সরকার বীভৎস প্রতিহিংসায় মেতে উঠেছে -খালেদা জিয়া

জনগণকে কাছে টানতে না পেরে সরকার বীভৎস প্রতিহিংসায় মেতে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, ভোটারবিহীন সরকার এখন শেষ মরণকামড় দেয়ার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। সেই প্রতিহিংসার সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ ঘটলো গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে। এছাড়াও গ্রেপ্তারের উদ্দেশে ঢাকা মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলের বাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশিকে এই সরকারের দুর্বৃত্তায়িত চরিত্রেরই পুনরাবৃত্তি।  বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এই অবৈধ সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে, জাতীয় সংসদ দখল করে, জনগণের নাগরিক স্বাধীনতাকে হরণ করে মনে করেছিল চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতার রাজদণ্ড ধরে রাখবে। এজন্য তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নিজেদের অঙ্গ সংগঠনগুলোকে দুর্বৃত্ত বাহিনীতে পরিণত করেছে। তাদেরকে সর্বনাশা আশকারা দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলকে দমনে ব্যবহার করে যাচ্ছে। বিরোধী দলকে পর্যুদস্ত করার জন্য রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকেও অবৈধ আওয়ামী সরকারের প্রিয়জনদের দিয়ে সাজিয়ে সবধরনের হিংসাত্মক অপতৎপরতা চলমান রাখা হয়েছে। আর সেজন্যই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা আর নির্বিচারে গ্রেপ্তার করতে আওয়ামী সরকারের জনপ্রশাসন অত্যন্ত পারঙ্গম। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা তাই এখন ভয়াবহ সঙ্কটের মুখে। তিনি বলেন, সাজানো প্রশাসন ও দুষ্কৃতকারী যুবলীগ-ছাত্রলীগের পাণ্ডাদের দিয়েই এই ভোটারবিহীন সরকার গুম, অপহরণ, গুপ্তহত্যার পথ ধরে জনগণের প্রতিবাদী স্বরকে থামাতে অপচেষ্টা করা, বিরোধী মত প্রকাশের কোন জায়গা না রাখা এবং রাজনৈতিক বন্দিদের ওপর অত্যাচার ও জুলুম অব্যাহত রেখেছে। এভাবে নিজেদের মসনদ গায়ের জোরে ধরে রাখতে তারা মূলত দেশের জনগণকেই পরাধীন করে রেখেছে। খালেদা জিয়া বলেন, গত বুধবার আমার আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে বকশীবাজার এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সশস্ত্র পাণ্ডারা যেভাবে পৈশাচিক হামলা করে তাতে মনে হয়, এই অবৈধ সরকার এক বর্বর হিংসাযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। আর এই যুদ্ধে তারা মূলত জনগণকেই প্রতিপক্ষ বানিয়েছে। সব দেখে শুনে মনে হয়, এই সন্ত্রাসী দুঃশাসনের প্রধান মুখপাত্র হচ্ছেন স্বয়ং বর্তমান অবৈধ সরকারের প্রধান। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে বকশীবাজার এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পরিকল্পিত আক্রমণের ঘটনায় জনদৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে উল্টো বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে আবদুল আউয়াল মিন্টু, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, আজিজুল বারী হেলাল, হাবিবুর রশীদ হাবিব, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান ও ইসহাক সরকারসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান খালেদা জিয়া। এদিকে গয়েশ্বর রায়ের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান।

No comments

Powered by Blogger.