নির্বাচন কবে জানতে চাইলেন নিশা দেশাই

শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে পরবর্তী নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলেন সফররত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল। তিন দিনের সফরে গতকাল তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ, সুশীল সমাজ ও মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়া গাজীপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট) পরিদর্শন করেন। সেখানে সামরিক মহড়া প্রত্যক্ষ করেন। ঢাকা সফরের বিষয়ে মার্কিন  সহকারী মন্ত্রী আজ সংবাদ সম্মেলনে তার প্রতিক্রিয়া জানাবেন। গতকাল বিকালে বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদের গুলশানের বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর জাতীয় পার্টির নেতারা জানিয়েছেন, মার্কিন মন্ত্রী পরবর্তী নির্বাচন কবে হবে- এ বিষয়ে বিরোধী দলের নেতার কাছে চানতে চেয়েছেন। তিনি এ-ও জানতে চেয়েছেন, মন্ত্রিসভায় থেকে জাতীয় পার্টি কিভাবে প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে। আগামী নির্বাচনের বিষয়ে রওশন এরশাদ স্পষ্ট কিছু না বললেও বিরোধী দলের ভূমিকার বিষয়ে তিনি বলেছেন, প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে প্রয়োজনে জাতীয় পার্টির সদস্যরা মন্ত্রিসভা থেকে সরে আসবেন। এক বছরের মাথায় দ্বিতীয় দফায় এবং ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর এই প্রথম ঢাকা সফরে আসা নিশা দেশাই বিসওয়াল আধা ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন বিরোধী নেতার সঙ্গে। সেখান থেকে ফিরে  তিনি যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনে। তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় এক ঘণ্টা  কথা বলেন মার্কিন মন্ত্রী। শুরুতে সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হলেও এক পর্যায়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে একান্তে কথা বলেন তিনি।
অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় প্রয়োজন গণতন্ত্র: বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে নিশা দেশাইয়ের বৈঠক শেষে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিএনপি সরকারে থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল সে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে এই সম্পর্ক কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায় তা আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে। শমসের মবিন বলেন, নিশা দেশাই নেপালে আয়োজিত অষ্টাদশ সার্ক সম্মেলনে এসেছিলেন। সেখানে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন খালেদা জিয়ার কাছে তা পুনর্ব্যক্ত করেছেন জানিয়ে শমসের মবিন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখতে হলে অঞ্চল হিসেবে এখানে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি- যাতে অর্থনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অগ্রগতির পাশাপাশি চলতে পারে। বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, খালেদা জিয়াকে নিশা দেশাই বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে সম্পর্ক রয়েছে সেটা ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেও কোন প্রশ্নের জবাব দেননি শমসের মবিন। বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহউদ্দিন আহমেদ এবং নিশা দেশাইয়ের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে নভেম্বরে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত বৈঠকের সময় ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার নির্বাচন হিসেবে উল্লেখ করেছিল সরকারের প্রতিনিধিদল। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে খুব দ্রুতই সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের অঙ্গীকারও করেছিল তারা। তবে নিয়ম রক্ষার সে নির্বাচনের পর ওই অবস্থান থেকে সরে এসেছে সরকার। এখন নির্বাচনসহ সংলাপের বিষয়টিও অস্বীকার করছে। সরকারের এমন অবস্থানসহ ৫ই জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের তথ্য-প্রমাণ এবং নিজের অবস্থানের যৌক্তিকতা মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছে বিএনপি। সেখানে গত ১৩ই নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের বক্তব্যের ভিডিওচিত্র ও পরদিন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদগুলো প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সূত্র জানায়, যখনই কোন বিদেশী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বাংলাদেশে আসেন, তার আগ মুহূর্তে দেশে নৈরাজ্যময় পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী পদক্ষেপ নেয় সরকার। এর মাধ্যমে তারা দেশে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটছে বলে প্রমাণ করতে চায়। বিদেশীদের বোঝাতে চায় আওয়ামী লীগ সরকারই কেবল এ জঙ্গিবাদ দমন করতে পারবে। সর্বশেষ নিশা দেশাইয়ের বাংলাদেশ সফরের আগ মুহূর্তে হজ ও তাবলীগ জামাত নিয়ে কটূক্তির দায়ে মন্ত্রিসভা ও আওয়ামী লীগ থেকে অপসারিত লতিফ সিদ্দিকীকে দেশে ফিরিয়ে এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালিয়েছে সরকার। নিশা দেশাইয়ের কাছে সরকারের এমন কৌশলের বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়েছে। উল্লেখ্য, নিশা দেশাইয়ের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির তরফে যেসব বিষয় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তা নিয়ে গত মঙ্গলবার গুলশান কার্যালয়ে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা।
জাতীয় পার্টির মন্ত্রীরা পদত্যাগ করবেন: সত্যিকারের বিরোধী দলের  ভূমিকা রাখতে প্রয়োজনে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করবেন জাতীয় পার্টির মন্ত্রীরা। বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালের বৈঠকে এমন আলোচনা হয়েছে। বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত রওশনের গুলশানের বাসভবনে এ বৈঠক  হয়। বৈঠক শেষে বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ মানবজমিনকে বলেন, মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশাকে রওশন এরশাদ জানিয়েছেন- আগামীতে জাতীয় পার্টি সংসদে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। এ প্রশ্নে মার্কিন এই কূটনীতিক জানতে চান, সরকারের মন্ত্রিসভায় থেকে কিভাবে তারা এ ভূমিকা রাখবে? জাবাবে রওশন এরশাদ বলেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে আমাদের মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে হয়েছে। তবে শিগগিরই প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকা রাখার জন্য জাপা মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করবে। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে ভাবছি। এছাড়া  কবে নাগাদ আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে পারে- এ বিষয়েও বিরোধী দলীয় নেতা রওশনের কাছে জানতে চান নিশা দেশাই। জবাবে রওশন বলেন, একটি নির্বাচন কিছুদিন আগে হয়ে গেল। গত ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে এবং এর ফলে কোন অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসতে পারেনি। ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের আগের অবস্থার চেয়ে বর্তমানের পরিস্থিতি অনেক ভাল। দেশে এখন শান্তি বিরাজ করছে। এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের গার্মেন্ট-এর শ্রমিকদের অধিকার, নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের সফলতার প্রশংসা করেন । অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, সংসদে আমরা গঠনমূলক ভূমিকা পালন করছি। ভাল কাজের জন্য সরকারকে সহযোগিতা ও মন্দ কাজের জন্য সংসদে সরকারের তীব্র প্রতিবাদ করছি। সংসদে আমরা মানুষের জীবন-যাত্রার মান উন্নয়নে নিয়ে কথা বলেছি। তেমনি জননিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়েও কথা বলেছি।  বৈঠকে বাংলাদেশের গার্মেন্ট সেক্টরে যুক্তরাষ্ট্রের আরও সহযোগিতা চান রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, আমাদের অনেক নারীর ভাগ্য এর সঙ্গে জড়িত। এ প্রশ্নে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এ বিষয়ে অবহিত আছি। বৈঠকে জাপার সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, নিশা দেশাইয়ের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা উপস্থিত ছিলেন। পরে  সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী এমপি।
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা নাগরিক সমাজের সঙ্গে
এদিকে আমাদের কূটনৈতিক রিপোর্টার জানান, দিনের শুরুতে সফররত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজীপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট) পরিদর্শনে যান। সেখানে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সামরিক মহড়াও প্রত্যক্ষ করেন তিনি। পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন নিশা দেশাই। সেখানে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠা ও রক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের আসামান্য অবদান রয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তিপ্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। এ কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশের ১১৮ জন শান্তিরক্ষী জীবন উৎসর্গ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ সব শান্তিকামী মানুষ বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞ।  গাজীপুর থেকে ফিরে মার্কিন মন্ত্রী নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভোজ-বৈঠকে বসেন। ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত চলা ওই বৈঠকে সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, মানবাধিকার সংগঠক আদিলুর রহমান খান, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এম শাহীদুজ্জামান, মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী এলিনা খান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক নূর খান লিটন অংশ নেন। বিকাল ৪টার দিকে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা একসঙ্গে বৈঠক থেকে বের হন। এসময় সুজন সম্পাদক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আমাদের কথা বলেছি। তিনি শুনেছেন। কিছু কিছু বিষয়ে তিনিও তার মতামত দিয়েছেন। আলোচনায় মানবাধিকার পরিস্থিতি, সুশাসন এবং নির্বাচন প্রসঙ্গ এসেছে জানিয়ে সুজন সম্পাদক বলেন, আমরা বলেছি- দেশে ৫ই জানুয়ারি যে বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে এবং এর মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হয়েছে এতে জনগণের সম্মতি অর্জিত হয়নি। এজন্য দেশে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দরকার। কিন্তু এখন দেশে কেবল সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনই সমাধান নয় জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যে পৌঁছানো দরকার। যাতে নির্বাচনের মাধ্যমে যারাই ক্ষমতায় আসে, তারা যেন জাতীয় ঐকমত্যের কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে। রাজনৈতিক পর্যায়ে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি টেকসই সমাধান আসবে- এমন আশা করে সুজন সম্পাদক বলেন, আমরা মনে করি উন্নয়ন এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের একটি টেকসই গণতন্ত্র দরকার। এ জন্য জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি বা জাতীয় সনদ তৈরি হওয়া দরকার। একটি জাতীয় সনদ তৈরির কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করি আমাদের রাজনীতিবিদরা ঐকমত্যে পৌঁছতে পারবেন এবং আমাদের গণতান্ত্রিক ধারাটি অব্যাহত থাকবে।
আজকের কর্মসূচি: সফরের দ্বিতীয় দিনে গতকাল জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা এবং সংসদের বাইরে থাকা ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন সফররত মার্কিন মন্ত্রী। আজ তার তিন দিনের সফরের তৃতীয় ও শেষ দিন। দিনের শুরুতে সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে তার বৈঠক হবে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির সঙ্গেও তার বৈঠক হতে পারে বলেও একটি সূত্র আভাস দিয়েছে। সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও আজ  ব্যবসায়িক সমপ্রদায়, তৈরী পোশাক শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তার মতবিনিময়ের কর্মসূচি রয়েছে বলে জানা গেছে। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, আজই সফর শেষ করে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.