সরকার সমঝোতায় না এলে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা শত নাগরিকের

হিংসা-হানাহানির পথ পরিহার করে সমঝোতার পথে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশিষ্ট নাগরিকদের সংগঠন শত নাগরিক। সরকার সমঝোতার পথে না এলে দেশে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তারা। সেই সঙ্গে চলমান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে তা শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে নেয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল ডিইউজে একাংশের সভাপতি ও সংগঠনের সদস্য সচিব কবি আবদুল হাই সিকদার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে যেসব অপকর্ম হয়েছে, হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে, সরকারি লোকজন ও তাদের বাহিনী যেভাবে ত্রাস সৃষ্টি করছে তা থেকে পরিত্রাণ পেতে হিংসা-হানাহানি পরিহার করে সমঝোতার পথে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। সরকারকে সমঝোতায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন, অন্যথায় দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে যেতে পারে বলে আমাদের আশঙ্কা। আর সেই অনাকাঙিক্ষত ঘটনার দায়ভারও সরকারকেই বহন করতে হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের একজন সম্মানিত নাগরিক ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমানের ওপর যে কাপুরুষোচিত হামলা হয়েছে। আমরা তার তীব্র নিন্দা করছি। একই সঙ্গে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি দলের লাগামছাড়া কর্মকা-ের ফলে জনজীবনে যে ত্রাস সৃষ্টি হয়েছে, তারও নিন্দা করছি। বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ২০ দল আহূত অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে সরকারের তরফ থেকে দরকার দায়িত্বশীল আচরণ। সবাইকে নিয়ে সংলাপে বসে সঙ্কট উত্তরণের পথ বের করা জরুরি। কিন্তু সে সময় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ সরকারি দলের লোকজনের শিষ্টাচারবহির্ভূত ও রুচিবর্জিত বক্তব্য এবং হিংসাত্মক-আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহারের ফলে সর্বত্র সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে বলে আমাদের ধারণা। এ হিংসা ও হানাহানির দায়িত্ব অবশ্য সরকারকেই বহন করতে হবে। জনগণের জান-মাল রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। সেই সরকারি লোকজনই যদি হামলা ও হানাহানির কারণ হয়, তার প্রতিকারের দায়িত্বও সরকারকেই নিতে হবে। সঙ্কট উত্তরণের জন্য আমরা সরকারকে অবিলম্বে সবাইকে নিয়ে সংলাপে বসার জোর দাবি জানাচ্ছি। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, কবি আল মাহমুদ, প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান মিঞা, প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, প্রফেসর ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ আসাফউদ্দৌলাহ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাদেক খান, ড. মাহবুব উল্লাহ, শফিক রেহমান, ফরহাদ মজহার, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, প্রফেসর আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, রিয়াজ উদ্দিন আহমদ, শওকত মাহমুদ, রুহুল আমিন গাজী, কবি আবদুল হাই শিকদার, ডা. জাহিদ হোসেন, ড. ওয়াকিল আহমেদ, ড. খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, ড. সদরুল আমিন, ড. প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, কবি আল মুজাহিদী, ড. মোহসিন জিল্লুুর করিম, ইঞ্জিনিয়ার আ ন হ আখতার হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, মাহফুজ উল্লাহ, ড. মোসলেহ উদ্দীন তারেক, গাজী মাযহারুল আনোয়ার, আলমগীর মহিউদ্দিন, ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, প্রফেসর ড. ইনামুল হক, এম এ আজিজ, কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমদসহ ১০০ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

No comments

Powered by Blogger.