এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের পদত্যাগ
সূত্র জানায়, মাহবুবুল আলম সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখান থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠান।
গত ৫ই আগস্ট পর এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগ করার দাবি জানিয়ে গত ১৮ই আগস্ট অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে চিঠি দেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি আবুল কাসেম হায়দারসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী।
ওই চিঠিতে বলা হয়, গত ১৫ই বছরে এফবিসিসিআইয়ের কার্যক্রম ব্যবসা, শিল্প-বাণিজ্য ও সেবা খাতের স্বার্থে পরিচালিত হয়নি। বরং অনির্বাচিত, একদলীয় স্বৈরাচারী সরকারের তোষামোদি, ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলসহ রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর ছিল। রাজনৈতিক মদদপুষ্ট কিছু অসাধু, অব্যবসায়ী পর্ষদের নেতৃত্বে এসে এফবিসিসিআই অফিসকে দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করেছে। বিভিন্ন বাজার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করে তারা দেশের সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল।
এ ছাড়া গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর ও ২১শে আগস্ট এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলমসহ পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন পালন করেছেন ফেডারেশনের সদস্যদের একাংশ।
এফবিসিসিআইয়ের একাংশের সদস্যদের প্রশাসক নিয়োগের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিটিও কার্যালয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে অংশ নিতে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বরাবর নোটিশ পাঠানো হয়।
শুনানিতে এফবিসিসিআইয়ের একাংশের সদস্যরা ডিটিও মহাপরিচালককে বলেন, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম সহ পরিচালনা পর্ষদের ৭৯ জন পরিচালক এফবিসিসিআইয়ের কার্যালয়ে আসছেন না। এতে এফবিসিসিআইয়ের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়েছে। ব্যবসায়ীরা নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ অবস্থায় এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে একজন প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হোক।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২রা আগস্ট ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদে একক প্রার্থী হিসেবে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি নির্বাচিত হন মাহবুবুল আলম। পরিচালনা পর্ষদের মধ্যে চেম্বার ও এসোসিয়েশন থেকে ৪০ জন করে মোট ৮০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি, একজন সিনিয়র সহসভাপতি এবং ছয়জন সহসভাপতি নির্বাচিত হন।
No comments