তারারা কোথায় যায়?

রাতের আকাশের বেশিরভাগ অংশই তারায় জ্বলজ্বল করে। তবে ফাঁকে ফাঁকে চোখে পড়ছে কালো ফাঁকা অংশ। সেখানে তারার ঝলমলে দীপ্তি নেই, আছে কালোর রাজত্ব। কেন এমনটা ঘটে? সেখানকার তারাগুলোই বা যায় কোথায়? ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা ইউরোপিয়ান স্পেস অবজারভেটরির (ইএসও) তোলা সাম্প্রতিক কিছু আলোকচিত্র দেখে মনে এমন প্রশ্ন জাগাই স্বাভাবিক। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন অন্য কথা। তাদের ভাষ্য, আলোকচিত্রের ওই কালো অংশ ফাঁকা মনে হলেও বিষয়টি আসলে তা নয়। ৭০০ আলোকবর্ষ দূরের ওই কালো অংশ আসলে তারার ক্ষেত্র, ঘন মেঘকণার আবরণ। ভবিষ্যতে এখান থেকেই তারার জন্ম হবে।
ইএসওর এক কর্মকর্তা বলেন, ছবি দেখে মনে হতে পারে, কিছু তারা অদৃশ্য হয়ে গেছে। কিন্তু জ্বলজ্বলে তারার মাঝে ওই কালো অংশ প্রকৃতপক্ষে গ্যাস ও মেঘের ধুলোয় ভরা। বিজ্ঞানীরা ওই কালো মেঘের নাম দিয়েছেন লিন্ডস ডার্ক নেবুলা ৪৮৩ বা এলডিএন ৪৮৩। চিলিতে অবস্থিত ইউরোপিয়ান স্পেস অবজারভেটরির পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র লা সিলার উঁচুতে স্থাপিত ক্যামেরায় এসব আলোকচিত্র ধারণ করা হয়েছে।
অস্পষ্টতার জন্য ঘন আণবিক ভরের এলডিএন ৪৮৩কে বিজ্ঞানীরা কালো নীহারিকার আখ্যা দিয়েছেন। তারাহীন মনে হলেও এসবই তারার জন্মের জন্য সবচেয়ে উর্বর জায়গা। বিজ্ঞানীরা এসব মেঘের গঠন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে পান, সেখানে সম্ভাবনাময় তারার অস্তিত্ব রয়েছে। তারাগুলো এখনও অসম্পূর্ণ, গর্ভাবস্থায় রয়েছে। কমপক্ষে কয়েক হাজার বছরে এগুলো পূর্ণাঙ্গ তারার রূপ নেবে। মহাকাশের হিসাবে এ সময় বেশ সামান্যই। কারণ, একটি একটি তারার জীবনকাল কয়েক মিলিয়ন থেকে কয়েক বিলিয়ন বছরেরও বেশি। খবর :মেইল অনলাইন।

No comments

Powered by Blogger.