দুদক হলফনামার সম্পদ অনুসন্ধান করবে

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের হলফনামায় উল্লেখ করা সম্পদের উৎস অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যাদের সম্পদের হিসাব অস্বাভাবিক মনে হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে তাদের সম্পদ অনুসন্ধান করা হবে। হলফনামায় উল্লেখ করা সম্পদের বাইরে তাদের নামে আরও কোনো সম্পদ আছে কি-না তাও খতিয়ে দেখা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিগগির এ অনুসন্ধান শুরু হবে। সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী মন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই গত পাঁচ বছরে অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাদের ব্যাপক সম্পদ আহরণ জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হলে তা দুদক আইন পরিপন্থী। একই সঙ্গে সংবিধানের ২০(২) ধারারও পরিপন্থী। দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান গতকাল সমকালকে বলেন, সবার হলফনামা অনুযায়ী অনুসন্ধান করা যাবে না। এর মধ্যে যাদের হলফনামায় অস্বাভাবিক সম্পদের হিসাব উল্লেখ করা হয়েছে, মূলত তাদের হিসাব অনুসন্ধান করা হবে। হলফনামায় উল্লেখ করা সম্পদের বাইরে তাদের নামে আরও কোনো সম্পদ আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রার্থীদের দখলে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, শিগগির অনুসন্ধান শুরু হবে।
দুদক জানায়, সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলাকালে রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধির আশঙ্কায় সেসময় হলফনামায় উল্লেখ করা সম্পদের হিসাব অনুসন্ধান করা হয়নি। গত ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় এবার নির্বাচন কমিশনে পেশ করা সম্পদের হিসাব অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনুসন্ধানকালে নির্বাচন কমিশন থেকে সংশ্লিষ্টদের হলফনামার কপি সংগ্রহ করে তা সূক্ষ্মভাবে যাচাই করা হবে। হলফনামায় যারা অস্বাভাবিক সম্পদের হিসাব উল্লেখ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন_ পটুয়াখালী-৩ মাহবুব আলম তালুকদার, কুষ্টিয়া-৩ মাহবুবউল আলম হানিফ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার, মাদারীপুর-১ আসনের নুরে আলম চৌধুরী লিটন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, জামালপুর-৩ আসনের মির্জা আজম, কক্সবাজারের আলোচিত আবদুর রহমান বদি, মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সুকুমার রঞ্জন ঘোষ, সাবেক গৃহায়ন প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান, ঢাকা-৩ আসনের নসরুল হামিদ (বিপু), ফজলে নুর তাপস প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.