সালতামামি ২০১৪- ব্যাংক ‘ডাকাতির’ বছর by রুদ্র মিজান

বছরজুড়ে আতঙ্কের নাম ছিল ব্যাংক ডাকাতি। অভিনব স্টাইলে ঘটেছে এই ঘটনাগুলো। একের পর এক ব্যাংক ডাকাতি এবং ডাকাতির চেষ্টা হয়েছে। প্রায় সবগুলো ঘটনাই ঘটেছে সরকারি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে। সরকারি ব্যাংকের নিরাপত্তার অভাব ও অব্যবস্থাপনার কারণেই এ সব ঘটছে বলে বিশেজ্ঞরা মনে করেন। এসব ঘটনাগুলোর মধ্যে দেশ ও দেশের বাইরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, জয়পুরহাট ও বগুড়ার ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা। এসব ঘটনার পর ডাকাতরা গ্রেপ্তার হলেও ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা রোধ করা যায়নি। বরং আশঙ্কাজনকভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির চেষ্টা হয়েছে। ডাকাতরা অপেক্ষাকৃত কম নিরাপত্তা সংবলিত ব্যাংকগুলোকেই ডাকাতির জন্য বেছে নেয়।
ঘনঘন ব্যাংক ডাকাতি ও ডাকাতি চেষ্টায় ব্যাংকের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক ভল্টের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয়। বিআরপিডি এ সার্কুলারে এ নিদের্শনা জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়। সময়ে সময়ে নির্দেশনা দিলেও ব্যাংকগুলো সে সব নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করছে না। ওই সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়, ব্যাংকের ভল্টে বিশেষভাবে সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে সিকিউরিটি দরজা স্থাপন করতে হবে। মেঝে ও ছাদসহ ভল্টের চারপাশের নির্মিত দেয়ালের নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়টি পুরপ্রকৌশলী কর্তৃক প্রত্যয়িত হতে হবে। সার্কুলারে বলা হয়, ভল্টের অভ্যন্তরে সিসি টিভি স্থাপনসহ ভল্টে সিকিউরিটি অ্যালার্মের সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা রাখতে হবে। ভল্টের সিকিউরিটি সিস্টেমের সঙ্গে ব্যাংকের সেন্ট্রাল ইনফরমেশন সিস্টেমের নিরবচ্ছিন্ন সংযোগের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সব ভল্টের ভেতর অটোমেটেড ফায়ার এক্সটিংগুইশার স্থাপন করতে হবে। এছাড়াও ভল্টের রক্ষিত সব অর্থের পূর্ণ বীমা আচ্ছাদন নিশ্চিত করতে হবে বলে জানানো হয় এই নির্দেশনায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই নির্দেশনা বেশির ভাগ ব্যাংকই বাস্তবায়ন করেনি।
ঘনঘন ডাকাতির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মীর্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যাংকের ক্ষেত্রে বিশেষ নিরাপত্তা দেয়া প্রয়োজন। বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ে সরকারি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা বেশি ঘটার কারণ অনুসন্ধানের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী এতে জড়িত থাকতে পারে।
বছরের শুরুতেই সোনালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখায় সুড়ঙ্গ কেটে টাকা লুটের পর এই নির্দেশনা দেয়া হয়। বছরের শুরুতে ২৪শে জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের রথখোলা এলাকায় সোনালী ব্যাংক থেকে ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা লুটে নেয় সোহেল ওরফে হাবিব নামে এক ডাকাত। মামলাটি তদন্ত করছে র‌্যাব। র‌্যাব-১৪ এসএসপি রাজীব কুমার দেব জানিয়েছেন, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। শিগগিরই এই মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হবে।
দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা অনুসারে কিশোরগঞ্জের চাঞ্চল্যকর এই ব্যাংক ডাকাতির এই ঘটনা ঘটায় হাবিব ওরফে সোহেল। এজন্য ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সখ্য থেকে শুরু করে নানা কৌশল অবলম্বন করে সে। পরিকল্পনা অনুসারে ব্যাংকের পাশে বাসা ভাড়া নেয় সোহেল। রাত জেগে দুই বছর ধরে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে একসময় পৌঁছে যায় ভল্টের কাছে। ১০টি বস্তা ভরে ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা লুটে নেয় সে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার। ঘটনার দুদিনের মধ্যেই রাজধানীর শ্যামপুর থেকে ঘটনার মূলহোতা সোহেল ও তার সঙ্গী ইদ্রিসকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সেই সঙ্গে ১৬ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর উত্তরায় র‌্যাব সদর দপ্তরে সোহেল সাংবাদিকদের জানিয়েছে, দুই বছর আগে ব্যাংক ডাকাতির পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাংকের পাশে বাসা ভাড়া নেয় সে। যার দূরত্ব ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ ফুট। পুরো প্রক্রিয়ায় তাকে সহযোগিতা করেছে স্থানীয় সিরাজ নামে তার মামা শ্বশুর। বস্তাভর্তি টাকা নিয়ে ট্রাকে করে ঢাকায় আসে সে। ওই রাতেই সাবেক সহকর্মী ইদ্রিসের সহযোগিতায় সাড়ে ৮ হাজার টাকা দিয়ে একটি বাসা ভাড়া করে সোহেল। ওই বাসার পাঁচতলা থেকে র‌্যাব টাকার বস্তা উদ্ধার করে। চাঞ্চল্যকর এই ব্যাংক ডাকাতির হোতা সোহেলের বাড়ি পটুয়াখালীতে। তার পিতার নাম সিরাজউদ্দিন। কদমতলী এলাকায় একটি কেবল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ওই কোম্পানিতে ইদ্রিসও ছিলেন। ১৫ বছর চাকরি করার পর কিশোরগঞ্জে বিয়ে করে সে। ২০০৮ সালে শ্রমিক হিসাবে সে দুবাইয়ে যায়। ২০১১ সালে দেশে ফিরে। নদী ভাঙনের কারণে পটুয়াখালী ছেড়ে কিশোরগঞ্জে থাকতো সে। ঘটনার পর সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জের সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখার ডিজিএম শেখ আমানুল্লাহ ডাকাতির ঘটনায় একটি মামলা করেন। এই মামলায় পরবর্তীকালে সোহেলের স্ত্রী হিমা আক্তার, মামাশ্বশুর সিরাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, ব্যাংকের এমএলএসএস আবু বকর ও পরিবহন শ্রমিক আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই কায়দায় ৮ই মার্চ বগুড়ার আদমদিঘীতে সুড়ঙ্গ কেটে সোনালী ব্যাংকে ঢোকে ডাকাতরা। ব্যাংকের ভল্ট ও সিন্দুক কেটে ব্যাংকের ৩২ লাখ ৫১ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় আজ পর্যন্ত জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় আদমদিঘী থানায় দায়েরকৃত মামলাটি পরে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। বগুড়ার ডিবির ওসি আমিরুল ইসলাম বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের এখনও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা এ ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দেয়নি।
চাঞ্চল্যকর আরেকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে জয়পুরহাটে। জয়পুরহাটের ঘটনায় জড়িতদের সোনালী ব্যাংক বগুড়ার আদমদিঘী শাখা ডাকাতির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কোন রহস্য উদঘাটন হয়নি। ২৭শে সেপ্টেম্বর জয়পুরহাট শহরের ব্যস্ততম প্রধান সড়কের শাহজাহান ম্যানশনের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত ব্র্যাক ব্যাংকে এ ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তার অভাবে অত্যন্ত সাধারণভাবেও ব্যাংক থেকে টাকা লুট হয়েছে। ১৩ই ডিসেম্বর গাজীপুরের জয়দেবপুরে জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখা থেকে ৬০ লাখ টাকা লুটে নেয় এক দুর্বৃত্ত। রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকের টয়লেট ব্যবহারের জন্য নিরাপত্তা প্রহরীকে অনুরোধ করে এক দুর্বৃত্ত। ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরী নূরুল ইসলাম প্রধান ফটক খুলে দেন। পরে ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করে সে। একপর্যায়ে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে নূরুল ইসলামকে অচেতন করে ব্যাংকের লকার খুলে ৬০ লাখ টাকা লুটে নেয় সে। টাকা নিয়ে সে পেছনের জানালার গ্রিল খুলে পালিয়ে যান। ওই দুর্বৃত্ত ব্যাংকের পাশ্ববর্তী কাপড় ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল হোতা জাকিরকে  গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
নিরাপত্তার অভাবে দিন-দুপুরেও ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্র দেখিয়ে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে ব্যাংকের ভল্টের চাবি নিয়েছে ডাকাতরা। ১৮ই মার্চ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গ্রামীণ ব্যাংকের মহারাজপুর শাখায় এ রকম ঘটনা ঘটে। ভল্টের চাবি নিলেও তাতে কোন টাকা ছিল না। ডাকাতি শেষে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যাংকের ভেতরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে তালা দিয়ে তারা চলে যায়।
ঝিনাইদহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাব উদ্দিন আজাদ জানান, এ ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত আছে। তবে ইতিমধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভল্ট ভাঙতে না পারার কারণে ডাকাতি থেকে রক্ষা পায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সোনালী ব্যাংক। ঘটনাটি ঘটে ৮ই ডিসেম্বর ভোরে। কিন্তু এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। শ্রীমঙ্গল শহরের হবিগঞ্জ সড়কে সোনালী মার্কেটের তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় সোনালী ব্যাংকটি অবস্থিত। ব্যাংকের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা গেছে,  ভোর ৫টা ২০ মিনিটে ২২-২৩ বছর বয়সী চার যুবক পূর্ব দিকের জানালার গ্রিল কেটে ব্যাংকে ঢুকে ক্যাশের ড্রয়ার তছনছ করছে। পুলিশের ধারণা তারা সেখানে ভল্টের চাবি খুঁজছিল। এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল জানান, এ ঘটনায় কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।
১৩ই জুন পটুয়াখালীর গলাচিপায় ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয় দু’জন। ওই রাতে পূবালী ব্যাংক ভবনের দ্বিতীয় তলার জানালার গ্রিল শাবল দিয়ে ভাঙছিল দুর্বৃত্তরা। এ সময় পাশের লোকজন দেখে চিৎকার করেন। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে নজরুল ইসলাম (৩০) ও সুমন (২৮) নামের দুই যুবককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ব্যাপারে ব্যাংক ব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিশির কুমার পাল জানান, এ ঘটনায় তিনজন জড়িত। তাদের মধ্যে দু’জন জেলে, একজনকে এখনও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
এই ঘটনার কয়েক দিন আগে ৮ই জুন ভোলায় ব্র্যাক ব্যাংকের দেয়াল, দরজা ও সিন্দুক ভেঙে ডাকাতির চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা? পরদিন রোববার সকালে ব্যাংক খোলার পর বিষয়টি ধরা পড়ে। ডাকাতরা লকার ভাঙার উদ্দেশ্যে দুটি দরজা ও ভোল্ট ভাঙতে পারলেও লকার খুলতে পারেনি। যে কারণে ব্যাংকের কোন টাকা বা কাগজপত্রও খোয়া যায়নি।
২৩শে মার্চ দিনের বেলাতেই মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে এক ডাকাতকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মাহবুবুল হক জানিয়েছিলেন, দুপুরে ব্যাংকের মধ্যে চারজন লোক প্রবেশ করে টাকা জমা দেয়ার কথা বলে। এদের মধ্যে একজন ক্যাশের কাছে গিয়ে ব্যাংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ব্যাংকের একজন কর্মকর্তার দৃষ্টিগোচর হলে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ওই ব্যক্তির সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়। আটককৃত ব্যক্তির নাম কাজল মিয়া।
৩১শে আগস্ট ময়মনসিংহের ব্র্যাক ব্যাংক লুটের চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। রাতের বেলায় ব্যাংকের পেছনের দিকে বাথরুমের দেয়াল ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভল্ট ভাঙার চেষ্টা চালায় তারা। রোববার সকালে ব্যাংক খোলার পর বিষয়টি নজরে এলে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ ও র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বছরের শেষ দিকে গত ৪ঠা ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় রাজশাহীতে সোনালী ব্যাংক কোর্ট শাখায় সুড়ঙ্গ করে ডাকাতির চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। রাজশাহী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, সন্দেহমূলকভাবে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তারা এ ঘটনায় জড়িত কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

No comments

Powered by Blogger.