মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী মামলা

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল মান্নান হাওলাদারের বিরুদ্ধে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজওয়ানুজ্জামানের আদালতে রোববার বিকালে এ মামলা করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান আবু (মামলা নং সিআর ১২২/২০১৭)। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন। কমান্ডার আবদুল মান্নান হাওলাদার স্থানীয় তমেজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মান্নান হাওলাদারের ভাই আবদুর রাজ্জাক ও একই এলাকার নূর আলীর ছেলে হযরত আলী। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ধর্ষণসহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন বাদী। মামলা পরিচালনাকারী সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার কীর্ত্তনিয়া মিন্টু জানান, সিনিয়র জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি (নং সিআর ১২২/১৭) দাখিল করা হয়। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত তা আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী মিজানুর রহমান জানান, 'বাবার হত্যাকারীদের বিচারের জন্য মামলা করেছি। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক এটাই এখন প্রত্যাশা।' মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৯ জুন মামলার ৪ নম্বর সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন আধিকারীকে রাজাকার জালালের বাড়ির সামনে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় ছুরি চালানো হয়। তবে চিত্তরঞ্জন আধিকারীকে হত্যা করতে না পেরে সুরেন্দ্র নাথ অধিকারীকে হত্যা করে মৃতদেহ গুম করে ফেলা হয়। ১৮ আগস্ট বাদীর বাবা মতিয়ার রহমান এবং ১ নম্বর সাক্ষী মনমথ রঞ্জন মিস্ত্রির বাবা মনোহর মিস্ত্রিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে মনোহরের বাড়িতে আগুন দেয়া হয়। পূর্ব পাকিস্তানের সেনাদের দোসর আলবদর, আলশামস, রাজাকরদের কাছে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র নিয়ে এলাকার নিরীহ মানুষের গচ্ছিত অর্থ সম্পদ লুটপাট, এলাকায় ত্রাস সৃষ্টিসহ একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।

No comments

Powered by Blogger.