‘৫ই জানুয়ারি বিএনপিকে মাঠে নামতে দেয়া হবেনা’ -মায়া, ‘খালেদার ৭ দফা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি’ -তথ্যমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির জন্য তারেক জিয়ার পক্ষে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে ক্ষমা চাইতে বললেন-ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর ১৪ দলের বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন। ৫ই জানুয়ারি ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ কর্মসূচি সফল করতে এ সভার আয়োজন করা হয়। মায়া বলেন, খালেদা পুত্র অনেক অন্যায় করেছেন। ছেলের পক্ষ থেকে মা ক্ষমা চাইলে বাংলার জনগণ ক্ষমা করে দিতে পারে। তাহলে তাদের সভা সমাবেশও করতে দেয়া হতে পারে। অন্যথায় জনগণ তাদের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে। খালেদা জিয়াকে জামায়াতের ‘আমির’ আখ্যা দিয়ে মায়া বলেন, ৫ই জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকাবাসী রাজধানীর ১৬ টি পয়েন্টে অবস্থান নেবে। এদিন কাউকে মাঠে নামতে দেয়া হবে না। মাঠ থাকবে আমাদের দখলে। কোন দফায় কাজ হবেনা। দফা একটাই, সেটা আপনি (খালেদা) ভালো হয়ে যান। এ ছাড়া আপনার কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ১৪ দলকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আগামী ৫ই জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন করবো। বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দয়া করে ৫ই জানুয়ারি মাঠে নামার চেষ্টা করবেন না। সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি করবেন না। কোন ধরনের সংঘাত সৃষ্টি হলে এর দায় আপনাদেরই নিতে হবে। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় আমাদের নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবে। কোনো নাশকতা করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা  রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিবে। সভায় ঢাকা মহানগর ১৪ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
‘খালেদার ৭ দফা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি’ -তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, খালেদা জিয়ার ৭ দফার ভেতরে জঙ্গীবাদ ও রাজাকারদের সঙ্গে দোস্তির রাজনীতি ছাড়ার আর কিছু নেই। তিনি জঙ্গী-তাণ্ডব, নাশকতা ও আত্মঘাতী কর্মকাণ্ডের জন্য দেশবাসীর কাছে মাফ চাননি, তওবা করেনি, ভুল স্বীকার করেননি। উল্টো যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গী অপরাধী ও অসৎ সাংবাদিকদের মুক্তির পক্ষে ওকালতি করেছেন। মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার ও জঙ্গীবাদ গণতন্ত্র ও নির্বাচনে হালাল করা যায় না। তিনি ৭ দফার মাধ্যমে আবারও সেই অপচেষ্টা করেছেন, যা গণতন্ত্র ও নির্বাচনের জন্য হুমকি স্বরূপ। শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা জাসদের সম্মেলনের উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী। শহরের শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে জেলা জাসদের সভাপতি গাজী আব্দুল হাই তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম তানসেন , প্রচার সম্পাদক আইয়ুব আলী খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাদের চৌধুরী, জেলা জাসদের সহ-সভাপতি এড. সুকুমার চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম মুকুল বক্তব্য রাখেন।

No comments

Powered by Blogger.