মা ও ২ মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যার দায় স্বীকার জাহাঙ্গীরের

মির্জাপুরে মা ও দুই মেয়েকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় মূল আসামি জাহাঙ্গীর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় ভর্তি থাকার পর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তার সুস্থতার সার্টিফিকেট দেয়ার পর বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারক শাহাদত হোসেনের অদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জাহাঙ্গীর তার অপরাধ স্বীকার করে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। দীর্ঘ ছয় ঘণ্টার জবানবন্দিতে জাহাঙ্গীর বলে, মনিরাকে তিনি বিয়ে করতে চাইলে মনিরার মা বাদ সাধেন। একাধিকবার প্রস্তাব দেয়ার পরও যখন তা ফিরিয়ে দেয়া হয় তখন সে তাদের হত্যা করার পরিকল্পনা করে। মির্জাপুরের একটি ফিলিং স্টেশন থেকে ৫০ লিটার পেট্রল কিনে তা নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেয়ার জন্য এক রিকশাওয়ালাকে ভাড়া করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর খুব সতর্ক ভাবে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেয়। সে বলেছে, কাজটি একাই সম্পন্ন করলেও এ ঘটনার জন্য দুই ব্যক্তি তাকে উৎসাহ দিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে জেল হাজতে পাঠানো  হয়েছে। জাহাঙ্গীর শনিবার রাতে পাগলের বেশে বাড়িতে প্রবেশ করে। তার চালাকি এলাকার গ্রাম পুলিশ আওলাদ হোসেন এবং পুলিশ কনস্টেবল কাজী নূরুল ইসলাম বুঝে ফেলে তাকে ধরে মির্জাপুর থানায় সোপর্দ করেন। গত ৭ই অক্টোবর মির্জাপুরের সোহাগপাড়ার বখাটে জাহাঙ্গীর আলম একই এলাকার প্রবাসী মজিবর রহমানের স্ত্রী হাসনা বেগম ও তার দুই মেয়ে মনিরা আক্তার ও বাকপ্রতিবন্ধী মিমকে ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। ঘটনার পর পরই সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারে দাবিতে মানববন্ধনসহ প্রতিবাদ সমাবেশ করে। মনিরার পিতা মামলা করলে পুলিশ বিভিন্ন সময় ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে।

No comments

Powered by Blogger.