ফের মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ইরান
ফের মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে ইরান। রাশিয়াকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে মঙ্গলবার তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হোয়াইট হাউস। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানিও ইরানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কয়েক সপ্তাহের সতর্কতার পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার কাছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ খবর দিয়েছে জার্মান ভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি অভিযোগ করেছে ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়ার কাছে দূর-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হস্তান্তর করেছে ইরান। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বর্তমানে লন্ডন সফরে রয়েছেন। সেখানে তিনি বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। ব্লিঙ্কেন বলেছেন, রাশিয়া এখন এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের চালান হাতে পেয়েছে এবং সম্ভবত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহার করবে মস্কো বাহিনী। তিনি আরও বলেন, রাশিয়াকে দেয়া এসব ক্ষেপণাস্ত্র বহু দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। বুধবার মার্কিন ও বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কিয়েভ সফরের কথা রয়েছে। ফ্রান্স, বৃটেন এবং জার্মানির সরকার এসব ক্ষেপণাস্ত্র হস্তান্তরে ইরান ও রাশিয়ার নিন্দা জানিয়েছে। তেহরান ও মস্কোর এমন অস্ত্র বিনিময় ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করছে ইউরোপের এসব দেশ। এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। ইরানের এভিয়েশন সংস্থাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন হতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেছেন, ইউরোপের দেশগুলোতে ইরানের বাণিজ্যিক ফ্লাইট সীমিত হতে পারে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সরাসরি বিমান যোগাযোগ বন্ধ হতে পারে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানাবে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবিকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়াকে দেয়া ইরানের এসব ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় ৭৫ মাইলের মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এর মাধ্যমে রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের সামনের সারি ভেদ করতে সক্ষম হতে পারে। তিনি আরও বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের জন্যও ইরানের অস্ত্র সহায়তা বিপজ্জনক হতে পারে। কেননা তেহরান এখন পারমাণবিক বিষয়ে রাশিয়ার প্রযুক্তি ব্যবহারে সহায়তা পাবে। কিরবি বলেছেন, ইরানকে আগেই নতুন এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে তেহরানের অর্থনৈতিক সঙ্কট আরও প্রকট হবে বলে ধারণা যুক্তরাষ্ট্রের।
No comments