পায়রা সেতুর কাজ শুরু হয়নি

(পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ লেবুখালী এলাকায় পায়রা নদীর ওপর পায়রা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিত্তিপ্রস্তরের ফলকের ছবিটি সম্প্রতি তোলা l প্রথম আলো) নকশা চূড়ান্ত না হওয়ায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালী ফেরিঘাট এলাকায় পায়রা নদের ওপর ‘পায়রা সেতুর’ নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে না। এতে নির্দিষ্ট সময়ে সেতুর কাজ শেষ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী সফরে আসেন। এ সময় তিনি লেবুখালীতে পায়রা নদের দক্ষিণ পাড়ে ফেরিঘাট এলাকায় চার লেনের এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সেতুটি নির্মিত হলে বরিশাল থেকে পটুয়াখালী পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) পটুয়াখালী কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের লেবুখালী ফেরিঘাটের পায়রা নদের ওপর ‘পায়রা সেতু (লেবুখালী সেতু)’ নির্মাণে প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়। বাংলাদেশ সরকার ও কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের (কেএফএইডি) অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ করা হবে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার জোগাবে ৭৭ কোটি ৩ লাখ টাকা ও কেএফএইডি দেবে ৩৩৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা। সেতুটির দৈর্ঘ্য হবে এক হাজার ৪৭০ মিটার ও প্রস্থ ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার। সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে আলোকিত হবে সেতুটি। ২০১৬ সালে ডিসেম্বর মাসে এই সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। পটুয়াখালী চেম্বারের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান জানান, নদের ওপর সেতু নির্মাণ না হওয়ায় উন্নয়ন অনেকটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সেতুটি হলে সড়কপথে ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় সহজে পৌঁছানো যাবে। পটুয়াখালী সওজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও পায়রা সেতু প্রকল্প পরিচালক মো. রবিউল ইসলাম জানান, চার লেনের পায়রা সেতুর নকশা করতে আইসিটি নামের একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি দেশি-বিদেশি আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে যৌথভাবে নকশা চূড়ান্ত করার দায়িত্বে রয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠানটি সেতুটির একটি খসড়া নকশা দিয়েছে। কিন্তু এখনো তাদের কাছ থেকে চূড়ান্ত নকশা পাওয়া যায়নি। চূড়ান্ত নকশা পাওয়ার পর সেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হবে। বিদেশি সংস্থার অর্থায়নে মূলত সেতুটি নির্মাণ করা হবে। এ কারণে সেতু নির্মাণের নকশা চূড়ান্ত, দরপত্র আহ্বান ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দাতা সংস্থার কাছ থেকে পূর্ব অনুমোদন নিতে হচ্ছে। তাই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। তবে আগামী বছরের জুনের মধ্যে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারবেন বলে তাঁরা আশা করছেন।

No comments

Powered by Blogger.