মাহজাবিনের লাশ কবর থেকে তোলা হবে আজ

ডা. শামারুখ মাহজাবিনের লাশ কবর থেকে তোলা হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তা যশোরে এসে পৌঁছতে না পারায় লাশ উত্তোলন সম্ভব হয়নি বলে জানান যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর। তদন্ত কর্মকর্তা গতকাল সকালে ঢাকা থেকে যশোরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ফলে আজ সকাল ১০টার দিকে লাশ উত্তোলন করা হবে। জেলা প্রশাসক জানান, পুনঃময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সময় সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিত থাকার বিধান রয়েছে। কিন্তু সিআইডির এএসপি মুন্সি রুহুল হক ধানমন্ডি থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিতে যথেষ্ট সময়ক্ষেপণ হয়েছে। সে কারণে তিনি নির্ধারিত দিন মঙ্গলবার যশোরে এসে পৌঁছতে পারেননি। গত ১৩ই নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার বাসভবনে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ডা. শামারুখ মাহজাবিনকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ওই রাতেই ডা. শামারুখের পিতা নূরুল ইসলাম ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য (যশোর-৫) টিপু সুলতান, তার স্ত্রী ডা. জেসমিন ও ছেলে সাদাবকে আসামি করা হয়। সাদাবকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আর টিপু সুলতান ও তার স্ত্রী উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিন নেন। ডা. মাহজাবিনের লাশের ময়না তদন্ত হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত ২৩শে নভেম্বর প্রকাশিত ময়না তদন্ত রিপোর্টে ডা. মাহজাবিন আত্মহত্যা করেছেন বলে বলা হয়। এর আগে ২০শে নভেম্বর প্রেস ক্লাব যশোরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম আশঙ্কা করেন, প্রভাবশালী টিপু সুলতান ময়না তদন্ত রিপোর্ট প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।
ঢামেকের ময়না তদন্ত রিপোর্ট চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫শে নভেম্বর মঙ্গলবার প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম আদালতের শরণাপন্ন হন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিকাশ কুমার সাহা ওই দিনই ডা. মাহজাবিনের লাশ উত্তোলন করে আবার ময়না তদন্তের নির্দেশ দেন যশোরের সিভিল সার্জনকে। গত শনিবার সকালে নূরুল ইসলাম নিজের ও ছেলে শাহানুর মো. শরীফের জীবনাশঙ্কা ব্যক্ত করে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। একই দিন তিনি যশোরের কারবালা কবরস্থান পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এবং পীর নূর বোরহান শাহ হাফিজিয়া মাদরাসার সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি আবেদন করেন। তার আশঙ্কা বিবাদী পক্ষের লোকেরা আলামত নষ্ট করার জন্য শামারুখের লাশ গায়েব করতে পারে। যশোরের পুলিশ সুপার ও কোতোয়ালি থানার ওসির কাছেও তিনি একই আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। পুলিশ কারবালা কবরস্থানের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।

No comments

Powered by Blogger.