স্টাইল: গলফার সিদ্দিকুর রহমান রুটিন মেনে জীবন by রয়া মুনতাসীর

গলফ খেলোয়াড় সিদ্দিকুর রহমান ২০১০ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ব্রুনাই ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। গড়েছেন ইতিহাস। গলফের এই খেলোয়াড়ের জীবনযাপন একেবারেই সাদামাটা

সফল হওয়ার রহস্য কী? স্বপ্ন দেখতে হবে।
সঙ্গে থাকতে হবে চেষ্টা। তাহলেই আসবে সফলতা—এমনটাই মনে করেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান। ২০১০ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ব্রুনাই ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের গলফ খেলায় ইতিহাস গড়েছিলেন। তবে খেলা নিয়ে নয়, ব্যক্তি সিদ্দিকুর রহমানের জীবনযাপন সম্পর্কে জানতেই তাঁর মুখোমুখি হওয়া ঢাকার কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে।
একজন খেলোয়াড়ের জীবনটা পুরোপুরি শৃঙ্খলার মধ্যে থাকা উচিত। এই যেমন আচার-ব্যবহার, ঘুমানো, খাওয়া, ব্যায়াম ইত্যাদি। সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমি সব সময় রুটিন মেনে চলার চেষ্টা করি। দেশে ও দেশের বাইরে যেখানেই থাকি, চেষ্টা করি খাওয়া আর ঘুমটা যেন নিয়মের মধ্যেই থাকে। না হলে পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে খেলতে পারি না।’ দেশে থাকলে দিনের প্রায় পুরোটা সময় গলফের মাঠেই অনুশীলন করে সময় কাটান। রাত ১০টায় ঘুম আর সকাল ছয়টায় উঠে পড়েন ঘুম থেকে। এরপর দেড় থেকে দুই ঘণ্টা কেটে যায় জিমে। সন্ধ্যায় গলফ মাঠ থেকে চলে যান ইয়োগার ক্লাসে। ইয়োগা না করলে বাসায় গিয়ে রাতের খাবার শেষ করে নেন আটটার আগেই। এমনই সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত সিদ্দিকুর রহমান।
পরিপাটি করে পোশাক পরতে পছন্দ করেন। কিন্তু কোনো বাহুল্য থাকে না তাতে। খেলার সময় সবুজ, লাল, হলুদ, সাদা—বিভিন্ন রঙের প্যান্ট পরে থাকেন। সঙ্গে কলার আছে এমন টি-শার্ট। ভ্রমণ ও অন্যান্য সময়ে জিনসের প্যান্ট ও গোল গলার টি-শার্টে আরাম বোধ করেন। টি-শার্টে পছন্দের রং কালো ও সাদা। কাট ও কাপড়ের মান ভালো বলে পুমা, নাইকি, অ্যাডিডাস, হুগো বসের টি-শার্ট পছন্দ করেন। আনুষ্ঠানিক কোনো আয়োজনে প্যান্ট ও ব্লেজার পরে থাকেন। তবে সেগুলো তিনি ঢাকা থেকে কাপড় কিনে বানিয়ে নেন। এতে ফিটিংস ভালো হয় বলে জানালেন। চেক শার্ট বেশি পছন্দ। সাধারণত পাঞ্জাবি পরেন ঈদের দিনে।
মসলাযুক্ত খাবার ভালোবাসেন। যদিও খেলার কারণে এ ধরনের খাবার তালিকার বাইরেই রাখতে হয়। অবসরে ভালো লাগে ছবি দেখতে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারতে। বর্তমানে গলফের বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ২৩৪ নম্বরে আছেন সিদ্দিকুর। আশা করছেন, এ বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড কাপ অব গলফ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নাম উজ্জ্বল করবেন বাংলাদেশের।

No comments

Powered by Blogger.