মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে মতিউর রহমান চৌধুরী: সংকট উত্তরণে দেশে-প্রবাসে সবাইকে কাজ করতে হবে

বাংলাদেশ একটি সংকটকালীন অবস্থার মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। এই সংকট উত্তরণে দেশে-প্রবাসে সব নাগরিককে কাজ করতে হবে। দেশের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

যুক্তরাজ্যের ওল্ডহ্যামে আয়োজিত মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে একথা বলেন দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী। বৃটেন সফর উপলক্ষে মানবজমিন প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও সম্পাদক মাহবুবা চৌধুরীর সম্মানে রোববার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রবাস-বাংলা টিভি (পিবিটিভি)। অনুষ্ঠানে গ্রেটার ম্যানচেস্টারে বসবাসরত সাহিত্যিক-সাংবাদিক-রাজনীতিক-ব্যবসায়ীসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
ওল্ডহ্যামের এম্পায়ার স্যুটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মানবজমিন প্রধান সম্পাদক বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহান ও ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। সততা, নিরপেক্ষতা ও নির্ভীক থাকা এই পেশার ধর্ম। বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে পেশার এই ধর্ম অনেকেই রক্ষা করতে পারেন না। সরকার সবসময়ই সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করতে চায়। তাই অনেকেই জেল-জুলুমের ভয়ে সত্য প্রকাশ করতে চান না। আবার অনেকেই সরকারের আনুগত্য লাভের আশায় সত্য প্রকাশে বিমুখ থাকেন।  স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে সাংবাদিকতার এই ধারাই চলে এসেছে। তিনি বলেন, জীবনে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। কিন্তু কখনো থেমে থাকিনি। সকল প্রতিকূলতা-প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে এ পর্যন্ত এসেছি। সামনের দিনেও এই পথে অবিচল থাকতে চাই।
মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী জনগোষ্ঠী কঠিন পরিশ্রম করে তাদের উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছেন। কয়েক প্রজন্ম ধরে সিলেটিরা যুক্তরাজ্যে বসবাস করে দেশকে অনেক কিছু দিয়েছেন, এখনো দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সিলেটিদের পাঠানো এই বিপুল অর্থ কোনো উৎপাদনশীল খাতে ব্যয় হচ্ছে না। শহর-গ্রামে কোটি কোটি টাকায় বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু কোনো শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে না। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ যদি উৎপাদন খাতে ব্যয় হয় তাহলে বিপুল কর্মসংস্থানেরও সুযোগ তৈরি হতো।
অনুষ্ঠানে মানবজমিন সম্পাদক ও বিশিষ্ট ছড়াকার, শিশু সাহিত্যিক মাহবুবা চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকতায় নিরপেক্ষতা রক্ষা করতে গিয়ে মতিউর রহমান চৌধুরী বার বার ঝুঁঁকির মুখে পড়েছেন। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। শাসকদের অনেক লোভনীয় টোপ পেয়েছেন। কোনো লোভের ফাঁদে কখনো পা দেননি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আগত অতিথিদের ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান পিবিটিভির পরিচালকবৃন্দ। কবি ও অধ্যাপক নূরুজ্জামান মনি তার রচিত শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ ‘মেঘপরি ঘুমপরি’ অতিথি-দম্পতির হাতে তুলে দেন। এ ছাড়া পিবিটিভির পক্ষ থেকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিবিটিভির চেয়ারম্যান আফজাল রব্বানী, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিজানুর রহমান মিজান, সিইও আহমেদ জুনেদ, ডাইরেক্টর মো. শিবলী, ফারুক আহমাদ, জাকি মোস্তফা টুটুল, মিজানুর রহমান লিটু, তকলিছ মিয়া, বশির আহমাদ, কলামিস্ট ফারুক আহমদ জোসী, কাউন্সেলর আব্দুল জব্বার, অধ্যাপক কবি নুরুজ্জামান মনি, সাংবাদিক এম কিবরিয়া, শাহ কাইয়ুম, তৈয়বুর রহমান শ্যামল, সৈয়দ মিজান প্রমুখ।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.