চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাত্মক ধর্মঘট ঘোষণা

 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাত্মক ধর্মঘট আহবান করেছে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা। কোন ধরনের প্রজ্ঞাপন জারি না করেই একযোগে শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলের সমস্ত আবাসিক ছাত্রদের বৈধ সিটগুলো বাতিল করায় এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে।

গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় শাহ আমানত হল বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে দীর্ঘ ৮ মাস বন্ধ রাখার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল খুলে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তবে শাহ আমানত হল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার সাথে সাথে কোন ধরনের প্রজ্ঞাপন জারি না করেই একযোগে শাহ আমানত হলের সমস্ত আবাসিক ছাত্রদের বৈধ সিটগুলো বাতিল করার নজিরবিহীন প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হয় প্রশাসন।
আমানত হলের বৈধ ছাত্রদের অবস্থান নিশ্চিত করার দাবীতে হলের আবাসিক ছাত্ররা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন শুরু করে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে হঠাৎ করেই ২৪ আগস্ট সোহরাওয়ার্দী হলকে কেন্দ্র করে আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুটি ছাত্রসংগঠন। কিন্তু এবারো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনার কোন সুষ্ঠু সমাধান না দিয়ে উল্টো হলের সমস্ত আবাসিক ছাত্রকে বের করে দিয়ে হল বন্ধ করে দেয়।
এমতাবস্থায় শাহজালাল, শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক ছাত্ররা বন্ধ হলগুলো খুলে দিয়ে তাতে বৈধ ছাত্রদের তুলে দেয়ার দাবীতে গত ২৫ আগস্ট সাংবাদিক সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৭২ ঘন্টা সময় বেঁধে দেয়। কিন্তু প্রশাসন দাবী পূরণ না করায় ৩১ আগস্ট থেকে সর্বাত্মক ছাত্রধর্মঘটের কর্মসূচি দেয়া হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণ এবং শিক্ষার সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল পরিবেশ রক্ষার্থে আগামী ১২ ই অক্টোবর (রোববার) থেকে লাগাতার সর্বাত্বক ধর্মঘটের ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কাস পরীক্ষা সহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম কর্মসূচীর আওতাভূক্ত থাকবে।

No comments

Powered by Blogger.