সচিবালয়ের বাইরে যাচ্ছে সেবাধর্মী মন্ত্রণালয়গুলো

নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সেবাধর্মী মন্ত্রণালয়গুলো সচিবালয়ের বাইরে স্থানান্তরের চিন্তাভাবনা করছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠির ভিত্তিতে এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গত ৬ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে ‘বাংলাদেশ সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা’ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। ওই আলোচনার ভিত্তিতে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সূত্র জানায়, গত ১৬ই অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যে সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ সেবাগ্রহিতার সঙ্গে অধিক সম্পৃক্ত ওই সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে সচিবালয়ের বাইরে স্থানান্তর এবং নীতিনির্ধারণী বিষয় মন্ত্রণালয়ের হাতে রেখে সেবাধর্মী এবং জনসম্পৃক্ততামূলক কাজ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর বা সংস্থার কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা ওই বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বিষয়টি প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে আলোচনার জন্য ওঠায়। ওই আলোচনায় বলা হয়, সচিবালয়ের নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের বিষয়ে বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। এজন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই কমিটিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সদস্য করা হয়েছে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বা অতিরিক্ত সচিবকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠাতে হবে। কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, এ কমিটি নীতি-নির্ধারণী বিষয় মন্ত্রণালয় বা বিভাগের হাতে রেখে সেবাধর্মী এবং জনসম্পৃক্ততামূলক কাজ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর/সংস্থা বরাবর হস্তান্তর করা যায় কিনা ওই বিষয়ে সুপারিশ দেবে। এছাড়া যে সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ তৃণমূল পর্যায়ের জনসাধারণের সঙ্গে বেশি সম্পৃক্ত ওই সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে সচিবালয়ের বাইরে স্থানান্তরের বিষয়ে সুপারিশ দেবে। একই সঙ্গে বাস্তবায়নযোগ্য অনুরূপ অন্য কোন সংস্কারের বিষয়ে এ কমিটি সুপারিশ দেবে। এ কমিটি আগামী তিন মাসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। কমিটি প্রয়োজন মনে করলে কোন সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে কমিটির প্রতিনিধিদের নাম বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ পাঠিয়েছে। সহসাই এ সংক্রান্ত কমিটির মিটিং হবে।

No comments

Powered by Blogger.