পারমাণবিক অস্ত্র কার্যক্রম বন্ধে রাজি উত্তর কোরিয়া

পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো স্থগিত করতে রাজি হয়েছে উত্তর কোরিয়া। তবে এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়াকে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছে, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে তাদের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর কোনো প্রয়োজন নেই।   এছাড়া, এক দশকেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্মেলনে বসতেও রাজি হয়েছে দেশটি। এপ্রিলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের প্রথম বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা প্রধান চুং ইউই-ইয়ং। চুং জানান, ওই সম্মেলনের আয়োজন করা হবে দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী সেনামুক্ত এলাকায়।  এ খবর দিয়েছে সিএনএন ও হারেৎস।  সম্মেলন নিয়ে চুন জানান, দুই কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানের যোগাযোগের জন্য হটলাইন স্থাপন করা হবে। তিনি আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়া। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করার নানা ইস্যু নিয়ে উন্মুক্ত সংলাপ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গত সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা প্রধান চুং সহ সরকারের শীর্ষ চার কর্মকর্তাকে পিয়ংইয়ং পাঠান। সেখানে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম ও তার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দল। ২০১১ সালে ক্ষমতা নেয়ার পর এবারই প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি’র খবরে বলা হয়, বৈঠক শেষে কিম জানিয়েছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চান তিনি।
পিয়ংইয়ংয়ে সফর করা দক্ষিণ কোরিয়ার চার শীর্ষ কর্মকর্তার চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ওয়াশিংটন যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তারা মার্কিন কর্মকর্তাদের ব্রিফ করবেন। দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলার ইঙ্গিতে যুক্তরাষ্ট্র ‘সতর্কতার সঙ্গেই আশাবাদী’ বলে উল্লেখ করেছে। তবে, পিয়ংইয়ং তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের কার্যক্রম বন্ধ না করলে আনুষ্ঠানিক আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।

No comments

Powered by Blogger.