বিয়ের ‘অদ্ভুত শর্ত’

পাত্রী নাবালিকা। বিয়ে করতে গিয়ে তাই ১৪টি চুক্তিপত্র পেশ করল পাত্র। আর এ শর্ত দেখে মাথায় হাত কনের বাড়ির লোকজনের। পাত্রের একটাই দাবি, আগে চুক্তি, তারপর বিয়ে। রাজি হয়নি কন্যাপক্ষ। শেষ পর্যন্ত বিয়ে তো ভাঙলই, পাত্রকেও প্রায় একদিন আটকে রেখে উচিত শিক্ষা দিলেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার হাঁসখালিতে।
নাবালিকা পাত্রীকে বিয়ে করতে রাজি হলেও বিয়ের পর কোনো ঝুঁকি নিয়ে রাজি নন সনাতন শর্মা। পেশায় তিনি মহুরির দালাল। তাই আইনকানুনও কিছু কিছু জানা।
শুক্রবার রাতে বিয়ের আসরে পাত্র হাজির চোদ্দটি চুক্তিপত্র নিয়ে। কিন্তু কিসের চুক্তি? হাজারো আইনের কথা। এমনকি লেখা রয়েছে, বিয়ের পর নাবালিকা মেয়ের যদি কোনো কারণে মৃত্যু হয়, তাতে তাকে দায়ী করা যাবে না। এই শর্ত দেখেই কন্যাপক্ষের মাথায় হাত।
সনাতন অবশ্য মচকায়ওনি, ভাঙেওনি। তার একটাই দাবি, আগে চুক্তি পরে বিয়ে। এভাবেই কেটে যায় অনেকটা সময়। লগ্ন পেরিয়ে যায়। আর তারপরই শুরু হয় পাত্রের জামাই আদর। শুক্রবার রাত থেকে টানা শনিবার বিকেল পর্যন্ত পাত্রকেই আটকে রাখে গ্রামবাসীরা। মাঝে মধ্যে উত্তম মধ্যমও চলে। খবর পেয়ে পুলিশ এলেও গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের চোটে তাদেরও পিছু হটতে হয়। পরে অবশ্য পাত্রকে উদ্ধার করে স্থানীয় থানার পুলিশ।
সূত্র : জি নিউজ

No comments

Powered by Blogger.