প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (০৮) যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ঝন্টু মিয়া (২৫) নামের এক শিক্ষককে আজ বৃহস্পতিবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে এই শিক্ষক দাবি করেন, তাঁকে হেয় করার জন্যই এমনটি করা হয়েছে। ঝন্টু মিয়া উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর গ্রামের শহীদ স্মৃতি কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক। পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর ঘরে নিয়ে যান ঝন্টু। সেখানে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান তিনি। আশপাশের লোকজন শিশুটির কান্নার শব্দ শুনে এগিয়ে এলে ওই শিক্ষক পালিয়ে যান।
গতকাল সন্ধ্যায় শিশুটির বাবা ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। রাতে অভিযান চালিয়ে ঝন্টুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সরাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বোরহান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আশপাশের লোকজন ও শিশুটির সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ঝন্টু শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। শিশুটি অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে।
সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.আব্দুল হক প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। শিশুটি খুব ভয় পেয়েছে।
থানা হাজতে আটক ঝন্টু নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘আমি এর কিছুই জানি না। আমাকে হেয় করার জন্য এমনটি করা হয়েছে।’ শিশুটির পরিবারের সঙ্গে কোনো বিরোধ আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাঁরা আমাদের আত্মীয়। তাঁদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই।’

No comments

Powered by Blogger.