নব্বইয়ের দশকের ছাত্রনেতাদের কনভেনশন

সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে নব্বইয়ের দশকের ছাত্রনেতাদের জাতীয় কনভেনশন আয়োজন করছে বিএনপি। স্বৈরাচার এরশাদ সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া ডাকসু নেতৃবৃন্দ ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের নেতাদের নিয়ে এ কনভেনশনের আয়োজন করছে দলটি। আগামী ১৮ই ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ কনভেনশনে প্রধান অতিথি হিসেবে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল সকালে দলের নয়া পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ কনভেনশনের প্রস্তুতি বৈঠক করেছেন নব্বইয়ের দশকের ছাত্রদল নেতারা। ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, ছাত্রদল সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. আসাদুজ্জামান রিপন, ফজলুল হক মিলন, ডাকসু’র সাবেক এজিএস নাজিম উদ্দিন আলম, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদের ভূঁঁইয়া জুয়েল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, বর্তমান সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান অংশ নেন। ছাত্রদল নেতারা জানান, ৯০-এ ডাকসুর নেতৃত্বে ওই সময়ে সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ নেতাদের নিয়ে জাতীয় কনভেনশন হবে। ৯০-এ ডাকসুর নেতৃবৃন্দ ও স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে গঠিত সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের নেতাদের পাশাপাশি ছাত্রদলের বর্তমান কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন জেলা, থানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নেবেন। বর্তমানে ৯০-এর দশকের শত শত তুখোড় সাবেক ছাত্রনেতা অনেকেই বিক্ষিপ্ত অবস্থায় রয়েছেন। এ কনভেনশনের উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের একত্রিত করা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই কনভেনশনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করা হবে। নব্বইয়ের দশকের কয়েকজন ছাত্রদল নেতা জানান, আগামী দিনের সরকার পতন আন্দোলনে ছাত্রসমাজকে কাজে লাগাতে এ ছাত্র কনভেনশনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সারা দেশের জাতীয়তাবাদী আদর্শের ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করা হবে। ওদিকে আন্দোলনের প্রস্তুতি এবং দলকে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী করতে নতুন করে সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছে বিএনপি। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরব্যাপী সারা দেশে চলবে এ কার্যক্রম। দলীয় সূত্র জানায়, প্রতি তিন বছর পরপর দলের সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু দেশের সার্বিক নিপীড়নমূলক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এ উদ্যোগে বিলম্ব হয়েছে। এবার দেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে অন্তত ১০০ সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছে এ বিষয়ে।

No comments

Powered by Blogger.