মার্কিন সেনাদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে

সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেন গোপন তথ্য ফাঁস করায় তা বিশ্বব্যাপী মার্কিন সেনাদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন আইন প্রণেতারা। পেন্টাগনের এক গোপন প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করেছেন তারা। এদিকে এডওয়ার্ড স্নোডেন হুইসেল ব্লোয়ার বা নায়ক নন বরং ভিলেন বলে মন্তব্য করেছেন এফবিআই প্রধান জেমস কমে। খবর এএফপি ও বিবিসির। স্নোডেনের তথ্য ফাঁসে যুক্তরাষ্ট্রের কী ক্ষতি হতে পারে অভিজ্ঞ আইন প্রণেতাদের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত মতামত নিয়ে ওই গোপন প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে পেন্টাগন। সূত্র জানিয়েছে আইন প্রণেতারা মনে করছেন, স্নোডেন প্রায় ১৭ লাখ গোপন নথি ফাঁস করেছেন। গোপন নথি ফাঁসে বিশ্বব্যাপী মার্কিন সেনাদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে। পেন্টাগনের এক মুখপাত্র বলেন, এ প্রতিবেদনে মার্কিন আইন প্রণেতারা বলেছেন, স্নোডেনের এ বিশ্বাসঘাতকতা মার্কিন সেনা ও কর্মকর্তাদের অধিকতর ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিল। এতে সিনিয়র আইনপ্রণেতা ডাচ্ রুপ্রেসবার্গার বলেছেন, স্নোডেন এসব গোপন নথি সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দিয়েছেন আর আমাদের চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে এফবিআই পরিচালক জেমস কমে বলেছেন, তিনি স্নোডেনকে হুইসেল ব্লোয়ার বা নায়ক হিসেবে অভিহিত করার যোগ্য বিবেচনা করেন না। বরং তাকে একজন বিশ্বাসঘাতকের উপাধি দেওয়া যেতে পারে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো স্নোডেনকে হইসেল ব্লোয়ার অভিধা দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। স্নোডেনকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য নিউইয়র্ক টাইমস ও গার্ডিয়ান পত্রিকা যে আহ্বান জানিয়েছে, তা নাকচ করে দিয়েছেন জেমস কমে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমার বিবেচনায় দেশের স্থপতিরা যেভাবে চেয়েছিলেন, সরকার সেভাবেই কাজ করছে। আমাদের সরকার যে পদ্ধতিতে গঠিত এবং কাজ করে তার সঙ্গে মৌলিকভাবে দ্বিমত পোষণ করে এমন কাউকে হুইসেল ব্লোয়ার বা নায়ক অভিধা দেওয়ায় আমার তীব্র আপত্তি আছে।' তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'হুইসেল ব্লোয়ার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আপনারা কীভাবে এ ধরনের তথ্য ফাঁসকারীকে হিরো হুইসেল ব্লোয়ার বলেন, তা বুঝতে আমাকে হিমশিম খেতে হয়। তাই এটি আমাকে বিভ্রান্ত করে।' স্নোডেন বর্তমানে এক বছরের রাজনৈতিক আশ্রয়ে মস্কো রয়েছেন।
এদিকে মার্কিন আদালতগুলো যুক্তরাষ্ট্রের এ ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারির আইনি বৈধতা খতিয়ে দেখছে এবং হোয়াইট হাউসও এ কর্মসূচির একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা করেছে। স্নোডেনের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি আইনে লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ সম্পর্কে কমি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

No comments

Powered by Blogger.