আইসিডিডিআরবিতে অসন্তোষ by শিশির মোড়ল

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ চলছে। ব্র্যাকের কাছে বছরে এক টাকা ভাড়ায় মূল ভবনের ৪০,৫০০ বর্গফুট জায়গা ৪৯ বছরের জন্য ইজারা, খাবার ও যাতায়াত থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহার, বৈজ্ঞানিক জার্নাল বিক্রি করায় এই অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু অনিয়মের প্রতিবাদে ও একাধিক দাবিতে প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আন্দোলন করছেন। কর্মীমঙ্গল সংস্থার নেতৃত্বে তাঁরা ২৭ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত নিয়মিত কালো ব্যাজ ধারণ, সমাবেশ, প্রতিষ্ঠানের ফটক অবরোধ ও মিছিল করেছেন। রমজান উপলক্ষে আন্দোলন স্থগিত আছে। ঈদের পর আন্দোলনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠী, স্বাস্থ্যসম্পর্কিত দেশি পেশাজীবী ও সংগঠন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে পৃথক তিনটি মতবিনিময় সভা করার ঘোষণা দিয়েছেন। কর্মীমঙ্গল সংস্থা আইসিডিডিআরবির বেতনভুক বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন। এর সদস্য সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার হাজার। আইসিডিডিআরবির একাধিক সাবেক ও বর্তমান বিজ্ঞানী বলেন, প্রতিষ্ঠানে এ রকম পরিস্থিতি আগে কখনো হয়নি।
জানতে চাইলে আইসিডিডিআরবির যোগাযোগ ও উন্নয়ন শাখা থেকে প্রথম আলোকে বলা হয়, আইসিডিডিআরবির অধ্যাদেশ, বিধি-বিধান ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের অনুমোদন অনুযায়ী সবকিছু হয়। কর্মীমঙ্গল সংস্থা তাদের সদস্যদের উদ্বেগের বিষয়গুলো তুলে ধরায় আইসিডিডিআরবি কর্তৃপক্ষ স্বাগত জানিয়েছে। সংগঠনটির সাম্প্রতিক তোলা সব দাবি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।
পুষ্টিবিজ্ঞানী এস কে রায় ১৯৭৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আইসিডিডিআরবিতে কর্মরত ছিলেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞানীরা মানসিক কষ্টে থাকবেন, অধিকারের জন্য আন্দোলন করবেন—এ রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া দুঃখজনক। সরকার, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও দাতাগোষ্ঠীর উচিত সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানে মনোযোগী হওয়া।
রাজধানী মহাখালী এলাকায় আইসিডিডিআরবির প্রতিষ্ঠা ১৯৬০ সালে। ডায়রিয়া চিকিৎসায় খাবার স্যালাইন আবিষ্কারের কারণে সারা পৃথিবীতে পরিচিতি পায় এই প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৮ সালে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার একে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের রূপ দেয়। সরকার এ পর্যন্ত চার একর জমি দিয়েছে আইসিডিডিআরবিকে।
বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে চার হাজার ৪৩৬ জন দেশি এবং ২৪ জন বিদেশি কর্মরত। এখানে বিজ্ঞানীর সংখ্যা ২১২ জন, এঁদের মধ্যে সাতজন বিদেশি। বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ, দাতা সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, ফাউন্ডেশন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবিকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।
১৭ সদস্যের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ আইসিডিডিআরবির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী সংস্থা। স্বাস্থ্যসচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সচিব এবং সরকারের একজন প্রতিনিধি ছাড়া বোর্ডের বাকি সদস্যরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নীতিনির্ধারক বলেন, সরকার আন্তর্জাতিক এই প্রতিষ্ঠানের কাজে নাক গলাতে চায় না। তবে এই প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হোক সরকার তা দেখাতে চায়।
৪০,৫০০ বর্গফুটের ভাড়া বছরে এক টাকা: আইসিডিডিআরবি মূল ভবনের ষষ্ঠ তলা ৪৯ বছরের জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস পি. গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের কাছে ইজারা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইজারা দলিলে স্বাক্ষর করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আইনুন নিশাত এবং আইসিডিডিআরবির সাবেক নির্বাহী পরিচালক আলেহান্দ্রো ক্রেভিয়েটো।
ব্র্যাক ও আইসিডিডিআরবির কাজ সম্পর্কে অবহিত এমন একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের দেশি পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় এই চুক্তি হয়েছিল। সরকারের অনুমতি ছাড়া জায়গা ইজারা দেওয়া আইনের লঙ্ঘন। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে ব্র্যাক। আর আইসিডিডিআরবির কিছু বিজ্ঞানী কোনো দিন শিক্ষকতা না করেই অধ্যাপক হয়ে গেছেন।
ইজারা দলিলে দেখা যায়, চুক্তি কার্যকর হয়েছে ২০১০ সালের ১ নভেম্বর থেকে, চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০৫৯ সালের ৩১ অক্টোবর। চুক্তিতে আরও বলা হয়েছে ব্র্যাকের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মূল ভবনের বিভিন্ন এলাকার সাতটি লিফট, ছয়টি জরুরি নির্গমন পথ ও করিডোর ব্যবহার করতে পারবেন।
আইসিডিডিআরবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বরের সভার কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, বোর্ডকে না জানিয়ে ব্র্যাককে এই জায়গা দেওয়া হয়েছিল। আইসিডিডিআরবি প্রথম আলোকে জানিয়েছে, আলেহান্দ্রো এই জায়গা ব্র্যাককে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ তা অনুমোদন করে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ব্র্যাকের পাবলিক হেলথ স্কুল আইসিডিডিআরবির ভবনে শুরু হওয়ার পর আলেহান্দ্রোসহ প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ওই স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। অন্য ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্তে আলেহান্দ্রোর বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় তিনি ২০১২ সালের জুন মাসে চাকরি ছেড়ে চলে যান।
ইজারা নেওয়ার ব্যাপারে ব্র্যাকের ভাইস চেয়ারপারসন আহমেদ মোশতাক রাজা চৌধুরী দাবি করেন, ব্র্যাক ও আইসিডিডিআরবির যৌথ উদ্যোগে জেমস পি. গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই অবস্থান থেকে আইসিডিডিআরবি জায়গা স্কুলকে দিয়েছে। জায়গা ব্যবহার উপযোগী করার জন্য ব্র্যাক ১৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। আর আইসিডিডিআরবির বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী অধ্যাপক হয়ে এখানে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।
কর্মীমঙ্গল সংস্থার ক্ষোভের কারণ—বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের জন্য স্থান সংকুলান না হওয়ায় আইসিডিডিআরবি কর্তৃপক্ষ নিকেতন ও তেজগাঁওয়ে ভবন ভাড়া নিয়েছে। মাসে প্রায় ১০ লাখ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বহুতল ভবনের দুটি তলা একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করেছে।
জার্নাল বিক্রি: আইসিডিডিআরবি কর্তৃপক্ষ ‘জার্নাল অব হেলথ, পপুলেশন অ্যান্ড নিউট্রিশন’ সংক্ষেপে জেএইচপিএন-এর মালিকানাস্বত্ব বিক্রি করে দিয়েছে। জার্মানির প্রতিষ্ঠান বায়োমেড সেন্ট্রাল এটি কিনে নিয়েছে।
কর্মীমঙ্গল সংস্থা অভিযোগ করেছে, প্রথমত, এই জার্নাল বিক্রি করার দরকারই ছিল না। দ্বিতীয়ত আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান ছাড়াই এই জার্নাল বিক্রি করা হয়েছে। কত দামে এই জার্নাল বিক্রি হয়েছে তা এখনো বিজ্ঞানী ও কর্মীদের জানানো হয়নি।
‘প্রাচ্যের ল্যানসেট’ নামে পরিচিত এই জার্নাল বিক্রি হওয়ায় আইসিডিডিআরবির একাধিক গবেষক দুঃখ প্রকাশ করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জ্যেষ্ঠ গবেষক বলেন, খরচ কমানোর অজুহাতে জার্নালটি বিক্রি করা হয়েছে।
আইসিডিডিআরবি কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিষ্ঠানের মূল গুরুত্ব গবেষণার ওপর। প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ মনে করে জার্নালটি যদি বাইরের প্রকাশক দিয়ে প্রকাশ করা হয় তাহলে বেশি কার্যকর হবে।
জার্নালের নতুন ওয়েবসাইটে দেখা যায়, এর নতুন সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল্লাহ বাকি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের মাতৃ ও নবজাতক কেন্দ্রের পরিচালক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি আইসিডিডিআরবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের একজন প্রভাবশালী সদস্যের নিকট আত্মীয়।
গত ৩৩ বছর ধরে জেএইচপিএন প্রকাশ করে আসছিল আইসিডিডিআরবি। আগে এর নাম ছিল জার্নাল অব ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ (জেডিডিআর)। প্রভাব বিস্তারকারী মানের (ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর) নিরিখে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারতের ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিকেল রিসার্চ-এর পরেই ছিল জেএইচপিএন-এর স্থান।
এই জার্নালে লেখা ছাপানোর জন্য কর্তৃপক্ষকে কোনো অর্থ দিতে হতো না। কিন্তু এখন প্রতিটি প্রবন্ধের জন্য বায়োমেড সেন্ট্রালকে দুই হাজার মার্কিন ডলার দিতে হবে বাছাই প্রক্রিয়ার খরচ বাবদ।
ভর্তুকি প্রত্যাহার: আইসিডিডিআরবি কর্তৃপক্ষ ক্যানটিনের খাবারে ও যাতায়াতে ভর্তুকি দিয়ে আসছে ১৯৭৮ সাল থেকে। এর ফলে অর্ধেক মূল্যে ক্যানটিনে খেতে ও বাসে যাতায়াত করতে পারতেন সব স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। কর্তৃপক্ষ গত ফেব্রুয়ারিতে ভর্তুকি বন্ধ করে দেয়। প্রতিবাদে বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বড় অংশ ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ক্যানটিনে খাওয়া ও বাসে যাতায়াত বন্ধ রেখেছেন।
কর্মীমঙ্গল সংস্থার নেতারা বার্ষিক আয়-ব্যয়ের কাগজ প্রথম আলোকে দিয়ে বলেন যে ১৯৮০ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের বাজেট ঘাটতি ছিল। গত তিন বছর বাজেট উদ্বৃত্ত হচ্ছে। শুধু ২০১৪ সালেই উদ্বৃত্ত ছিল চার লাখ মার্কিন ডলার। এখন ভর্তুকি প্রত্যাহার মেনে নেওয়া যায় না।
বৈষম্যের অভিযোগ: প্রতিষ্ঠানের বিধি অনুযায়ী চাকরির বয়সসীমা ৬০ বছর। একাধিক আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জনকারী বাংলাদেশি বিজ্ঞানীকে ৬০ বছর বয়সের পর আর চাকরিতে রাখা হয়নি। কিন্তু বিদেশিদের ক্ষেত্রে এই বিধির ব্যতিক্রম ঘটেছে। বর্তমান নির্বাহী পরিচালক জন ডি ক্লেমেন্সের বয়স ৬৬ বছর।
আইসিডিডিআরবির অধ্যাদেশে বলা আছে, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও কর্মকর্তারা জাতিসংঘের বেতন কাঠামো অনুসারে বেতন ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা এবং কর্মীমঙ্গল সংস্থা বলেছে, বিদেশিদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম অনুসরণ করা হলেও বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে আইসিডিডিআরবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘বেতন ও সুযোগ-সুবিধার পরিকল্পনা অনুমোদন করে আইসিডিডিআরবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। বোর্ড সকল কর্মচারীর প্রতিযোগিতামূলক বেতন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
করণীয়: কর্মীমঙ্গল সংস্থা অভিযোগ করেছে, জনবল কাঠামোতে না থাকলেও অনিয়ম করে কিছু পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কেনাকাটায় আর্থিক অনিয়মের কথাও প্রকাশ্য সমাবেশে বলা হচ্ছে। সংস্থার সদস্যরা এসব অনিয়ম দূর করতে আন্তর্জাতিক তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন।
কাগজপত্রে দেখা যায়, বর্তমান মুখ্য পরিচালন কর্মকর্তা ইনগ্রিড রেনডের মাসিক বেতন ১৩ লাখ টাকার বেশি। তিনি বাড়ি ভাড়া পান দুই লাখ টাকা। সঙ্গে সার্বক্ষণিক গাড়ি ও চালক। এ ছাড়া বছরে চারবার পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় বিজনেস ক্লাসে বিমানের টিকিট পাবেন। কোনো বিজ্ঞানী এই বেতন ও সুযোগ পান না।
পুষ্টিবিজ্ঞানী এস কে রায় বলেন, আইসিডিডিআরবি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, এখানে প্রশাসকের চেয়ে গবেষক ও বিজ্ঞানীর প্রয়োজন বেশি। বিজ্ঞানীরা আন্তর্জাতিকপর্যায়ে প্রতিযোগিতা করে গবেষণার অর্থ সংগ্রহ করেন। এর একটি অংশ প্রশাসনে ব্যয় হয়। সুতরাং অধিকসংখ্যক অদক্ষ জনবল নাকি কমসংখ্যক দক্ষ জনবল লাভজনক—তা প্রশাসনকেই ভাবতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.