স্বপ্ন নিয়ে ‘লাকি ভেন্যু’তে মাশরাফিরা by প্রণব বল

রাস্তার দুপাশে উৎসুক জনতা। তাঁদের সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে। বাংলাদেশের বাস এর মাঝে কঠোর নিরাপত্তায় চলল। হর্ষধ্বনিতে ফেটে পড়ল মানুষজন। কেউ কেউ প্রিয় তারকাদের হাত নেড়ে স্বাগত জানালেন। বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রাও গ্রহণ করলেন এই শুভকামনা।
এভাবেই আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম পৌঁছেছে বাংলাদেশ। সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকাও। বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছে দুদল। এর পর তাদের নিয়ে আসা হয় হোটেলে। এবার প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামের নবনির্মিত পাঁচ তারকা হোটেল র‌্যাডিসন ব্লু বাংলাদেশ দলের ঠিকানা।
হোটেলে ঢোকার মুখেও ছিল উৎসুক মানুষের জটলা। বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে হোটেলে ওঠার সময় প্রিয় ক্রিকেটারদের নাম ধরে ডাকাডাকিও করেছে সমর্থকেরা। দ্বিতীয় ম্যাচের দাপুটে জয় আশাবাদী করে তুলেছে অনেককেই। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার আগে এই ভালোবাসা মাশরাফিদের বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাবে নিশ্চয়ই।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বুধবার সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুদল। ‘ফাইনাল’ হয়ে ওঠা এই ম্যাচের টিকিট যেন সোনার হরিণ। টিকিটের জন্য হাহাকার। আগামী পরশু জিতলে পাকিস্তান, ভারতের পর আরও একটি বড় দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়। সেটিও টানা। এমন সোনালি অর্জনের হাতছানি যখন সামনে, তার সাক্ষী কে না হতে চায়!
চট্টগ্রাম বাংলাদেশকে স্বপ্নও দেখাচ্ছে। এই ভেন্যু বাংলাদেশের জন্য খুবই সৌভাগ্যের। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৫টি ওয়ানডে খেলে নয়টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে আছে ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্মরণীয় সেই জয়ও। এ মাঠে সর্বশেষ সাত ম্যাচের ছয়টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ।
তবে এখানে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে একমাত্র ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে। কিন্তু ওই বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশ এক নয়। এবার চট্টগ্রাম নিশ্চয়ই হতাশ করতে চাইবে না মাশরাফিদের।
গত ম্যাচের দুই নায়ক নাসির ও সৌম্য। ছবি: চট্টগ্রামে থেকে সৌরভ দাশ

No comments

Powered by Blogger.