকদের ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহার করেন।
গত জানুয়ারি মাসে দুবাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে হামাস নেতা মাহমুদ আল-মাবহোর মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ১১ জন ইউরোপীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে দুবাই পুলিশ।
দুবাই পুলিশের সন্দেহভাজনের তালিকায় থাকা ১১ ইউরোপীয়র মধ্যে সাতজনই ইসরায়েলে বাস করেন।
তাঁদের ছয়জন ব্রিটিশ এবং তাঁরা ইসরায়েলের অভিবাসী। অপরজন ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। দুবাইয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিনি জার্মান পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন।
ব্রিটিশ নাগরিকেরা কীভাবে ইসরায়েলে বাস করছে, এর কারণ ব্যাখ্যার জন্য গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি দূতকে ডেকে পাঠিয়েছে ব্রিটেন। সন্দেহভাজন হত্যাকারীদের পাসপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পরই ইসরায়েলি দূতকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.