বার্ন ইউনিটে ১৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

(ফেনীতে পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ রাজমিস্ত্রি নওশেদ। তাঁর দেহের ১৭ শতাংশ পুড়ে গেছে। পরম মমতায় যন্ত্রণাকাতর বাবার মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে ছোট্ট ছেলে আরিফ হোসেন। গতকাল দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের দৃশ্য l ছবি: আশরাফুল আলম) অবরোধ-হরতালে সহিংসতায় দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে ১৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল সোমবার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক উপদেষ্টা সামন্ত লাল সেন এ কথা জানিয়েছেন। সামন্ত লাল সেন প্রথম আলোকে জানান, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র ও হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে চিকিৎসাধীন ১৪ জনের অবস্থা বেশ খারাপ। বাকি রোগীদের অবস্থার অনেকটা উন্নতি হয়েছে।
গতকাল বার্ন ইউনিটের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, অবরোধ-হরতাল চলাকালে আগুনে দগ্ধ ১০২ জন এ পর্যন্ত সেবা নিয়েছেন। গতকাল পর্যন্ত ভর্তি ছিলেন ৫২ জন। দগ্ধ হয়েছিলেন এমন ৪৩ জন রোগী চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গতকাল ৩৪ জন রোগী ভর্তি ছিলেন।
সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, শিগগির ৫০০ শয্যার মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ১০টি বিছানার ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১২টি বিছানার বার্ন ইউনিট পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন সাতজন। সর্বশেষ গত রোববার দুপুরে মারা যান নূরে আলম। গত ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় বাসে পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ ২৮ জনের মধ্যে তিনি একজন।

No comments

Powered by Blogger.