পরিবারের দাবি ডিবি পুলিশ তাকে অপহরণ করেছিল, খুনি শাহ আলমের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

ঝালকাঠির রাজাপুরের শুক্তাগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আলম বাহিনীর প্রধান পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও খুনি শাহ আলমের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে রাজাপুরের নৈকাঠি এলাকার বাড়ির পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে তার পরিবারের দাবি দুইদিন আগে ঢাকা রামপুরার বাসার সামনে থেকে সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ তাকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, গতকাল বাড়ির পার্শ্ববর্তী জঙ্গলের পাশে একটি লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ঝালকাঠি মর্গে পাঠায়। সে স্থানীয় আলম বাহিনীর প্রধান ও তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি হত্যা মামলাসহ ডজন খানেক মামলা রয়েছে। তবে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি পুলিশ। নিহত আলমের ভাই ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান জানান, দুইদিন আগে তার রামপুরার বাসার সামনে থেকে সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ সদস্যরা হাতকড়া পরিয়ে তুলে নিয়ে যায়। এর পরে রামপুরা থানায় একটি জিডিও করে তার পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় সূত্র মতে, সে একজন খুনি হিসেবে পরিচিত ছিল। যার সঙ্গে দ্বন্দ্ব থাকতো তাকেই খুন করে লাশ গুম করতো। এরশাদ সরকারের সময় সে জিনের বাদশা হিসেবে প্রতারণা ব্যবসা শুরু করে। সেখান থেকেই সে কোটিপতি বনে যান। এরপর সে চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবে আবির্ভূত হন। সবার উপরে মা নামে একটি চলচ্চিত্রে প্রযোজক ছিলেন। এবং সর্বশেষ রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে রাজাপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জালিয়াতি প্রতারণা ও হত্যাকাণ্ডের হোতা হিসেবে তার নাম পুলিশ ও র‌্যাবের তালিকায় রয়েছে। রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গিয়াস বলেন, ‘তার নামে দেশের বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ বেশ কিছু মামলার খবর পাওয়া গেছে। সে পুলিশের তালিকাভুক্ত একজন আসামি। তবে এ ঘটনায় ঠিক কারা জড়িত সেটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’ তবে ডিবি বা কারা তাকে তুলে নিয়ে গেছে সে ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোন তথ্য নেই।

No comments

Powered by Blogger.