বাংলাদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের সতর্ক করেছে বৃটিশ সরকার

বাংলাদেশে অবস্থানরত বৃটিশ নাগরিক ও এদেশে যেসব নাগরিক সফরে আসতে চান তাদেরকে সতর্ক করেছে বৃটিশ সরকার। সেদেশের সরকারের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গত বছরের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের প্রথম বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢাকায় নাগরিকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত চলাচল সীমিত করতে। রাজনৈতিক মতপার্থক্যের সমাধান হয় নি। বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির ফের অবনতি হতে পারে। বিশেষ করে বিক্ষোভকারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ দ্রুত সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। তাই যেসব বৃটিশ নাগরিক বাংলাদেশে আছেন, যদি কোন নাগরিক বাংলাদেশ সফরে আসতে চান, অথবা যদি কেউ নিয়মিত ভিত্তিতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে থাকেন, ব্যবসার কাজে এসে থাকেন তাহলে তাদেরকে সতর্ক হতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে মিডিয়ার সংবাদের দিকে নজর রাখতে এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে। গতকাল আপডেট করা এই সতর্ক বার্তায় আরও বলা হয়েছে, পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত ঢাকায় সকল র‌্যালি ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। রাজধানী ঢাকার রাস্তায় নিরাপত্তারক্ষীদের বলিষ্ঠ অবস্থান দৃশ্যমান। এতে আরও বলা হয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক, রেল ও নৌপথে অবরোধ আহ্বান করেছে বিএনপি। এ অবরোধে এরই মধ্যে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। পুলিশ ও প্রতিবাদকারীদের মধ্যে হয়েছে ভয়াবহ সংঘর্ষ। প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। অগ্নিসংযোগ হয়েছে। দেশজুড়ে ভাঙচুর চলছে। ঢাকায় পেট্রল বোমা, হাতবোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে কূটনৈতিক পল্লী গুলশান, বারিধারা ও বনানীতে। বিশেষ করে গুলশান ২ নম্বর ক্রসিংয়ে রাতের বেলায় বেশকিছু ঘটনা ঘটেছে। তাই বৃটিশ হাইকমিশনের স্টাফদের গুলশান ২ নম্বরের ৮৬ নম্বর সড়কের আশপাশ পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। এই সড়কেই বিএনপির গুলশানের অফিস। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যদি আপনি বাংলাদেশ সফরে থাকেন তাহলে উচিত হবে বিক্ষোভ প্রতিবাদ সহিংসতায় রূপ নেয়ার আগে এড়িয়ে চলা। এসব সহিংসতায় সহায় সম্পত্তিতে, গণপরিবহনে আগুন দেয়া হয়। গুলশান ২ নম্বরে সোমবার রাতে গুলি করা হয়েছে বিএনপির এক সিনিয়র নেতাকে। তিনি আহত হয়েছেন। তার গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আজ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে। তাই বৃটিশ নাগরিকদের ঢাকার কেন্দ্রীয় অংশে, বিশেষ করে রাজনৈতিক অফিস, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলাফেরা সীমিত করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। দেশের অন্যান্য স্থানে সাবধানে চলাচল করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্রতি বছর ৭৫ হাজার বৃটিশ নাগরিক বাংলাদেশ সফর করেন।

No comments

Powered by Blogger.