অভিযোগপত্রের আগে সরকারি চাকুরে গ্রেপ্তারে অনুমতি লাগবে, মন্ত্রিসভায় খসড়া অনুমোদন

ফৌজদারি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার আগে সরকারের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করতে চাইলে সরকারের অনুমতি লাগবে। তবে আদালত অভিযোগপত্র অনুমোদন করলে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি লাগবে না। সরকারি কর্মচারীদের বিষয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত যুক্ত করে সরকারি কর্মচারী আইন-২০১৫-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই খসড়া অনুমোদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
আজকের সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন না। তবে সৈয়দ আশরাফকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি না, তা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি আজকের সভায় ছিলেন না, তার মানে এই নয় যে আগামী সভায় তিনি উপস্থিত থাকবেন না।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন বলেন, সরকারি কর্মচারী আইন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। জাতীয় সংসদ এতদিন এ ব্যাপারে আইন প্রণয়ন করেনি বিধায় সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির বিধিমালার মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীরা পরিচালিত হচ্ছেন। এ আইনকে সরকারি কর্মচারী আইন বলা হলেও সাংবিধানিক পদে নিয়োজিত বিচার বিভাগ, সশস্ত্র বাহিনী, যেকোনো পোশাকধারী সুশৃঙ্খল বাহিনী, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী, উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ আইনের আওতায় পড়বেন না। আজকের বৈঠকে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অধ্যাদেশ-২০১৫-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার তাঁর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: ফোকাস বাংলা

No comments

Powered by Blogger.