অভিযান সমাপ্তের পর পাইপেই মিলল জিহাদের লাশ

উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণার অল্পক্ষণের মধ্যেই পাইপে সন্ধান পাওয়া গেলো শিশু জিহাদের। একজন সাধারণ নাগরিক সুতার তৈরি নেট ফেলে শিশুটিকে নিচ থেকে তুলে আনেন। একটি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে জিহাদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পরই বিকাল তিনটায় ওই নেটের মাধ্যমে শিশুটির দেহ উপরে তোলা হয়। এরপর একটি গাড়িতে করে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে। সেখানে দেহ পরীক্ষা করে চিকিৎসক নিয়াজ মোর্শেদ শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে উদ্ধার অভিযান স্থগিত ঘোষণার পর শিশুটিতে উদ্ধারে উপস্থিত হাজারো মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। তারা সরকার সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। বেলা আড়াইটায় ফায়ার সার্ভিসের মহা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমদ খান ঘটনাস্থলে সংবাদ সম্মেলন করে উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করে বলেন, পরবর্তীতে এ ঘটনায় অনুসন্ধান কাজে ফায়ার সার্ভিস সহযোগিতা করবে। তবে এ পর্যন্ত সব পরীক্ষা নীরিক্ষায় পাইপে কোন শিশুর অস্থিত্ব খোঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, বুয়েটের বিশেষজ্ঞ, ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা এবং স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছি। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। একপর্যায় আমরা শক্ত একটি স্তরে পৌঁছে গেছি। ওই শক্ত লেয়ারটি ভাঙ্গার চেষ্টা করেছি। আমরা মনে করছি পাইপের মধ্যে শিশু জিহাদ নেই। তাই উদ্ধার অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হল।

No comments

Powered by Blogger.