আমি আবহাওয়া অফিসে চাকরি করি না -রাজনীতিতে ঝড়ের পূর্বাভাস প্রশ্নে মতিয়া

দেশের উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির পর যে শান্তভাব বিরাজ করছে তাতে খানিকটা স্বস্তিবোধ করছেন উদ্বিগ্ন কূটনীতিকরা। তবে এ অবস্থা কতদিন ধরে রাখা যাবে তা নিয়ে চিন্তিত তারা। দীর্ঘ মেয়াদে এটি ধরে রাখার জন্য সরকার ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কি ব্যবস্থা নিচ্ছে, আদৌ কোন উদ্যোগ আছে কি-না তা জানতে চান বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীরা। গতকাল সরকারের কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল ঢাকায় কয়েক মাস আগে দায়িত্ব নেয়া জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী রবার্ট ওয়াটকিন্সের। সরকারি দলের প্রভাবশালী ওই নেত্রীর সঙ্গে এই প্রথম বৈঠক করেন জাতিসংঘ দূত। দুপুরের পর সচিবালয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে কথা হয়েছে তাদের মধ্যে। সেখানে অন্যান্য ইস্যুর সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়। জাতিসংঘ দূত সিটি নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক  পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে এ পরিস্থিতি রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের কোন ঝড়ের পূর্বাভাস কি-না সেটি জানতে চান তিনি। পোড় খাওয়া রাজনীতিক মতিয়া চৌধুরী অবশ্য প্রসঙ্গটি বেশিদূর এগুতে দেননি। ইউএনডিপি দূতের জিজ্ঞাসার জবাবে মন্ত্রী বলেন, তিনি আবহাওয়া অফিসে চাকরি করেন না বিধায় এটি ঝড়ের কোন পূর্বাভাস কি-না সে সম্পর্কে বলতে পারছেন না। বৈঠক শেষে মতিয়া চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, ‘তিনি জানতে চেয়েছেন বর্তমান শান্ত পরিস্থিতি রাজনীতিতে বড় ধরনের ঝড়ের কোন পূর্বাভাস কিনা। আমি তাকে বলেছি আমি আবহাওয়া অফিসে চাকরি করি না।’ তার সঙ্গে কি কি বিষয়ে কথা হয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমি তাকে বলেছি আপনারা যদি বিএনপির বন্ধু হয়ে থাকেন, তা হলে বিএনপি নেত্রীকে গণতান্ত্রিক রাজনীতি করতে বলুন। সেখানে মেয়েদের বিয়ের বয়স নিয়ে কথা হয়েছে। মতিয়া চৌধুরী বলেন, দুনিয়ার কোন দেশে কত বয়সে বিয়ে হয়, তার তথ্য-উপাত্ত আমি তাকে সরবরাহ করেছি। বিশেষ করে ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে ১৬ বছরে মেয়ে বিয়ে দেয়ার যে বিধান রয়েছে সেটি তুলে ধরেছি। উল্লেখ্য, গত মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়েদুনও দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত ভাব নিয়ে কথা বলেছেন। এই অবস্থাকে ভঙ্গুর বলে মন্তব্য করে তিনি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান প্রত্যাশা করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.