ওরা এখন আইএসের জিম্মায়

আইএসে যোগ দেওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ
পরিবারের সদস্যরা। (বাঁ থেকে দাঁড়ানো) জিয়া খানুম,
তৌফিক হুসেন, মো. সালেহ হুসেন, রুশনারা বেগম,
শেইদা খানম। (বাঁ থেকে বসা) আবদুল মান্নান ও
মিনেরা খাতুন। ছবি: বেডফোর্ডশায়ার
পুলিশের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া।
আচমকা খবরটি এলো বিশ্ব গণমাধ্যমে। ১২ সদস্যের নিখোঁজ বৃটিশ বাংলাদেশী পরিবারটি নিখোঁজ নয়। তারা এখন আইএসের জিম্মায়। বৃটিশ সরকার আগেভাগেই সন্দেহের চোখে দেখেছিল পরিবারটিকে। বাংলাদেশ ঘুরে তারা যখন ইস্তাম্বুলে তখন চারদিকে খবর রটে পরিবারটি আসলে কোথায়? দুই লাইনের একটি খবর ছিল তারা নিখোঁজ রয়েছে। গতকাল আইএসের তরফে সংবাদ মধ্যমে একটি বিবৃতি প্রচার করা হয়। বলা হয়, আবদুল মান্নানের নেতৃত্বাধীন পরিবারটি তাদের জিম্মায় রয়েছে। এই বিবৃতির সত্যতা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এই বিবৃতিকে ভিত্তি ধরে বৃটিশ সরকার তৎপরতা শুরু করেছে। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন, বিষয়টি তাদের জানা নেই। বিবৃতিতে আবদুল মান্নান বলছেন- তাদেরকে অপহরণ করা হয়নি। কিংবা জোর করে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়নি। দুর্নীতি আর নিপীড়ন মুক্ত শরীয়া ভিত্তিক একটি ভূখণ্ডে আগে থেকে অনেক বেশি নিরাপদ রয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমগুলো একটি ছবি প্রকাশ করেছে আবদুল মান্নানের। ৭৫ বছর বয়স্ক মান্নান আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন। তার পেছনে বোরকা পরিহিত একজন নারী দাঁড়ানো। গোড়ার খবর হচ্ছে- ১২ সদস্যের এই পরিবারটি নিখোঁজ রয়েছে বলে পুলিশকে প্রথম অবহিত করেন লুটনের অধিবাসী আবদুল মান্নানের দুই ছেলে। ১০ই এপ্রিল বাংলাদেশে আসে তারা। ১১ই মে ইস্তাম্বুল পৌঁছান। তিনদিন পর তাদের লন্ডন পৌঁছার কথা ছিল। তখন থেকে তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের অন্যতম সদস্য রাজিয়া খানম নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামী গোষ্ঠী আল-মোহাজিরুনের সঙ্গে সম্পর্কিত। রহস্য তাকে নিয়েই।

No comments

Powered by Blogger.