পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্যের দাবিতে ডাকা বনেধ অচল ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ

পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনে বিলম্ব হওয়ার প্রতিবাদে ডাকা বনেধ অচল হয়ে পড়েছে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের রাজধানী হায়দরাবাদ ও তেলেঙ্গানা অঞ্চলের আরও নয়টি জেলা। জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি (জেএসি) নামে ছাত্রদের একটি সংগঠন গতকাল বুধবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার এ বন্ধ্ ডেকেছে।
তেলেঙ্গানা রাজ্যে গঠনের দাবি মানতে দেরি হওয়ায় গত সোমবারের পর থেকে আন্দোলনে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল হায়দরাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও গতকাল সহিংসতা হয়েছে। পুলিশের লাঠিপেটায় সেখানে ৪৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
গতকাল বনেধর প্রথম দিনে মেদাক, নিজামাবাদ, নালগোণ্ডা ও করিমনগরসহ নয়টি জেলায় স্কুল-কলেজ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। বিক্ষোভকারীদের হামলার ভয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনও তাদের বাস সার্ভিস বন্ধ রাখে। কিছু বেসরকারি যানবাহন ও ট্যাক্সি চলাচল করলেও যাত্রীদের গুনতে হয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া। ফলে চাকরিজীবী মানুষ কর্মস্থলে পৌঁছাতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন। হায়দরাবাদের অনেক এলাকায় আগের দিন রাত থেকে বন্ধ ছিল বেশির ভাগ পেট্রলপাম্প।
পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিলম্বের প্রতিবাদে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গত সোমবার গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেন ভেনুগোপাল রেড্ডি নামের এক ছাত্র। পরদিন মঙ্গলবার মাহবুবনগরে একইভাবে আত্মহত্যা করেন সুবর্ণামা নামে এক ছাত্রী।
দুই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার পর বুধবার থেকে দুই দিনের হরতাল ডাকে জেএসি। রাজ্যের সব রাজনৈতিক দল এ কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছে।
ভেনুগোপাল রেড্ডির মৃতদেহ নিয়ে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার রাতভার তাঁরা মৃতদেহ নিয়ে বসে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে। তাঁরা জানান, তেলেঙ্গানা রাজ্যের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ওই অঞ্চলের সব সাংসদ পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাঁরা লাশ নিয়ে যেতে দেবেন না। বুধবার সকালে পুলিশ মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি এবং প্রজা রাজ্যম পার্টির ছয় সাংসদ তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার জন্য গত মঙ্গলবার রাতে রাজ্য বিধানসভার স্পিকার কিরণকুমার রেড্ডির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তবে স্পিকার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য দুই-তিন দিন সময় চেয়েছেন

No comments

Powered by Blogger.