সীমান্তে আকাশপথে শক্তি বৃদ্ধি করবে ভারত

বাংলাদেশ সীমান্তে আকাশপথে শক্তি বৃদ্ধি করবে ভারত। এ জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে অতিরিক্ত হেলিকপ্টার ও এয়ারক্রাফট। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা করছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সীমান্তেও একই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এতে বলা হয়েছে, জজঙ্গি ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফকে সহায়তা করতে এই শক্তি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিএসএফ প্রধান ডি কে পাঠকের সঙ্গে শুক্রবার আলোচনা করেছেছন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। বাড়তি হেলিকপ্টর ও নতুন যুদ্ধবিমান মোতায়েনের একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন  ডি কে পাঠক।  সম্প্রতি পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়টি ভারত সরকার অনুধাবন করতে পেরেছে। তাই তারা পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সঙ্গে ৬৩৮৬ কিলোমিটার সীমান্তে স্থল অভিযানে নিয়োজিত বিএস্এফকে আকাশপথে সহায়তা দেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। এর অধীনে বিএসএফকে সামরিক সরঞ্জাম ও সেনা পরিবহনে সহায়তা করা হবে। ডি কে পাঠক বলেছেন, আমরা এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছিছ। শিগগিরই আকাশপথে সহায়তার ক্ষেত্র বিস্তৃত করা হবে। তবে  বাড়তি কোন ব্যাটালিয়ন যোগ করা হবে কিনা সে বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয় নি।
১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর বিএসএফের আকার বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে এতে রয়েছে ১৭৫টি ব্যাটালিয়ন। ১৯৬৯ সালে একটি কুইন এয়ার সি-৮০ যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে প্রথম এর বিমান বা আকাশপথের শাখা উদ্বোধন করা হয়। বিএসএফের এয়ার উইং বা বিমান শাখা রয়েছে নয়া দিল্লি, রায়পুর, রাচি, আগরতলা ও শ্রীনগরে। তবু তারা অপারেশন পরিচালনা করে শুধু দিল্লি থেকে। বিএসএয়ের বিমান শাখার ফিক্সড উইংয়ে রয়েছে এমব্রায়ের-১৩৫ জে, অভরো-এইচস-৭৪৮, সুপার কিং বি-২০০। এছাড়া রোটারি উইংয়ে রয়েছে এএলএইচ (ধ্রুব), চিতা ও মি-১৭-ফোর। ২০১১ সালের ১৯শে অক্টোবর রাটিতে পাহাড়ি এলাকায় একটি ধ্রুব (এএলএইচ) হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে আরোহী ৩ জনের সবাই নিহত হন।

No comments

Powered by Blogger.