পাকিস্তান ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসে মদদ দিচ্ছে: রাহুল গান্ধী

যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে ভারত-পাকিস্তান কূটনৈতিক ইস্যুতে মুখ খুললেন ভারতের বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। জানালেন, পাকিস্তান যেভাবে ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসবাদে ইন্ধন যুগিয়ে চলেছে তাতে দুই দেশেরই ক্ষতি।

ওয়াশিংটন ডিসিতে এক অনুষ্ঠানে রাহুল বলেন, ‘পাকিস্তান সন্ত্রাসের মদতদাতা। ভারতের মাটিতে হিংসা ছড়াতে লাগাতার সন্ত্রাসে মদদ যুগিয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশ। ভারত এটা কোনোভাবেই সহ্য করবে না। যতক্ষণ না তারা (পাকিস্তান) এটি বন্ধ করছে, ততক্ষণ সমস্যা থাকবে।

আগামী মাসে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সরকারি প্রধানদের বৈঠকের ঠিক আগে এমন মন্তব্য করলেন এই কংগ্রেস নেতা। এদিকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ইসলামাবাদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে।

মোদি পাকিস্তান সফরকারী শেষ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তার তৎকালীন প্রতিপক্ষ নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দেখা করার জন্য লাহোরে গিয়েছিলেন। ভারতে আসা শেষ পাকিস্তানি নেতা ছিলেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, যিনি গত বছরের মে মাসে গোয়ায় অনুষ্ঠিত এসসিও-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর নয়াদিল্লি তার প্রতিবেশীকে দেওয়া ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’ তকমা প্রত্যাহার করে। ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের পর দুই দেশের মধ্যে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। একই বছর আগস্টে ভারত ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার পরে ইসলামাবাদ তীব্র প্রতিবাদ করেছিল।

পাশাপাশি আমেরিকা ও চীনের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও মুখ খোলেন রাহুল গান্ধী।

আমেরিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভারত ও আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্কে দু’টি মুখ্য বিষয় রয়েছে প্রথমটি হলো প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমি মনে করি আমরা উভয়েই এই বিষয়ে ভালো কাজ করছি। আর দ্বিতীয়টি হলো চীন।’

বর্তমানে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে চীনের আগ্রাসী নীতির বিরোধিতা ও দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় বিরুদ্ধে ভারত ও আমেরিকার কাছে আসার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য বলে মনে করেন রাহুল।

সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস

mzamin

No comments

Powered by Blogger.