হার্টের রোগীর পা কেটে বাদ, ‍মৃত্যু

হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর চিকিত্‍সা করতে গিয়ে তার পা কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। আর সে জেরেই শেষ পর্যন্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ভারতের বেসরকারি হাসপাতাল মেডিকার বিরুদ্ধে আমরি, অ্যাপোলোর পরে এবার বেসরকারি হাসপাতাল মেডিকার বিরুদ্ধে চিকিত্‍সায় গাফিলতিতে এ রোগীমৃত্যুর অভিযোগ উঠল। গত ৬ মার্চ বুকে ব্যথা নিয়ে মেডিকা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন সুনীলকুমার পান্ডে নামে ৪২ বছর বয়সী এক রোগী। পরীক্ষার পরে তার হৃদযন্ত্রে রক্ত বহনকারী ধমনীতে ব্লকেজ ধরা পড়ে। হৃদযন্ত্রে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করতে চিকিত্‍সকরা তার অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করার সিদ্ধান্ত নেন। চিকিত্‍সার অংশ হিসেবে তার পায়ের শিরায় অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু পরে সেই ক্ষত থেকে গ্যাংগ্রিন সৃষ্টি হয়েছে বলে সুনীলের পরিবারকে জানানো হয়।
এর ফলে তার প্রাণ সংশয় দেখা দিতে পারে বলেও জানানো হয়। সেই কারণে পরিবারের সম্মতি নিয়ে গত ১১ মার্চ অস্ত্রোপচার করে সুনীলবাবুর বাঁ-পায়ের গোড়ালির উপর থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত কেটে বাদ দেওয়া হয়। সোমবার সকাল ৫-০৫ মিনিটে সুনীল পান্ডের মৃত্যু হয়। এর জেরে এদিন পূর্ব যাদবপুর থানায় মেডিকা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিত্‍সকদের বিরুদ্ধে চিকিত্‍সায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের স্ত্রী সুজাতা পান্ডে। তার দাবি, চিকিত্‍সার বিষয়ে প্রতিদিন ভিন্ন তথ্য দিয়ে রোগীর পরিজনদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে। গাফিলতির কারণেই শেষ পর্যন্ত তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি কাঁটাপুকুর মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে সমস্ত রোগীর পরিজনদের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেডিকা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুনীলকে যে সঙ্কটজনক অবস্থায় এ হাসপাতালে আনা হয়, তাতে তার বাঁচার আশা অত্যন্ত ক্ষীণ ছিল। হাসপাতালের সর্বাধুনিক চিকিত্‍সা ব্যবস্থার কারণেই সেই সময় তার প্রাণরক্ষা করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু পরে তার শারীরিক পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠার পরে চিকিত্‍সকদের সব রকম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
সূত্র: এই সময়

No comments

Powered by Blogger.